সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৪
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে মোট ১৭২ টি দেশে সরকারি ভাবে যাওয়া যায়। আর আজকে আমি আপনাকে সেই দেশ গুলোর নাম জানিয়ে দিবো।
সেই সাথে আপনি কোন উপায়ে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারবেন, সে সম্পর্কে পুর্ণাঙ্গ ধারনা দিবো। তবে তার জন্য আপনাকে আজকের পুরো লেখা টি মন দিয়ে পড়তে হবে।
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?
তো আলোচনার শুরুতে আমি আপনাদের বলেছি যে, বর্তমানে আপনি পৃথিবীর মোট ১৭২ টি দেশে সরকারি ভাবে যেতে পারবেন। আর যারা আসলে জানতে চান সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। তাদের জন্য আমি নিচে টেবিল প্রদান করেছি। যেখানে আপনি সেই সকল দেশের নাম দেখতে পারবেন। যে দেশ গুলো তে আমাদের বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে যাওয়া যায়।
সরকারি ভাবে যাওয়া যায় এমন দেশের তালিকা | ||
সৌদি আরব | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ওমান |
মালয়েশিয়া | কাতার | কুয়েত |
বাহারাইন | ইটালি | সিঙ্গাপুর |
জর্ডান | লেবানন | লিবিয়া |
রোমানিয়া | যুক্তরাজ্য | ব্রুনাই দারুসসালাম |
যুক্তরাষ্ট্র | কানাডা | ইরাক |
মরিশাস | ফ্রান্স | দক্ষিণ কোরিয়া |
অস্ট্রেলিয়া | কম্বোডিয়া | মালদ্বীপ |
ভারত | সুইজারল্যান্ড | ডেনমার্ক |
ফিনল্যান্ড | নিউজিল্যান্ড | শ্রীলঙ্কা |
জ্যামাইকো | চীন |
|
থাইল্যান্ড | জাপান |
|
NOTE: আমি আপনাকে বলেছি, আপনি মোট ১৭২ টি দেশে সরকারি ভাবে যেতে পারবেন। তবে এখন পর্যন্ত সেই সকল দেশের তালিকা জানা সম্ভব হয়নি। তাই আমি যে সকল দেশের নাম জানতে পেরেছি। সেই দেশ গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করেছি।
আর সময়ের সাথে এই দেশের তালিকা টি আরো আপডেট করা হবে। আর বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশে সরকারি ভাবে যাওয়া যায় সেই সকল দেশের নাম জানতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ সরকারি ভাবে রোমানিয়া যাওয়ার উপায়
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আসলে জানতে চান যে, সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় গুলো কি কি। আর যারা উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাদের বলে রাখি, আপনি বর্তমান সময়ে মোট ০৩ টি উপায়ে বিদেশ যেতে পারবেন। আর সেই উপায় গুলো হলো,
- আপনি একজন শ্রমিক হিসেবে যেতে পারবেন।
- উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য যেতে পারবেন।
- এছাড়াও আপনি চাকরির উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন।
তো আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ সরকারি ভাবে বিদেশ গেছে। তারা সবাই উপরের এই তিন টি উপায় এর মাধ্যমে বিদেশ যেতে পেরেছে। তাই চলুন, এবার সেই উপায় গুলো সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক।
শ্রমিক হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আসলে শ্রমিক হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চান। তো আপনিও যদি তাদের মতো শ্রমিক বা কাজ করার উদ্দেশ্যে বিদেশ যেতে চান। আর শ্রমিক হিসেবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কোনো বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির সহায়তা নিতে না চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই দেশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো দেখতে হবে যেই দেশে আপনি শ্রমিক হিসেবে সরকারি ভাবে যেতে চান।
আরো পড়ুনঃ কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নিন
শিক্ষার জন্য সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
দেশীয় শিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা আসলে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার জন্য বিদেশ যেতে চান। আর যে সকল শিক্ষার্থীদের মনে এমন উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার প্রবল ইচ্ছা আছে। তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিরাট সুযোগ করে দিয়েছে। কেননা, এখন আপনি সরকারি ভাবে বিদেশ গিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ সুবিধা পাবেন। তবে তার জন্য আপনার মেধা, যোগ্যতা ও ভালো ফলাফল থাকতে হবে।
চাকরির উদ্দেশ্যে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
দেখুন, আপনি বাংলাদেশ থেকেও বিদেশে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। তবে তার জন্য আপনি যে দেশে চাকরি করতে চান সেই দেশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলোর খোজখবর রাখতে হবে। আর আপনি যদি সেই নিয়োগের যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো তে আবেদন করতে হবে। আর যদি আপনি বিদেশে চাকরি করার সুযোগ পান। তাহলেও আপনি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারবেন।
সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়?
যেহুতু আজকের আর্টিকেল টি সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়া নিয়ে লেখা হয়েছে। সেহুতু এবার আমি গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য বলবো। সেটি হলো, আমরা অনেকেই জানতে চাই সরকারি ভাবে বিদেশ গেলে কত টাকা খরচ করতে হবে।
আসলে সরকারি ভাবে বিদেশ গেলে আপনার মোট কত টাকা খরচ হবে সেটা বিভিন্ন বিষয় এর উপর নির্ভর করবে। যেমন, আপনি কোন কাজে বিদেশ যাবেন, কোন দেশে যেতে চান এই যাবতীয় বিষয় গুলোর উপর নির্ভর করবে।
তবে স্বাভাবিক ভাবে আপনার ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর থেকেও বেশি টাকা খরচ হতে পারে। কিন্তুু একটা কথা জেনে রাখুন, যদি আপনি কোনো ধরনের এজেন্সি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশ যান তাহলে আপনার যে পরিমান টাকা খরচ করতে হবে তার থেকে আপনি অনেক কম টাকায় সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কানাডায় পড়াশোনার খরচ সম্পর্কে জেনে নিন
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে সতর্কতা
আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর যে কোনো দেশেই যান না কেন। আপনাকে অবশ্যই নিজের চোখ কান খোলা রাখতে হবে। এছাড়াও আপনাকে নিজে থেকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর সেই সতর্কতা গুলো নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- আপনি বিদেশ যাওয়ার সকল কার্যক্রম গুলো বৈধ ও নিরাপদ ভাবে করার চেষ্টা করবেন।
- বিদেশে যাওয়ার পূর্বে আপনার যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকবে। সেগুলো অবশ্যই একের অধিক ফটোকপি করে আপনার নিকট রাখবেন।
- নিবন্ধিত কোনো মেডিকেল থেকে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিবেন।
- যখন আপনার ভিসা প্রস্তুত হবে, তখন আপনি অবশ্যই সেটি যাচাই করে নিবেন।
- বাংলাদেশ সরকার এর অনুমোদিত এজেন্ট বা প্রতিষ্ঠান এর সাহায্য বিদেশ যাওযার চেষ্টা করবেন।
- আপনার যে ব্যক্তিগত পাসপোর্ট ও ভিসা থাকবে, সেগুলো অবশ্যই আপনি নিজের কাছে রাখবেন।
- বিদেশে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনি আপনার আর্থিক অবস্থা এবং লাভ ক্ষতির হিসেব ভালো ভাবে করে নিবেন।
- আপনি ডিইএমও এর ডেটাবেজের মধ্যে আপনার আসল নাম দিয়ে নিবন্ধন করে নিবেন।
- আপনি বাংলাদেশ থেকে যে দেশে যেতে চান সেই দেশের ভাষা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নিবেন। প্রয়োজনে সেই দেশের ভাষায় কথা বলার অনুশীলন করবেন।
- বিদেশ যাওয়ার কাজে সহায়তা নেওয়ার জন্য দালাল চক্র এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
যখন আপনি বিদেশ যাবেন, তার পূর্বে আপনাকে যে সকল বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সেই বিষয় গুলো উপরে উল্লেখ করা হলো। তবে একটা কথা সর্বদাই মাথায় রাখবেন, যদি আপনি সাবধান থাকেন তাহলে আপনি অনেক বিপদ এড়িয়ে যেতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
কত বছর বয়স হলে বিদেশ যাওয়া যায়?
যদি আপনি বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনার ক্ষেত্রে আসলে কেমন বয়সের দরকার হবে সেটা মূলত নির্ভর কবে আপনি কোন ভিসায় বিদেশে যাবেন তার উপর।
কেননা, যদি আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনার বয়স সর্বনিন্ম ১৮ বছর থেকে ২১ বছর পর্যন্ত হতে হবে। আবার কিছু কিছু দেশ আছে, যে দেশ গুলোতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য এর থেকেও বেশি বয়সের প্রয়োজন হয়।
তবে যদি আপনি শিক্ষা ভিসায় বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনার ক্ষেত্রে কম বয়স হলেও সমস্যা হবেনা। কেননা, বিদেশে স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার বয়স কম হলেও কোনো প্রকার সমস্যা হবেনা।
অপরদিকে আপনারা যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে যেতে চান তাদের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো ধরনের বাধাধরা নিয়ম থাকবে না। কেননা, টুরিস্ট ভিসায় আপনাকে ৩০ দিন থেকে ৯০ দিনের ভিসা প্রদান করা হবে। আর আপনি শুধুমাত্র সেই নির্ধারিত সময়ে একটি দেশে অবস্থান করতে পারবেন।
সেজন্য ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বয়সের বিধিনিষেধ থাকেনা। তবে অন্যান্য ক্যাটাগরির ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের বিধিনিষেধ থাকতে পারে।
আরো পড়ুনঃ দুবাই ভিজিট ভিসায় যেতে কি কি লাগে বিস্তারিত দেখে নিন
শিশু কখন বিদেশ যেতে পারবে?
মনে করুন, আপনি এখন বিদেশে যেতে চান কিন্তুু আপনার একটি ছোটো বাচ্চা আছে। তো এখন আপনি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কারণে বিদেশে যেতে পারলেও আপনার শিশুর বয়স যদি একবারে কম হয়, তাহলে কিন্তুু আপনার বিদেশে যাওয়াতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কেননা, বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে শিশুদের সাথে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো, এয়ারলাইন্স। কারণ, আপনার শিশুর বয়স যদি খুব কম হয় তাহলে বিভিন্ন বিমান সংস্থা আপনার সেই শিশুকে তাদের বিমানে যাতায়াত করার পারমিশন দিবেনা।
এখন হয়তবা আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে, সর্বনিন্ম কত কম বয়সী শিশুদের বিমানে উঠার পারমিশন দেয়না। তো যদি আপনার মনেও এমন প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি বলবো যে, এটি সম্পূর্ণ ভাবে বিমান সংস্থার উপর নির্ভর করে।
কেননা, এমন অনেক এয়ারলাইন্স আছে যারা কম বয়সী শিশুদের পারমিশন প্রদান করেনা। আবার এমন অনেক এয়ারলাইন্স আছে যারা কম বয়সী শিশুদের পারমিশন দেয়। তাই আপনি যে এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে বিদেশে যেতে চান আপনাকে তাদের কাছ থেকে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে।
জন্ম সনদ দিয়ে কি শিশুরা যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করতে পারে?
আপনারা অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তো আপনার একটা বিষয় জেনে রাখা দরকার যে, বাইরের দেশ থেকে অনেক কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে হয়।
আর তাদের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী, যদি একজন ব্যক্তির কাছে পাসপোর্ট ও ভিসা থাকে। তাহলে সেই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে একজন শিশু কোনোভাবেই শুধুমাত্র জন্ম সনদ দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেনা।
আরো পড়ুনঃ সকল দেশের ভিসা চেক অনলাইনে
৩ মাসের বাচ্চা নিয়ে কি বিমানে উড়তে পারবো?
আমি উপরের আলোচনাতে আপনাকে বলেছি যে, এটি সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করবে আপনার বিমান সংস্থার উপর। তবে স্বাভাবিক ভাবে অধিকাংশ বিমান এয়ারলাইন্স গুলো ০৩ মাসের বাচ্চা কে বিমানে উঠার জন্য পারমিশন দেয়।
আবার অনেক এয়ারলাইন্স আছে যারা ০২ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিমানে উঠার পারমিশন দেয়না। সে কারণে আপনি যে এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে বিমানে যাতায়াত করতে চান। আপনাকে সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
আপনার জন্য কিছুকথা
যারা মূলত বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদেশ যেতে চান। তাদের জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইট টি অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। কারন, আমরা প্রতিনিয়ত পাসপোর্ট এবং ভিসা সংক্রান্ত অজানা বিষয় গুলো এই ওয়েব সাইটে শেয়ার করি।
এছাড়াও আপনি যদি কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর এতক্ষন ধরে আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।