ইতালির ভিসা কবে খুলবে? স্পন্সর ভিসা আবেদন ফরম

Italy Visa Update for Bangladesh: আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ ইতালির ভিসা করতে চান। তাদের মনে ইতালির ভিসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আছে। যেমন, ইতালির ভিসা কবে খুলবে?  কিভাবে ইতালি স্পন্সর ভিসার আবেদন করা যাবে। তো এই সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো কে একত্র করে আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

ইতালি ভিসা আপডেট | Italy Visa Update

ইতালির ভিসার নতুন খবরঃ ইতালির সরকার ইউরোপের অভিবাসন সংকটের সমাধানে একটি আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি ঘোষণা করেছেন যে, তারা আগামী তিন বছরে (২০২৫ সাল পর্যন্ত) ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক দেশে আমদানি করবে। [Source: The daily star]

কারা আবেদন করতে পারবে:

  • শ্রমিক সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না।
  • নিয়োগদাতা অনলাইনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করবেন।
  • নিজের বাড়ি বা ভাড়া বাড়ির কন্ট্রাক্ট থাকতে হবে।
  • ট্যাক্স প্রদান নিয়মিত এবং গৃহ মালিকদের নির্দিষ্ট অংকের বার্ষিক আয় থাকতে হবে।

শ্রমিকের যোগ্যতা:

  • বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
  • অন্তত ২ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • দক্ষ শ্রমিকদের কর্মদক্ষতার প্রমাণাদি থাকতে হবে।

আবেদনের খরচ:

  • শ্রমিকের জন্য খরচ নেই।
  • নিয়োগদাতার খরচ ১৬ ইউরো।
  • বাংলাদেশ থেকে আবেদনকারীদের জন্য প্রায় ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হবে।

কাজের বেতন:

  • দক্ষ শ্রমিক: মাসিক ১৫০০ থেকে ২৫০০ ইউরো (কম/বেশি)
  • অদক্ষ বা মৌসুমী শ্রমিক: মাসে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ বাংলাদেশি টাকা।
  • থাকা-খাওয়ার চুক্তি থাকলে আয়ের বড় অংশ সঞ্চয় করা যাবে।

কাজের সময়কাল:

  • নন সিজনাল শ্রমিক: ২ বছর (নবায়ন)
  • অদক্ষ বা সিজনাল শ্রমিক: সর্বোচ্চ ৯ মাস পর্যন্ত

ইতালির ভিসা কবে খুলবে ২০২৪

When will Italy visa open 2024: আমরা সকলেই একটা বিষয় ভালো করেই জানি। সেটি হলো, প্রতি বছর আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমান মানুষ ইতালি যায়। কিন্তুু গত কয়েক বছর ধরে এশিয়া মহাদেশ এর অনেক মানুষ ইতালি যেতে পারলেও। ইতালি সরকার বিভিন্ন কারণে আমাদের বাংলাদেশ কে ব্লাকলিষ্ট এর মধ্যে রেখে দিয়েছিলো।

কারণ হিসেবে জানিয়েছিলো যে, বাংলাদেশ এর শ্রমিক রা কোনো ধরনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেনা। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের দুর্নিতি ও অনিয়মনের কারণে ইতালি সরকার এই কঠিন সিন্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলো।

তবে সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে পুনরায় বাংলাদেশ থেকে ইতালি ভিসার আবেদন শুরু হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ০১ তারিখ থেকে পুনরায় বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তাই এখন আপনি ঠিক আগের মতো করে পুনরায় সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে ইতালি ভিসার জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। আর সেই সাথে এখন আমাদের বাংলাদেশে থাকা মানুষরা সিজনাল এবং স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে ইতালি তে যেতে পারবেন।

তো যারা এখনও ভাবছেন যে, ইতালির ভিসা কবে খুলবে। তারা এখন নিশ্চিন্তে ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন আর কিভাবে আপনি ইতালি ভিসার জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। সেই পদ্ধতি গুলো নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম স্টেপ বাই স্টেপ

ইতালি ভিসা কত প্রকার ও কি কি?

What are the types of Italy visa: যেহুতু আপনি ইতালি ভিসা সম্পর্কে জানতে এসেছেন। সেহুতু আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর সেটি হলো, বর্তমান সময়ে আপনি বেশ কয়েক প্রকারের ভিসায় ইতালি যেতে পারবেন। যেমন, ০১) সিজনাল ইতালি ভিসা এবং ০২) নন-সিজনাল বা স্পন্সর ইতালি ভিসা।

কিন্তুু এই নন-সিজনাল বা স্পন্সর ইতালি ভিসাকে আরো কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। আর সেই নন সিজনাল ইতালি ভিসার প্রকারভেদ গুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো। যেমন, 

  1. স্পন্সর ভিসা,
  2. ফ্যামিলি ভিসা,
  3. শিক্ষার্থী ভিসা,
  4. বিনিয়োগকারী ভিসা,
  5. ভ্রমণ ভিসা,
  6. ওয়ার্ক ভিসা,

যদিওবা আমাদের বাংলাদেশ থেকে যে সকল মানুষ ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসা করতে চান। তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ ইতালি তে কাজ করার জন্যই ভিসা করতে চান।

তবে আপনি যে কোনো উদ্দেশ্য ইতালি যান না কেন। যেন আপনার মধ্যে ইতালির সকল ভিসা সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকে। সে কারনে উপরের তালিকা সকল প্রকার ইতালি ভিসার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ওয়ার্কার ভিসা চেক করার নিয়ম

ইতালি স্পন্সর ভিসা খোলা নাকি বন্ধ?

ইতালির জর্জা মেলোনি সরকার আগামী ৩ বছরে ৪ লক্ষ ৫২ হাজার শ্রমিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে! ২০২৪ সালে ১ লক্ষ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার শ্রমিক নিয়োগের মাধ্যমে দেশটির শ্রমিক সংকট সমাধানের চেষ্টা করবে সরকার। যা থেকে এটা ষ্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইতালি স্পন্সর ভিসা খোলা আছে।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ওয়ার্কার ভিসা চেক করার নিয়ম

ইতালির স্পন্সর ভিসার আবেদন

Italy Sponsor Visa Application: প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনে ইতালিতে শ্রমিক নিয়োগের খবর আশার আলো জাগিয়েছে। কিন্তু ভিসার জটিল প্রক্রিয়া এই আশার আলোতে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

কারণ, ভিসার জন্য আবেদন শুরু হলেও ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে জমার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা দেখা যাচ্ছে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পাওয়া এবং ভিসা প্রদানে দীর্ঘসূত্রতা প্রবাসীদের হতাশ করছে।

এই পরিস্থিতিতে ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন প্রবাসীরা। অনলাইন আবেদন শুরু হওয়ার সাথে সাথে দালাল চক্রও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে তারা অসৎভাবে অর্থ আদায় করছে।

অন্যদিকে, শ্রমিক সংকটে চরম বিপাকে রয়েছে ইতালির কৃষি ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন দেশের ভিসা জটিলতা তাদের আর্থিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪ লাখ ৫২ হাজার প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার। চলতি বছর এক লাখ ৫১ হাজার শ্রমিক দেশটিতে যেতে পারবেন। [সোর্সঃ সময়টিভি]

ইতালি স্পন্সর ভিসা আবেদন ফরম

ইতালি স্পন্সর ভিসা আবেদন ফরম

ইতালি স্পন্সর ভিসা আবেদন ফরম

Schengen Visa Application Form

Schengen-Visa-Application-Form

Schengen-Visa-Application-Form

২০২৪ সালে ইতালি ভিসার খরচ কত টাকা?

What is the cost of Italy visa in 2024: উপরের আলোচনা থেকে আমরা ইতালি ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারলাম। তো এবার আমাদের জানতে হবে যে, ২০২৪ সালে ইতালি ভিসার জন্য মোট কত টাকা খরচ করতে হবে। আর আমরা সবাই জানি, ইতালি তে সিজনাল এবং নন-সিজনাল এই দুই ধরনের ভিসা পাওয়া যায়।

তো আপনার আসলে ইতালি ভিসার জন্য মোট কত টাকা ব্যয় করতে হবে। সেটা নির্ভর করবে আপনার ভিসা কি সিজনাল নাকি নন সিজনাল তার উপর।

আর আপনি যদি ইতালি সিজনাল ভিসা করেন। তাহলে আপনি ইতালি তে মাত্র ৬ মাস থেকে ৯ মাস পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। তবে সিজনাল ভিসার সমস্যা হলো, এই ভিসা পুনরায় রিনিউ করার সুযোগ নেই। অর্থাৎ আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশ ত্যাগ করতে হবে।

আর আপনি যদি সিজনাল ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চান। তাহলে আপনাকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে মোট ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হবে।

তবে নন সিজনাল ভিসার ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। কেননা, নন সিজনাল ভিসা বা স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে আপনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ইতালি তে থাকতে পারবেন। নন সিজনাল ভিসা থাকলে আপনি প্রায় ৫ বছর থেকে ৬ বছর পর্যন্ত ইতালি তে অবস্থান করতে পারবেন।

তো আপনি যদি নন সিজনাল বা স্পন্সর ভিসায় ইতালি যেতে চান। তাহলে আপনাকে বাংলাদেশি টাকায় মোট ১০ লক্ষ থেকে শুরু করে মোট ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যায় করার প্রয়োজন হবে।

কিন্তুু আপনি যদি শুধুমাত্র ইতালি ভিসার আবেদন এর খরচ কত সেটি জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, ইতালি ভিসার আবেদন খরচ কিছুটা কম

ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা আপডেট ২০২৪

Italy Agriculture Visa Update 2024: আপনি হয়তবা বেশ ভালো করে জানবেন যে, ইতালি তে ব্যাপক পরিমানে কৃষি কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। আর আপনি যদি কৃষিকাজে দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে আপনিও ইতালি তে এগ্রিকালচার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আর যদি আপনি কৃষি ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে পারেন। তাহলে সেই দেশে আপনি অনেক ভালো বেতনের সুবিধা নিতে পারবেন।

কেননা, বর্তমান সময়ে যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইতালি গিয়ে কৃষিকাজ করে তাদের কে মাসিক এবং প্রতি ঘন্টার উপর ভিত্তি করে বেতন প্রদান করা হয়। তবে স্বাভাবিক ভাবে যদি আপনি ঘন্টা প্রতি ইতালি তে কৃষিকাজ করেন তাহলে আপনি প্রতি ঘন্টা কাজের বিনিময়ে ৫ থেকে ৬ ইউরো পর্যন্ত বেতন পাবেন।

কিন্তুু আপনি যদি আপনার কৃষিকাজে দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনার বেতনের পরিমান আরো কয়েক গুন বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে আপনি প্রতি ঘন্টা কাজের বিনিময়ে প্রায় ৮ ইউরো থেকে ১০ ইউরো পর্যন্ত বেতন সুুবিধা নিতে পারবেন।

ইতালিতে ওয়েল্ডিং এর কাজের বেতন কত?

Salary for welding jobs in Italy: আপনি যদি ইতালিতে কাজের ভিসায় যেতে চান, তাহলে আপনি সেই দেশে ওয়েল্ডিং এর কাজ করার চেষ্টা করবেন। কেননা, অন্যন্য কাজের তুলনায় ইতালি তে ওয়েল্ডিং এর কাজে অনেক ভালো বেতন পাওয়া যায়। তবে সমস্যা হলো, যদি আপনার এই কাজে দক্ষতা না থাকে তাহলে আপনি ইতালি তে ওয়েল্ডিং এর কাজ করতে পারবেন না। 

আর বর্তমান সময়ে আপনি যদি ইতালি তে ওয়েল্ডিং এর কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ০৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন সুবিধা নিতে পারবেন। তবে কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এই টাকার মান কমতে পারে।

কিন্তুু আপনি যদি ফুড প্যাকেজিং কিংবা ক্লিনিং এর কাজ করেন। তাহলে এই কাজে তুলনামূলক কম বেতন পাবেন। এর কারণ হলো, উক্ত কাজ গুলোতে আপনাকে কম কষ্ট করতে হবে। যার তুলনায় অন্যান্য কাজে বেশি কষ্ট করতে হয়।

ইতালি ভিসা নিয়ে আমাদের শেষকথা

তো আপনারা যারা ইতালি ভিসা কবে চালু হবে এবং ইতালি ভিসা আবেদন লিংক খুজছিলেন। আশা করি, তারা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন।

তবে এরপরও যদি আপনার ইতালি ভিসা নিয়ে আরো কিছু জানার থাকে। তাহলে আপনার প্রশ্নটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

আর আপনি যদি ভিসা সম্পর্কিত অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ, এতক্ষন থেকে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন