বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা

Eligibility to do PhD abroad: বর্তমান সময়ে আপনি যদি পিএইচ ডি করতে চান। তাহলে আপনার বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। আর আপনার ক্ষেত্রে আসলে পিএইচডি করার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগবে। সেটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করবে আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি করতে চান, তার উপর।

আর চলমান সময়ে পিএইচডি করার জন্য যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। সেগুলো নিচের তালিকা তে উল্লেখ করা হলো। যেমন, 

  1. মাধ্যমিক পরীক্ষায়  কমপক্ষে 50% – 60% নাম্বার নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
  2. এছাড়াও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও একই নম্বরে উত্তনীর্ণ হতে হবে।
  3. তারপরে আপনাকে তিন (০৩) বছরের গ্রাজুয়েশনে পাস করতে হবে।
  4. অথবা অনার্স দুই (০২) টির মধ‍্যে যে কোনো একটি কোর্সে কমপক্ষে 50% নাম্বার নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
  5. এর পরবর্তী ধাপে যারা সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করবেন। তাদের M.BA করতে হবে।
  6. আর যারা কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করবেন। তাদের ক্ষেত্রে M.COM কমপ্লিট করতে হবে।
  7. মনে রাখবেন, আপনাকে M.A তে 50 % নাম্বার নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

তো যদি আপনার নিকট উপরোক্ত যোগ্যতা গুলো থাকে। তাহলে আপনি পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন। কিন্তুু যদি আপনার উপরোক্ত যোগ্যতা গুলো না থাকে। তাহলে আপনি পিএইচডি তে অযোগ্য শিক্ষার্থী বলে বিবেচিত হবেন।

পিএইচডি ডিগ্রি বলতে কি বোঝায়?

একজন শিক্ষার্থী যখন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়। তখন সেই শিক্ষার্থী কে নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। তাই বলা যায় যে, পিএইচডি হলো এক ধরনের কোর্স। যার পুরো অর্থ হলো, Doctorate Of Philosophy.

আর যখন কোনো একজন শিক্ষার্থী পিএইচডি এর কোর্স সম্পন্ন করতে পারে। তখন সেই শিক্ষার্থী তার নামের শুরুতে ডক্টর কথাটি যুক্ত করে দিতে পারবে। বলা যায়, এটি হলো উক্ত শিক্ষার্থীর সম্মান এর প্রতীক।

তো যখন আপনি নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে M.A করবেন। তারপর আপনার সেই বিষয়ের নির্দিষ্ট একটি পাঠ নিয়ে পিএইডি করতে পারবেন। আর উক্ত বিষয়ে রিসার্চ করতে পারবেন। মূলত এই ধরনের উচ্চ শিক্ষার কোর্স কে বলা হয়, পিএইডি।

আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৩

কাদের জন্য পিএইচডি উপযুক্ত?

উপরের আলোচনা তে আমি বলেছি, যারা MA সফল ভাবে সম্পন্ন করবেন। তারা পিএইচডি তে ভর্তি হতে পারবেন। তবে কিছু কিছু শিক্ষার্থী আছে, যাদের জন্য এই পিএইচডি ডিগ্রি উপযুক্ত।

যেমন, আপনি যদি দীর্ঘদিন কোনো বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। এর পাশাপাশি আপনি যদি সেই বিষয়ে ভবিষ্যত সময়ে একজন ভালো প্রফেসর হতে চান। তাহলে আপনার জন্য পিএইচডি একবারেই উপযুক্ত।

কেননা, পিএইচডি করার সময় আপনি আপনার পাঠ্য বিষয়টিকে নিয়ে রিসার্চ করার সুযোগ পাবেন।

পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?

আপনি যদি ভালোভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

প্রথমত আপনার যে নাম থাকবে। আপনি আপনার সেই নামের শুরুর দিকে ডক্টর শব্দটি যুক্ত করতে পারবেন। আর এতে করে আপনার একটা আলাদা সম্মান বাড়বে। এর পাশাপাশি আপনি পিএইচডি করার বিনিময়ে চাকরির ক্ষেত্র গুলোতেও অনেক সুবিধা পাবেন।

যেমন, আপনার প্রফেসর হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও বিভিন্ন রিসার্চ সেন্টার গুলো তে আপনার প্রাধান্য থাকবে। সেইসাথে আপনি বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা গুলোতে চাকরি করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপ যেতে বয়স কত লাগে?

পিএইচডি করতে কত বছর লাগে?

সাধারন ভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে ০২ বছর থেকে ০৩ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। কিন্তুু যদি আপনি জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি মোট ০৫ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।

আর কলেজ ভেদে পিএইচডি করার ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিন্তুু স্বাভাবিক ভাবে একজন শিক্ষার্থীর পিএইচডি করতে প্রায় ১.৫ লাখ থেকে ০২ লাখ টাকা লাগতে পারে।

আরো পড়ুনঃ কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নিন

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

যারা মূলত বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আশা করি, আজকের আর্টিকেল থেকে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

তবে এরপরও যদি আপনার পিএইচডি নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *