পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা চেক

Palli Bidyut meter application search: আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার এর জন্য আবেদন করে থাকেন। তাহলে আপনার আবেদন বর্তমানে কি অবস্থায় আছে সেটি আপনি খুব সহজে চেক করে নিতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে অনলাইন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা অনুসন্ধান করতে হবে।

আর পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে কোন ওয়েবসাইটে যেতে হবে ও কি কি কাজ করতে হবে। এবার আমি আপনাকে সেই পদ্ধতি গুলো দেখিয়ে দিবো। তাই আর দেরী না করে চলুন, মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

কিভাবে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করবেন?

How to check Palli Bidyut meter application: আপন যদি আপনার পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন এর জন্য আবেদন করেন। আর আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনাকে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন অনুসন্ধান করতে হবে। আর উক্ত পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধানের জন্য আপনি নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করুন। যেমন,

কিভাবে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করবেন

পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন অনুসন্ধান | নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র 

  1. সবার প্রথমে আপনাকে Rebpbs এর মূল ওযেবসাইটে যেতে হবে।
  2. অথবা এখানে ক্লিক করেও উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
  3. এরপর পিকচারের মতো একটি পেজে চলে যাবেন। যেখানে দুইটি (০২) ফাঁকা বক্স থাকবে।
  4. প্রথম বক্সে আপনাকে আপনার ”ট্রাকিং নম্বর” টি প্রদান করতে হবে।
  5. তারপর দ্বিতীয় বক্সে আপনাকে ”পিন নম্বর” টি নির্ভূলভাবে দিতে হবে।
  6. এরপর আপনি ”সাবমিট করুন” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করবেন।

আর যখন আপনি উপরে দেখানো পদ্ধতি ফলো করবেন। তারপর আপনি আপনার পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করতে পারবেন।

🟠ট্রাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার মিটারের আবেদন করার সময় দেওয়া হয়েছে। সেগুলো আপনি উপরের পদ্ধতিতে ব্যবহার করে polli biddut abedon যাচাই করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার আবেদন করার নিয়ম

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম | Palli Bidyut meter application

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার উপায়

rebpbs ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে পারবেন। যারা অনলাইন থেকে মিটার আবেদন করতে চান তারা নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

উপরের লিংক থেকে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনি শুধুমাত্র সকাল ৮টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। বাকি সময় অনলাইনে আবেদন বন্ধ থাকে।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত টাকা? 

How to search Palli Bidyut meter application: আপনার বাড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য মিটার স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য, আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু ফি জমা দিতে হবে। 

আবেদন ফি: 

নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার সময় আপনাকে ১১৫ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে। এই ফি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।

নিরাপত্তা জামানত: 

আপনার আবেদন অনুমোদন হলে, নিরাপত্তা জামানত হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। যেমন,

  • ২ কিলোওয়াট পর্যন্ত: ৪০০ টাকা
  • ২ কিলোওয়াটের উপরে: ৬০০ টাকা

তবে পরবর্তী সময়ে যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি পরিবর্তন করা হয় তাহলে এই আর্টিকেলটি পুনরায় আপডেট করে দেওয়া হবে। যাতে করে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পারেন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি লাগে?

What does it take to apply for a Palli Bidyut meter: গ্রাম বাংলার উন্নয়নে বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিসীম। আর আধুনিক জীবনে বিদ্যুৎ ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব। তাই গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং তাদেরকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রসারিত করা হচ্ছে।

আপনি যদি গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মিটার আবেদন করতে চান, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং তথ্য প্রস্তুত রাখতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  1. আবেদনকারীর নাম ও সক্রিয় মোবাইল নম্বর
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা এবং সংযোগস্থলের ঠিকানা
  3. সংযোগস্থলের জমির মালিকানা তথ্য, দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর (খারিজের/দলিলের স্ক্যান কপি)
  4. পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের বই নং ও হিসাব নং (যে ট্রান্সফরমার হতে সংযোগ নিতে চান)
  5. নিকটবর্তী সার্ভিস পোলের দূরত্বের পরিমাপ (১৩০ ফুটের কম বেশি হলে উল্লেখ করতে হবে)
  6. ব্যবহৃত ডিভাইসের সংখ্যা ও বিদ্যুৎ খরচের হিসাব
  7. হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করার জন্য গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোর ছবি/স্ক্যান কপি

আবেদন প্রক্রিয়া:

নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন দুইভাবে করা যায়:

  • অনলাইনে: পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
  • সরাসরি: নিকটবর্তী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অপলাইন আবেদন করতে পারবেন।

গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মিটার আবেদন করা এখন অনেক সহজ। উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ নিতে পারবেন।

পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন আবেদন করার নিয়মাবলি

Palli-Vidyut-Online-Application-Rules

Palli-Vidyut-Online-Application-Rules

পল্লী বিদ্যুৎ কি সরকারি না বেসরকারি?

Palli Bidyut is public or private: গ্রাম বাংলার বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বললেই মনে পড়ে ‘পল্লী বিদ্যুৎ’ এর কথা। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই প্রতিষ্ঠানটি কি সরকারি নাকি বেসরকারি। তো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (PBS) বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধ্যাদেশ’ জারির মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

পল্লী বিদ্যুতের মূল কাজ হলো গ্রামীণ জনগণের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। দেশের প্রায় ৯৮% গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতের ৮০ টি সমিতি ৪ কোটিরও বেশি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সরকারি না বেসরকারি

পল্লী বিদ্যুৎ সরকারি না বেসরকারি

বিদ্যুৎ মিটারের ডিসপ্লে ফাঁকা থাকে কেন?

Why is the display of the electricity meter blank: এটি খুব সাধারন একটা সমস্যা। কেননা, বিভিন্ন সময় অনেক মিটারের ডিসপ্লের দিকে তাকালে মনে হয় সেটি একবারে ফাঁকা হয়ে গেছে। যদিওবা সেই মিটারের ডিসপ্লে ফাঁকা থাকেনা। বরং বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যার ফলে আমরা সেই মিটারের ডিসপ্লে গুলোকে ফাঁকা দেখি।

যেমন, দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ফলে সেই মিটারের যদি শক্তি হারিয়ে যায়। তাহলে সেটি আর আগের মতো কাজ করতে পারবে না। আবার কখনও কখনও মিটার স্লিপ মোডে চলে যায়। এর কারণে আমরা সেই মিটার গুলোর মধ্যে থাকা ডিসপ্লে ফাঁকা দেখি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিটার এর সেটিংস সঠিক ভাবে অপটিমাইজ না হওয়ার কারণেও এমনটা হতে পারে।

তাই যখন আপনার মিটারের এই ধরনের সমস্যা হবে। তখন আপনাকে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দেখাতে হবে। তারপর তারা যাচাই করে আপনার মিটারের মূল সমস্যাটি শনাক্ত করতে পারবে। আশা করি, এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ দলিল যার জমি তার গেজেট | দলিল যার জমি তার গ্যাজেট

বাংলাদেশের কত শতাংশ এলাকা বিদ্যুতায়িত হয়েছে?

What percentage of the area of Bangladesh has been electrified: আলোকিত বাংলা – এই শ্লোগান কেবল একটি স্বপ্ন নয়, বরং বাংলাদেশ সরকারের একটি দৃঢ় সংকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৯৯% এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ জনগণের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে ৪ কোটিরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে।

সরকারের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সকল এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। যেসব এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, সেগুলোতে দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য কাজ চলছে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হচ্ছে, যা বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আরো পড়ুনঃ জমির দাগ নং বের করার উপায়

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কি?

What is Palli Bidyut Association: একটা বিষয় আপনি বেশ ভালো করে জানবেন। সেটি হলো, বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে এর শহর অঞ্চল থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত। প্রায় সব জায়গাকে বিদ্যুতায়িত করা সম্ভব হয়েছে। আর এই কঠিন কাজটি সম্ভব করা হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে।

কেননা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মূল কাজ হলো, ভোক্তা সমবায় হিসেবে কাজ করা এবং গ্রামীণ বৈদ্যুতিক সংযোগ দ্রুত সম্প্রসারণ করা।

আর এই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড শহর এলাকায় বৈদ্যুতিক বিতরণ পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবেও কাজ করে।

আরো পড়ুনঃ জমি ক্রয় করার নিয়ম

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কয়টি ও কি কি?

How many power plants in Bangladesh: বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা কমে আসছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ১৫৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪৯টি কেন্দ্রই পূর্ণ সক্ষমতায় চলছে। বাকি ১০৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩টি রক্ষণাবেক্ষণ বা জ্বালানির অভাবে বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকা এই কেন্দ্রগুলির উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৩০ মেগাওয়াট।

আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকার ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং একটি নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি যদি বাংলাদেশের সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম ও বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আপনি এই লিংকে ক্লিক করুন। [বাংলাদেশের সকল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র]

আপনার জন্য কিছুকথা

পূর্বের আর্টিকেলে আমি আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম গুলো দেখিয়ে দিয়েছিলাম। সেখানে অনেকেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তো তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

আশা করি, আজকের দেখানো পদ্ধতি ফলো করে। আপনি খুব সহজেই আপনার পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করতে পারবেন। তবে যদি কোনো ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

ধন্যবাদ,এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *