ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে?

How much does it cost to go to Italy?: যদিওবা আমাদের বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যায়। তবে আপনি চাইলে আরো অন্যান্য ভিসায় ইতালিতে যেতে পারবেন।

আর আপনার এই ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে খচর করতে হবে। যেমন, আপনি যে পরিমান টাকা খরচ করে শিক্ষা ভিসায় ইতালি যেতে পারবেন।

আপনাকে তার থেকে কয়েক গুন বেশি টাকা খরচ করে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যেতে হবে।

তো এই যাবতীয় বিষয় গুলোর উপর ভিত্তি করে ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে। সেটি নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বাংলাদেশ থেকে কোন কোন ভিসায় ইতালি যাওয়া যাবে?

আমি উপরের আলোচনায় আপনাকে একটা কথা বলেছি। সেটি হলো, চলমান সময়ে একজন বাংলাদেশ এর নাগরিক। বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে ইতালি যেতে পারবে। আর সেই সকল ভিসা গুলো হলো,

  1. ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  2. ইতালি শিক্ষা ভিস
  3. ট্যুরিষ্ট ভিসা
  4. স্পন্সর ভিসা ইত্যাদি।

আর আপনার এই ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে। আপনার ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগবে। সেটি নির্ধারন করা সম্ভব হবে। কেননা, ভিন্ন ভিন্ন ভিসার ক্ষেত্রে ভিন্ন পরিমানের খরচ করতে হয়।

আরো পড়ুনঃ ইতালির ভিসা কবে খুলবে? ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন

ইতালিতে শিক্ষা ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে বিদেশ গিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায়। আর তাদের ক্ষেত্রে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার অন্যতম একটি দেশ হলো ইতালি।

তো যদি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে। তাহলে আপনি সেই যোগ্যতার মাধ্যমে ইতালির শিক্ষা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আর বর্তমান সময়ে ইতালিতে মোট ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ খরচ করে। শিক্ষা ভিসায় ইতালি যাওয়া যাবে। তারপর আপনি সেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।

ইতালিতে ট্যুরিস্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে?

আপনারা যারা বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করতে ভালোবাসেন। তাদের জন্য অন্যতম একটি দেশ হবে ইতালি। আর যখন আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে ইতালি যেতে চাইবেন।

তখন আপনার ক্ষেত্রে ইতালিতে ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রায় ০৩ লাখ থেকে ০৪ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। তারপর আপনি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইতালির মতো একটি সুন্দর দেশে ভ্রমন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ইতালি সর্বনিম্ন বেতন কত? | ইতালিতে কোন কাজের বেতন বেশি হয়?

ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে?

এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। কেননা, আমাদের বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যায়।

তো বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশিরা নাগরিকরা মোট ০২ ধরনের ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পায়। আর সেগুলো হলো,

  1. ইতালি সিজনাল ওয়ার্ক পারমিট
  2. ইতালি নন-সিজনাল ওয়ার্ক পারমিট

এখন আপনি যদি সিজনাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যেতে চান। তাহলে আপনার জন্য খরচ হবে প্রায় ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মতো।

কিন্তুু আপনার যারা নন-সিজনাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যাবেন। তাদের জন্য একটু বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে।

কেননা, বর্তমান সময়ে নন-নিজনাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ হলো প্রায় ৯ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা। আবার বেসরকারি এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে গেলে। আপনাকে আরো বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন হবে।

আরো পড়ুনঃ ইতালি স্পন্সর ভিসা মানে কি?

ইতালি যেতে কত বছর বয়স লাগে?

যেহুতু আপনি কাজ করার উদ্দেশ্যে ইতালি যাবেন। সেহুতু অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে, ইতালি যেতে কত বছর বয়স লাগে।

তো চলমান সময়ে যদি আপনার বয়স ১৮ বছর কিংবা এর থেকে বেশি বয়স হয়। তাহলে আপনি ইতালি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আর যদি আপনার ভিসা আবেদন গ্রহনযোগ্য হয়। তাহলে আপনি সেই ভিসার মাধ্যমে ইতালি তে গিয়ে কাজ করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ইতালি গ্রিন কার্ড পাওয়ার উপায় কি?

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

বর্তমান সময়ে ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে। আজকের আলোচনায় সেই বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য শেয়ার করা হয়েছে।

আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। আর এই ধরনের হেল্পফুল তথ্য গুলো সহজ ভাষায় জানতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *