ইংল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য বলা হয় কেন?

Why is England called the United Kingdom?: যুক্তরাজ্য যা মূলত চার (০৪) টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র। আর সেই চারটি দেশ হল, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েল এবং আয়ারল্যান্ড। তবে আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, ইংল্যান্ড কে যুক্তরাজ্য বলা হয় কেন।

আর আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেন, তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কারণ, আজকের আলোচনায় আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো যে, ইংল্যান্ড কে যুক্তরাজ্য বলা হয় কেন। তাই চলুন আর দেরী না করে, সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

ইংল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য বলা হয় কেন?

তো আপনারা যারা জানতে চান যে, ইংল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য বলা হয় কেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলে রাখি যে, শুধুমাত্র ইংল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য বলা হয় না। কেননা যুক্তরাজ্য মোট চার (০৪) টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত হওয়া একটি ইউনিয়ন। এবং যুক্তরাজ্য যে চারটি দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে। সেই দেশ গুলোর মধ্যে একটি দেশ হলো, ইংল্যান্ড।

তবে ইতিহাসের শুরুতে ইংল্যান্ড যুক্তরাজ্যের অংশ হিসেবে ছিল না। বরং ইংল্যান্ড ১৭০৭ সালের মে মাস এর ১ তারিখে যুক্তরাজ্যের একটি অংশ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। আর এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল দুটি রাজ্যকে একত্রিত করা। সেই কারণে উক্ত চুক্তি সফল করার জন্য ১৭০৭ সালে ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড এর পার্লামেন্ট থেকে উক্ত আইন পাস করা হয়। এবং তখন থেকে যুক্তরাজ্যের একটি অংশ হিসেবে ইংল্যান্ড যুক্ত হয়।

আরো পড়ুনঃ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র কি?

লন্ডনের আগে ইংল্যান্ডের রাজধানী কি ছিল?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, যুক্তরাজ্যের সাথে ইংল্যান্ড চুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে। এবং বর্তমানে মোট চার (০৪) টি দেশের সমন্বয় কে যুক্তরাজ্য বলা হয়। তাই অনেকের মনে এই প্রশ্নটি আসে যে, লন্ডনের আগে ইংল্যান্ডের রাজধানী কি ছিল?

আর আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আপনাকে বলে রাখি যে, আলফ্রেড দ্যা  গ্রেট এর অধীনে ”উইনচেষ্টার” কে ইংল্যান্ডের রাজধানী হিসেবে নামকরণ করা হয়েছিল। তবে আপনি যদি আরও অতীতের ইতিহাস এর পাতা উল্টিয়ে দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে. ডেনসরা যখন শাসন করছিল। তখন তাদের রাজধানীর নামকরণ করা হয়েছিল, ”নর্থহ্যাম্পটন” হিসেবে।

আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৩

ইংল্যান্ড রোমের কাছ থেকে কবে স্বাধীনতা লাভ করে?

অতীতের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, ২৮৬ খ্রিস্টাব্দে পূর্বে ব্রিটিশদের রোমান নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু ২৮৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা নিয়ন্ত্রণ থেকে নিজেদের একবারই বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এবং পরবর্তী সময়ে তারা তাদের নিজস্ব রাজ্য কে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করে।

আর এই স্বাধীনতা হওয়ার পর প্রায় এক দশক সময় পর্যন্ত তা স্থায়ী ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ড পুনরায় যুক্তরাজ্যের একটি অংশ হিসেবে যুক্ত হয়। এবং বর্তমান সময়েও ইংল্যান্ড যুক্তরাজ্যের অংশ হিসেবেই আবদ্ধ আছে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ২০২৩

ঐক্যবদ্ধ ইংল্যান্ড এর প্রথম রাজা কে ছিলেন?

আমরা অনেকেই ইংল্যান্ড এর প্রথম রাজার নাম সম্পর্কে জানতে চাই। তো ইংল্যান্ড এর প্রথম রাজার নাম হলো, Ethelstan. যিনি ছিলেন এডওয়ার্ড এর প্রথম পুত্র। মূলত ইংল্যান্ড এর প্রথম রাজা সমগ্র ইংল্যান্ড কে পরিচালনা করেছিলেন। এবং তার হাত ধরেই মূলত ইংল্যান্ড একটি শক্তিশালী রাজ্যে পরিনত হয়েছিলো।

আর তিনি ইথেলস্তানের ছোট বোনকে বিয়ে করেছিলেন। যার নাম হলো, সিহট্রিক। মূলত তিনি নর্থম ব্রিয়ানদের শাসক ছিলেন। এবং তার পরবর্তী সময়ে যখন সিহট্রিক মৃত্যুবরন করেন। তারপর তার বড় ভাই ইথেলস্তান উক্ত রাজ্য শাসন করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

আরো পড়ুনঃ কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়?

রোমানদের আগে ব্রিটেনে কারা বসবাস করতো?

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, রোমানদের আগেও ব্রিটেনে অন্যান্য লোকেরা বসবাস করত। আর উক্ত সময়ে যে সকল লোক বসবাস করতো। তাদের কে সংক্ষেপে বলা হতো, কেল্ট। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

কেননা অনেকে ধারণা যে, সেই সময় যে সকল লোকেরা বসবাস করত। তাদের কে বলা হতো, “সেল্টস”।  তবে ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, এই সেল্টস নামটি কয়েক শতাব্দী পড়ে এসেছে। তবে শুরুতে তাদের কে কেল্ট বলেই ডাকা হতো।

আরো পড়ুনঃ কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নিন

ইংল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য বলার কারণ নিয়ে আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের নতুন নতুন অজানা বিষয় গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। এবং সেই ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে আজকে আমি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি যে, ইংল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য বলা হয় কেন।

আশা করি, আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। আর আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো বিনামূল্য পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *