ল্যাটিন আমেরিকা সম্পর্কে সকল তথ্য জানুন
Learn all about Latin America: সাধারনত ল্যাটিন আমেরিকা বলতে উত্তর এবং দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশ এর মধ্যে যে সকল অঞ্চল রয়েছে। সেই অঞ্চল গুলোকে বলা হয় ল্যাটিন আমেরিকা। আর উক্ত অঞ্চলে যে সকল মানুষ বসবাস করে, তারা মূলত লাতিন ভাষা থেকে উদ্ভব হওয়া রোমন্স ভাষায় কথা বলে।
তবে এই রোমান্স ভাষা হলো, পর্তুগিজ ও স্পেনীয় ভাষা। আর উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকার মধ্যে প্রায় ২০ টির মতো দেশ এই ল্যাটিন আমেরিকার মধ্যে পড়ে। তো আজকের এই আলোচনার মধ্যে আমরা ল্যাটিন আমেরিকা সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা বিষয় গুলো জানার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে সরাসরি মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ কয়টি?
উপরের আলোচনা তে আমি আপনাদের বলেছি যে, বর্তমান সময়ে ল্যাটিন আমেরিকা তে মোট দেশের সংখ্যা রয়েছে ২০ টি। তাই সবার শুরুতে আমি আপনাকে সেই দেশ গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। আর উক্ত ২০ টি দেশের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- ইকুয়েডর
- আর্জেন্টিনা
- উরুগুয়ে
- কিউবা
- কোস্টারিকা
- কলম্বিয়া
- এর সালভেদর
- গুয়াতেমালা
- ডোমিনিকান রিপাবলিক
- চিলি
- নিকারাগুয়া
- পানামা
- প্যারাগুয়ে
- পের
- বলিভিয়া
- জ্যামাইকা
- ত্রিনিদাদ
- টোবাগোকো
- মেক্সিকো
- হাইতি
উপরের তালিকা তে আপনি যে সকল দেশের নাম দেখতে পাচ্ছেন। সেই দেশ গুলোর অবস্থান হলো ল্যাটিন আমেরিকার মধ্যে। এবং উপরোক্ত দেশ গুলো বেশ কিছু মহাদেশ এর মধ্যে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ আমেরিকার রাজধানীর নাম কি?
কেন লাতিন আমেরিকা বলা হয়?
এতক্ষন থেকে আমরা লাতিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশ এর নাম জানতে পারলাম। তো এই দেশ গুলো কে ল্যাটিন আমেরিকা বলার পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে। তবে তার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো, ভাষা। কেননা, এই অঞ্চলে থাকা মানুষ গুলো মূলত রোমান্স ভাষায় কথা বলে। আর আপনি তো বেশ ভালো করেই জানবেন যে,রোমান্স ভাষা মূলত লাতিন ভাষা থেকেই উদ্ভব হয়েছে।
তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, রোমান্স ভাষা আসলে কি। তো যদি আপনি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, স্পেনীয় ও পর্তুগীজ ভাষাকে সাধারনত রোমান্স ভাষা বলা হয়ে থাকে। আর উক্ত অঞ্চলের মধ্যে যে ইঙ্গ আমেরিকা আছে। তারা আবার ইংরেজি ভাষাতে কথা বলে।
আরো পড়ুনঃ আমেরিকার মুদ্রার নাম কি?
মেক্সিকো উত্তর আমেরিকা নাকি দক্ষিন আমেরিকায়?
সত্যি বলতে মেক্সিকো হলো এমন একটি দেশ। যার অবস্থান নিয়ে আমাদের বিভিন্ন জনের মনে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন আছে। তবে তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রশ্ন হলো, মেক্সিকো কি উত্তর আমেরিকা তে নাকি দক্ষিন আমেরিকা তে।
আর আপনি যদি এই বিষয়টি গভীর ভাবে বিবেচনা করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, মেক্সিকো এর অবস্থান হলো উত্তর আমেরিকায়। কেননা, মেক্সিকো নামক এই দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৃহৎ একটি সীমানা ভাগ করে আছে। অপরদিকে আপনি দেখতে পারবেন যে, মেক্সিকো মূলত দক্ষিন আমেরিকা থেকে একবারেই বিছিন্ন একটি দেশ।
তো এই সব কারণে মেক্সিকো কে উত্তর আমেরিকার অংশ হিসেবে ধরা হয়। আশা করি, মেক্সিকো উত্তর নাকি দক্ষিন আমেরিকায় সে সম্পর্কে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ আমেরিকার জনসংখ্যা কত কোটি?
আধুনিক গ্রীক ও প্রাচীন গ্রীক এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আমরা অনেকেই আধুনিক গ্রীক ও প্রাচীন গ্রীক এর মধ্যে থাকা পার্থক্য সম্পর্কে জানতে চাই। তো এই দুটোর মধ্যে আসলে তেমন কোনো ধরনের পার্থক্য নেই। কেননা, এই দুটো ভাষার গঠন ও শব্দ ভান্ডার প্রায় একই রকম। এবং বর্তমান সময়ে এই দুটো ভাষাকে প্রায় একই ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই আপনি এই দুটো ভাষার মধ্যে তেমন কোনো ধরনের পার্থক্য খুজে পাবেন না।
প্রথম ল্যাটিন ভাষায় কে কথা বলেছিলেন?
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, ভাষাগত কারণে বেশ কিছু অঞ্চল কে ল্যাটিন আমেরিকা বলা হয়। তাই এবার আমাদের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিতে হবে। সেই তথ্যটি হলো, সবপ্রথম কে ল্যাটিন ভাষায় কথা বলেছিলো।
আর আপনি যদি উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, সবচেয়ে প্রাচীন ইতালির ইতালিক ভাষা থেকে জনগনের উপভাষার মাধ্যমে ল্যাটিন ভাষা বিবর্তিত হয়েছে। কেননা, যখন লৌহযুগ এর সময় চলছিলো। তখনকার মানুষেরা বর্তমানের ইতালি নামক স্থানে বসবাস করতো। এটি ছিলো তাদের একমা্ত্র কথ্য ভাষা।
আরো পড়ুনঃ আমেরিকার অঙ্গরাজ্য কয়টি ও কি কি?
ল্যাটিন ভাষা কেন মৃত ভাষা হয়ে ওঠে?
বর্তমান সময়ে উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকার প্রায় ২০ টি দেশের মধ্যে ল্যাটিন ভাষার ব্যবহার থাকলেও। একটা সময় ছিলো যখন এই ভাষাটি প্রায় মৃত হওয়ার মতো অবস্থায় পড়েছিলো। কেননা, যখন রোমান সম্রাজ্যের পতন হয়েছিলো। তখন এই ভাষাটি প্রায় মৃত হওয়ার পথে দাড়িয়েছিলো।
কিন্তুু আমরা অনেকেই মনে করি যে, বর্তমান সময়ের ল্যাটিন হলো মৃত ভাষার একট রুপ। তবে যারা আসলে এমনটা মনে করেন, তাদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা, এটি হলো রুপান্তরিত একটি রুপ মাত্র। এছাড়াও পরবর্তী সময়ে উক্ত ভাষার মধ্যে ব্যাপক সংস্কার নিয়ে আসা হয়। এবং সবশেষে এই ল্যাটিন ভাষা রোমান্স ভাষায় মধ্যে ব্যবহার করা শুরু হয়।
প্রাচীন গ্রিকের মানুষরা দেখতে কেমন ছিলো?
এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা ল্যাটিন আমেরিকা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। তো এবার আমরা নতুন একটি বিষয় সম্পর্কে জানবো। সেটি হলো, আমরা অনেকেই জানিনা যে, প্রাচীন গ্রিক এর মানুষরা দেখতে আসলে কেমন ছিলো। তো এবার আমি আপনাকে সে বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা প্রদান করবো।
তো প্রাচীন গ্রিকের মানুষ গুলো মূলত লম্বা এবং অনেকটা সরু ছিলো। এছাড়াও সেই সময়কার মানুষের কোমর গুলো দেখতে অনেক সরু আকৃতির ছিলো। আর যদি আপনি প্রাচীন গ্রিকদের গায়ের রং সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনি জানতে পারবেন যে, তাদের গায়ের বর্ন অনেকটা লালচে ও বাদামী রংয়ের ছিলো।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে?
ইতালীয়রা কি ল্যাটিন ভাষায় কথা বলে?
সত্যি বলতে বর্তমান সময়ের ইতালীয়রা যে ভাষায় কথা বলে। সেই ভাষাকে বলা হয়, আধুনিক ল্যাটিন ভাষা। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো যে, ইতালীয়রা যে কখন ল্যাটিন ভাষায় কথা বলা শুরু করে। আবার তারা যে কখন ল্যাটিন ভাষায় কথা বলা বন্ধ করে। সেটি আসলে কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারবে না।
পর্তুগিজ ভাষা কোথা থেকে এসেছে?
আপনারা যারা আসলে জানতে চান যে, পর্তুগিজ ভাষা কোথা থেকে এসেছে। তাদের বলে রাখি যে, মধ্যযুগীয় ভাষা থেকে পর্তুগিজ ভাষা বিবর্তিত হয়েছে।
যা আজকের ভাষা বিদদের দ্বারা গ্যালিসিয়ান পর্তুগিজ, পুরাতন পর্তুগিজ বা ওল্ড গ্যালিসিয়ান নামে পরিচিত হয়েছে। তবে আপনার জেনে রাখা উচিত যে, গ্যালিসিয়ার উত্তর-পশ্চিম মধ্যযুগীয় রাজ্য যার পর্তুগাল এর একটি অংশ ছিল।
আরো পড়ুনঃ উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর নাম জেনে নিন
পর্তুগিজ ও স্প্যানিশ ভাষার সম্পর্ক কতটুকু?
আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারন, পর্তুগিজ এবং স্প্যানিশ ভাষার আভিধানিক মিল প্রায় ৯০% এর মতো। তার মানে হল, উভয় ভাষার মধ্যে যে শব্দ ভান্ডার রয়েছে। সেগুলো মূলত সবদিক থেকে একই রকমের। তাই এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, পর্তুগিজ ভাষার সাথে স্প্যানিশ ভাষার অনেকটাই মিল আছে।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
প্রিয় পাঠক, আমরা আমাদের ওয়েবসাইট এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। যেমন, আজকে আমি ল্যাটিন আমেরিকা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় গুলো শেয়ার করেছি। যে আলোচনা থেকে আপনি বিভিন্ন অজানা বিষয় জেনে নিতে পারবেন।
তবে আমাদের লেখা সম্পর্কে যদি আপনার কোনো ধরনের মতামত থাকে। তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার সেই মতামত কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিবেন। আর এতক্ষন ধরে আমার লেখা আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।