কানাডা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৩

How much does it cost to go to Canada 2023?: আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মানুষ কানাডা যেতে চায়। তো বর্তমান সময়ে একজন মানুষের কানাডা যেতে কত টাকা লাগবে। তার সম্পূর্ণটাই নির্ভর করবে, আপনি কোন ভিসায় কানাডা যাবেন তার উপর।

কেননা, আপনি যদি ভ্রমন ভিসায় কানাডা যেতে চান। তাহলে আপনার যে পরিমান টাকা খরচ করতে হবে। তার থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ হবে, যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে চান।

তো সেই কারণে এবার আমি আপনাকে একটি তালিকা প্রদান  করবো। যে তালিকা থেকে আপনি কানাডা এর বিভিন্ন ভিসার খরচ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কানাডা যেতে কত টাকা লাগে?

আলোচনার শুরুতেই বলেছি যে, কানাডা যেতে কত টাকা লাগবে। তা আপনার ভিসার ধরন এর উপর নির্ভর করবে। যেমন,

  1. কানাডা ভ্রমন ভিসার খরচ প্রায় ০২ থেকে ০৩ লাখ টাকা।
  2. কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ প্রায় ১০  লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা।
  3. আবার কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ প্রায় ০৫ লাখ থেকে ০৬ লাখ টাকা।

তবে উপরের তালিকায় উল্লেখিত টাকার চেয়েও আপনার আরো বেশি বা কম টাকা খরচ হতে পারে। কেননা, এই খরচের টাকা আপনার ভিসার ধরনের পাশাপাশি। আপনি কোন মাধ্যমে কানাডা যাবেন, তার উপরেও নির্ভর করবে।

যেমন, আপনি যদি এমন একটি এজেন্সির মাধ্যমে কানাডা ভিসার জন্য যোগাযোগ করেন। যারা আপনার থেকে বেশি টাকা নেওয়ার ধান্দায় আছে।

তাহলে কিন্তুু আপনাকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি টাকা বহন করতে হবে। এছাড়াও আমাদের দেশের দালালরা সর্বদাই দালালের চাইতে অধিক বেশি টাকা নিয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ কানাডা কৃষি কাজের বেতন কত?

কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়া কি কঠিন?

অনেকের এমন ধারনা জন্মেছে যে, কানাডার ট্যুরিষ্ট ভিসা পাওয়া খুব কঠিন। তো যারা আসলে এমনটা মনে করেন। তাদের এই ধারনা সম্পূর্ণ ভূল।

কেননা, যদি আপনার নিকট কানাডা ভ্রমন ভিসার জন্য সকল ডকুমেন্টস থাকে। তাহলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আর যখন আপনি কানাডা ভ্রমন ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তারপর আপনার দেওয়া ডকুমেন্টস যদি সঠিক হয়। তাহলে আপনি নির্দিষ্ট সময় পর আপনার ভ্রমন ভিসা হাতে পাবেন।

কিন্তুু যদি আপনার কানাডা ভ্রমন ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর মধ্যে সমস্যা থাকে। কিংবা আপনি যদি কোনো ভুল তথ্য প্রদান করেন।

তাহলে আপনার জন্য কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা শুধু কঠিন নয়। বরং আপনার কাছে কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা একবারে অসম্ভব হয়ে পড়বে।

আরো পড়ুনঃ কানাডা ও আমেরিকার সীমান্তের ইতিহাস

কানাডা ভিসা কিভাবে করবো?

সত্যি বলতে কানাডা ভিসা করার পদ্ধতি খুব সহজ। সেজন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম ফলো করে কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর সেগুলো হলো, 

  1. সর্বপ্রথম আপনাকে ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
  2. তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে উক্ত ফরম পূরন করতে হবে।
  3. এবার আপনাকে উল্লেখিত ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে।
  4. তারপর আপনাকে ভিসা অফিসে এসে উক্ত ফরম ও ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
  5. উক্ত সময় আপনার ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে।

এরপর ইলেকট্রনিক্স ভিসার জন্য আপনাকে যা কিছু করতে হবে। সেগুলো আপনাকে সেই ভিসা অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। যেমন, ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ কানাডায় যাওয়ার প্রথম ধাপ কি?

ভিজিটর ভিসায় কি কানাডায় কাজ করা যায়?

আমাদের বাংলাদেশের নাগরিকদের এটি খুব কমন একটি প্রশ্ন। সেটি হলো, ভ্রমন ভিসায় কি কানাডা গিয়ে কাজ করতে পারবো কিনা।

তো যারা আসলে এই বিষয়ে জানতে চান। তাদের ষ্পষ্ট করে বলবো যে, ভিজিটর ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কখনোই সমান নয়। কারন, এই দুটো ভিসার মধ্যে স্থায়ীত্বের ব্যবধান আছে।

যেমন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি বছরের পর বছর কানাডায় থাকতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি ভিজিটর ভিসায় কানাডা যান। তাহলে সেখানে আপনার সর্বোচ্চ স্থায়ী থাকার মেয়াদ হবে ০৩ মাস থেকে ০৬ মাস।

তাই যদি আপনার কানাডায় কাজ করার উদ্দেশ্যে থাকে। তাহলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করুন। তাহলে আপনি কানাডা গিয়ে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

তো আপনি যদি কানাডা ভিসা সম্পর্কে আরো কোনো অজানা তথ্য জানতে চান। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *