জি আই পণ্য ২০২৩ তালিকা জেনে নিন
List of GI products: আপনি কি জি আই পণ্য তালিকা গুলো সম্পর্কে জানতে চান? -তাহলে আপনি একবারে সঠিক লিংকে ক্লিক করেছেন। কেননা, আজকের আলোচনায় আমি আপনাকে জি আই পণ্য ২০২৩ তালিকা শেয়ার করবো। যেখান এছাড়াও আপনাকে আমি জি আই সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য সম্পর্কে বলবো। যে তথ্য গুলো এর আগে আপনার অজানা ছিলো।
জি আই (GI) বলতে কি বোঝায়?
সহজ কথায় বলতে গেলে, জি আই হলো নির্দিষ্ট কোনো সামগ্রীর বিশেষ একটি নাম। যার মাধ্যমে জি আই নির্ধারিত পণ্য গুলোর গায়ে বিশেষ এক ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেটি মূলত নির্দিষ্ট কোনো ভৌগলিক স্থানের মধ্যে উৎপাদিত হওয়ার পন্যের গুনগত মানের বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করে।
মূলত জি আই এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানের উৎপাদিত হওয়া পন্যকে আইনি ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। আর বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের পন্যকে জি আই স্বীকৃত করা হয়েছে। তো আশা করি, জি আই কি সে সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ ইলেকট্রিক সামগ্রী তালিকা
জি আই পন্য ২০২৩ তালিকা বাংলাদেশ
অনেক আগে থেকে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে মোট ১০ টি পন্যকে জি আই স্বীকৃত করা হয়েছিলো। তবে সময়ের সাথে সাথে আরো বেশ কিছু পন্য জি আই স্বীকৃতি লাভ করেছে। তো বিভিন্ন সময় আমাদের সেই পন্য গুলোর নাম জানার দরকার হয়। আর এবার আমি আপনাকে সেই পন্য গুলোর নাম শেয়ার করবো। যা আপনি নিচের টেবিলে দেখতে পারবেন।
GI Products 2023 List Bangladesh – জি আই পন্য ২০২৩ তালিকা বাংলাদেশ | |||||||
ক্রমিক | আবেদন | তারিখ | পন্যের নাম | আবেদনকারী | শ্রেনী | রেজিষ্ট্রেশন | |
০১ | জি আই-১১ | ১৯/০২/২০১৭ | চাঁপাই নবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম | আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ৩১ | ১৬ | |
০২ | জি আই-৩১ | ১১/০৪/২০১৮ | শেরপুরের তুলশীমালা ধান | জেলা প্রশাসক, শেরপুর | ৩০ | ১৪ | |
০৩ | জি আই-২৯ | ০১/০১/২০১৮ | বগুড়ার দই | বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, বগুড়া জেলা শাখা। | ২৯ | ১৩ | |
০৪ | জি আই-০৬ | ০৬/০২/২০১৭ | দিনাজপুর কাটারীভোগ | বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর | ৩০ | ০৫ | |
০৫ | জিআই-৪০ | ৩০/০৩/২০২৩ | নাটোরের কাঁচা গোল্লা | জেলা প্রশাসন, নাটোর | ২৯,৩০ | ১৭ | |
০৬ | জি আই-০১ | ০১/০৯/২০১৫ | জামদানি শাড়ী | বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) | ২৫ | ০১ | |
০৭ | জি আই-০৫ | ০৬/০২/২০১৭ | বিজয়পুরের সাদা মাটি | জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নেত্রকোনা | ০১ | ০৪ | |
০৮ | জি আই-৩৭ | ১৬/০৩/২০২১ | বাংলাদেশের শীতল পাটি | বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) | ২৭ | ১২ | |
০৯ | জি আই-১০ | ১৯/০২/২০১৭ | চাঁপাই নবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম | আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ৩১ | ১৫ | |
১০ | জি আই-০৭ | ০৭/০২/২০১৭ | বাংলাদেশ কালিজিরা | বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর | ৩০ | ০৬ | |
১১ | জি আই-৩২ | ০৪/০৭/২০১৯ | বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি | মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ | ২৯, ৩১ | ১১ | |
১২ | জি আই-১৫ | ০৯/০৩/২০১৭ | রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম | ১। ফল গবেষণা কেন্দ্র, বিনোদপুর, রাজশাহী, ২। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। | ৩১ | ১০ | |
১৩ | জি আই-৩০ | ০২/০১/২০১৮ | ঢাকাই মসলিন | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, ঢাকা | ২৪, ২৫ | ০৯ | |
১৪ | জি আই-৩৪ | ১১/০৭/২০১৯ | রংপুরের শতরঞ্জি | বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) | ২৭ | ০৭ | |
১৫ | জি আই-০৩ | ০২/০২/২০১৭ | চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম | বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট | ৩১ | ০৩ | |
১৬ | জি আই-২৭ | ২৪/০৯/২০১৭ | রাজশাহী সিল্ক | বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী | ২৫ | ০৮ | |
১৭ | জি আই-০১ | ১৩/১১/২০১৬ | বাংলাদেশ ইলিশ | মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ | ২৯, ৩১ | ০২ | |
*পরবর্তী সময়ে জি আই পন্য যুক্ত হলে এই তালিকাটি আপডেট করে দেওয়া হবে। সোর্সঃ Wikipedia |
ফজলি আম জি আই পণ্য কত তারিখ?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা আসলে জানতে চান ফজলি আম জি আই পণ্য কত তারিখ। তো ফজলি আম মূলত ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ০৬ তারিখ জি আই এর স্বীকৃতি পেয়েছে। আর আমাদের আরো জেনে রাখা উচিত যে, বর্তমান সময়ে ফজলি আম রাজশাহীর নিজস্ব আম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
আরো পড়ুনঃ মৌজা ভিত্তিক জমির মূল্য তালিকা
17 তম জিআই পণ্য কোনটি?
যদি আপনি অতিতের দিন গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, আগের দিন গুলোতে মাত্র ১০ টি জি আই পণ্য ছিলো। কিন্তুু সময়ের সাথে সাথে এই জি আই পন্যের তালিকা আরো বড় হয়েছে। কেননা, বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে মোট ১৭ টি জি আই পন্য আছে।
তো যারা আসলে জানতে চান যে, 17 তম জি আই পন্য কোনটি। তাদের বলে রাখি যে, ১৭ তম জি আই পন্যের নাম হলো, নাটোরে কাঁচাগোল্লা। মূলত ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ৩০ তারিখে নাটোরের কাঁচা গোল্লা জিআই পন্য হিসেবে নাটোর জেলা প্রশাসন থেকে আবেদন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ আগস্ট মাসের সরকারি ছুটির তালিকা দেখে নিন
ইলিশ জি আই পণ্য কত তারিখে?
আমরা সবাই জানি যে, ইলিশ হলো আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। কিন্তুু আপনি কি জানেন, ইলিশ কত তারিখে জি আই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো? -যদি আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে শুনুন,,,,, ইলিশ জি আই এর পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো ২০১৭ সালে।
11 তম জিআই পণ্য কোনটি?
আপনারা অনেকেই গুগলে সার্চ করেন যে, 11 তম জিআই পন্য কোনটি। তো আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে ১১ তম জিআই পন্যের নাম হলো, নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি। ২০২১ সালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন থেকে এই মাটিকে জিআই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
আর বর্তমান সময়ে এই মাটি আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমন, সিরামিট বাসন, টাইলস ইত্যাদি তৈরিতে এই মাটি ব্যবহার করা হয়। কেননা, এটি হলো আমাদের বাংলাদেশের উৎকৃষ্ট একটি মাটি। যা চাহিদা দিন দিন আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজের তালিকা
বাংলাদেশের প্রথম জি আই পণ্য কোনটি?
এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা বাংলাদেশের জি আই পন্য সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারলাম। তো এবার যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, বাংলাদেশের প্রথম জি আই পণ্য কোনটি? তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? -থাক আপনাকে উত্তর দিতে হবেনা, বরং আমি আপনাকে বলছি।
আমাদের বাংলাদেশের সর্বপ্রথম জি আই পন্যের নাম হলো, জামদানি। এটি মূলত ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম জি আই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো। তার ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ জি আই পন্যের স্বীকৃতি লাভ করেছিলো।
জি আই পণ্য স্বীকৃতি দেয় কোন সংস্থা?
স্বীকৃত জি আই পন্য গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি আমাদের আরো একটি বিষয় জেনে নিতে হবে। আর সেটি হলো, জি আই পণ্য স্বীকৃতি দেয় কোন সংস্থা।
তো জি আই পন্যের স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নাম হলো, WIPO. যার একটি পূর্ণরুপ আছে সেটি হলো, world intellectual property organization. মূলত উক্ত সংস্থা থেকে জি আই পণ্যকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
আরো পড়ুনঃ চট্টগ্রামের সরকারি কলেজের তালিকা
পরিশেষে লেখকের কিছু মন্তব্য
আপনারা যেন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য গুলো বিনামূল্যে জানতে পারেন। মূলত সে কারণে এই ব্লগের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়। আশা করি, আমাদের ব্লগের পাঠকরা এই পাবলিশ করা আর্টিকেল থেকে অনেক উপকৃত হবেন।
তো যদি আমাদের লেখা সম্পর্কে আপনার কোনো ধরনের মতামত কিংবা অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।