চীনের ১০ বছরের ভিসার দাম কত?

How much is the price of China’s 10-year visa?: আপন যদি একজন বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি পাসপোর্ট ও ভিসার মাধ্যমে চীনে যেতে পারবেন। আর বর্তমান সময়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে চীনের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তো আমাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চায় যে, চীনের ১০ বছরের ভিসার দাম কত। আর আজকে আমি আপনাকে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

চীনের ১০ বছরের ভিসার দাম কত?

যদি আপনি বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, বাংলাদেশের নাগরিকরা এখন ট্যুরিষ্ট ভিসার সহো আরো অন্যান্য ভিসার মাধ্যমে  চীনে যেতে পারবে।

আর বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিষ্ট ভিসায় চীন যেতে হলে। সিঙ্গেল এন্ট্রির জন্য ৩০ ডলার ও মাল্টিপল এন্ট্রির জন্য প্রায় ৯০ ডলার দিতে হবে। এছাড়াও আপনাকে ভিসা প্রসেসিং ফি হিসেবে প্রায় ১৪৯.৯৯ ($) দিতে হবে।

কিন্তুু আপনি যদি একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আপনি চীনের ১০ বছরের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সেজন্য আপনার ক্ষেত্রে  চীনের ১০ বছরের ভিসার দাম ভিন্ন ভিন্ন হবে। যেমন, সিঙ্গেল এন্ট্রির জন্য ১৪০ ডলার, ডাবল এন্ট্রির জন্য ১৫০ ডলার ও মাল্টিপল এন্ট্রির জন্য প্রায় ১৮০ ডলার দিতে হবে। (source: ivisa.com)

আরো পড়ুনঃ আমেরিকা থেকে কানাডায় যেতে কি কি লাগে?

বাংলাদেশিরা কোন কোন ভিসায় চীনে যেতে পারবে?

আমরা অনেকেই ধারনা করি যে, বাংলাদেশের নাগরিকরা শুধুমাত্র ট্যুরিষ্ট ভিসার মাধ্যমে চীনে যেতে পারবে। তো যারা এমনটা মনে করেন, তাদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।

কারণ, বর্তমান সময়ে এমন অনেক ভিসা আছে। যে গুলোর মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে চীনে যেতে পারবেন। যেমন, 

০১ – ট্যুরিষ্ট ভিসা (L Visa): আপনি যদি ভ্রমন করার উদ্দেশ্যে চীন যেতে চান। তাহলে আপনাকে ট্যুুরিষ্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

আর এই ভিসার মাধ্যমে আপনি সহো আপনার ফ্যামেলি কিংবা বন্ধুদের নিয়ে যেতে পারবেন। এর পাশাপাশি চীনে ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারবেন।

০২ – বিজনেস ভিসাঃ আপনাদের মধ্যে যে সকল মানুষ ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে চীন যেতে চায়। তাদের কে বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

তবে এই ভিসায় আপনি চীনে গিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন না। কিন্তুু আপনি ব্যবসা রিলেটেড অভিজ্ঞতা কিংবা মিটিং করতে পারবেন। আর উক্ত ভিসায় আপনি চীনে ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারবেন।

০৩ – স্টুডেন্ট ভিসাঃ আমাদের বাংলাদেশ থেকে যে সকল মানুষ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চান। তারা স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে চীন যেতে পারবেন।

আর অবাক করার মতো বিষয় হলো, চীনে স্টুডেন্ট ভিসায় আপনি ১৮০ দিন থেকে শুরু করে প্রায় ৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারবেন। এটি মূলত নির্ভর করবে আপনার কোর্সের মেয়াদের উপর।

০৪ – ওয়ার্ক ভিসাঃ আপনারা যারা কাজ করার উদ্দেশ্যে চীনে যেতে চান। তাদের জন্য ওয়ার্ক ভিসার আবেদন করতে হবে। আর সেজন্য আপনার নিকট অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস থাকতে হবে।

যদিওবা প্রাথমিক অবস্থায় চীনের ওয়ার্ক ভিসায় ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেয়। তবে যেহুতু আপনি কাজের উদ্দেশ্যে চীনে যাবেন।

সেহুতু পরবর্তী সময়ে আপনাকে আপনার ভিসা রিনিউ করতে হবে। আর তাহলে আপনি আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। (source: ivisa.com)

আরো পড়ুনঃ কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে

বাংলাদেশিরা কি ১০ বছরের ভিসায় চীন যেতে পারবে?

সত্যি বলতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য এখন পর্যন্ত ১০ বছরের ভিসা চালু করা হয়নি। তবে আপনি যদি একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি চীনের ১০ বছরের ভিসার সুবিধা নিতে পারবেন।

তবে আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে চীন যেতে পারবেন। যে ভিসা গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কানাডা ভিসা স্টেটাস চেক

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

প্রিয় পাঠক, আমরা যথাযথ চেষ্টা করি আপনার সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য। তবে আমাদের শেয়ার করা তথ্য গুলোতে যদি আপনি কোনো ভুল খুজে পান। তাহলে সেটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর যদি আপনি ভিসা ও পাসপোর্টের আপডেট তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *