কানাডা ও আমেরিকার সীমান্তের ইতিহাস
History of the Canadian-American border: বিশ্বের মধ্যে যতগুলো দেশের মধ্যে সীমান্ত আছে। তার মধ্যে কানাডা ও আমেরিকার সীমান্ত আয়তনের দিক থেকে অনেক দীর্ঘ। কেননা, কানাডা ও আমেরিকার সীমান্তের আয়তন প্রায় ৮,৮৯১ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। যে সীমানা গ্রেট লেক, আটলান্টিক এবং প্রশান্ত মহাসাগর জুড়ে বিস্তার করে আছে।
আর এই দীর্ঘ সীমান্ত প্রায় দুটি দেশের সাথে যুক্ত আছে। আর সেগুলো হলো, দক্ষিন অংশ সংযুক্ত আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে। এছাড়াও উক্ত সীমান্তের পশ্চিম অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা রাজ্যের সাথে যুক্ত আছে।
তো আজকে আমরা কানাডা ও আমেরিকার সীমান্তের ইতিহাস সম্পর্কে জানবো। যদি আপনি সেই ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে নিচের আলোচনায় চোখ রাখুন।
কানাডা ও আমেরিকার সীমান্তের ইতিহাস
[Source: Wikipedia] প্রায় ১৮ তম শতাব্দী থেকে ১৯ তম দশক পর্যন্ত সময়ে বিশেষ এক ধরনের চুক্তি হয়েছিলো। যে চুক্তির নাম দেওয়া হয়, জে চুক্তি। আর উক্ত চুক্তি ১৭৯৪ সালের মধ্যে কার্যকর করা হয়েছিলো।
তো বিশেষ এই চুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমানা কমিশন গঠন করা হয়েছিলো। আর উক্ত কমিশন এর মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে সীমানা জরিপ করার কাজ থেকে শুরু করে ম্যাপিং করার কাজ সম্পন্ন হয়েছিলো।
কিন্তুু পরবর্তী সময়ে ঘেন্টের চুক্তির মাধ্যমে জে চুক্তিকে ১৮১৫ সালে সম্পূর্ণ ভাবে বাতিল করা হয়।
আরো পড়ুনঃ কোপা আমেরিকার ইতিহাস (আপডেটেড)
১৮১৮ সালের লন্ডন কনভেনশন
যখন ১৮১৫ সালের দিকে জে চুক্তিকে বাতিল করা হয়। তখন ব্রিটিশ উত্তর আমেরিকা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট একটি বিষয় লক্ষ্য করতে পারে। সেটি হলো, তাদের সীমানা ৪৯ তম সামন্তরাল বরাবর পশ্চিম দিকে অনেক বেশি প্রসারিত হয়ে গেছে।
আর তারপর তারা সেই সীমানার মধ্যে কয়েকশ ফুট দাগ পরিবর্তন করে।
ওয়েবস্টার – অ্যাশবার্টন চুক্তি (১৮৪২)
কিন্তুু তার পরবর্তী সময় থেকে সীমানা বিরোধ লেগেই ছিলো। যার ফলে তারা পুনরায় তাদের মধ্যে আলোচনা করার সিন্ধান্ত নেয়। আর সেই সিন্ধান্ত থেকে পুনরায় ১৮৪২ সালে ওয়েবস্টার-অ্যাশবার্টন চুক্তি তৈরি করা হয়।
১৮৪৬ ওরেগন চুক্তি
সময়টা ছিলো ১৮৪৪ সাল। আর সেই সময়ে প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে ছিলেন, পোষ্কের। আর সেই সময়ে আবার সীমানা বিরোধ সংঘঠিত হয়েছিলো। আর সেই বিরোধের মূল কারণ ছিলো, টেরিটরির দক্ষিন সীমানার সাথে সম্পর্কিত রকিজের পশ্চিম সীমানা করার দাবী।
আর এই বিরোধ যে চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিলো। সেই চুক্তির নাম হলো, ওরেগন চুক্তি। যার মাধ্যমে রকিজের সীমানা হিসেবে ৪৯ তম সমান্তরাল সীমানা স্থাপন করা হয়েছিলো।
আরো পড়ুনঃ কোপা আমেরিকা কত বছর পর পর হয়?
১৯ শতকের সীমানা জরিপ
প্রায় ১৮৫৭ সাল থেকে ১৮৬১ সাল পর্যন্ত জমির বিভিন্ন ধরনে সীমানা নির্ধারন করা হয়েছিলো। কিন্তুু সেই সময়ে কোনো প্রকার জল সীমানা নির্ধারন করা হয়নি। আর যখন ১৮৫৯ সালে শূকর যুদ্ধ শুরু হয়। তখন ১৮৭২ সালে সালিসি উপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং সান জুয়ান দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে সীমানা স্থাপন করা হয়েছিলো।
২০ শতকের ইতিহাস
যখন ১৯০৩ সাল চলছিলো, সেই সময় ক্লোনডাইক গোল্ড রাশের কারনে আবার একটি বিরোধ শুরু হয়েছিলো। তারপর কানাডা-মার্কিন ট্রাইব্যুনাল দক্ষিন পূর্ব আলাস্কার মধ্যে সীমানা নির্ধারন করা হয়।
তারপর ১৯২৫ সালে সীমান্তের জরিপ ও ম্যাপিং বজার রাখার জন্য। আন্তর্জাতিক সীমানা কমিশন এর মিশন গঠন করা হয়েছিলো। যেটিকে স্থায়ী মিশনও বলা হয়। এর পাশাপাশি ১৯০৯ সালে সীমানা জল চুক্তি করা হয়েছিলো।
যে চুক্তিতে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আন্তর্জাতিক যৌথ কমিশন স্থাপন করা হয়েছিলো। যার মাধ্যমে সীমান্তের মধ্যে থাকা জল ও স্থলপথকে পুনরায় তদন্ত করা হয়েছিলো। সেই সাথে তদন্তের প্রকল্প গুলোকে পূর্ণাঙ্গ ভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিলো।
২০২০ থেকে ২০২১ সাল
আর এর পরবর্তী সময়ে সীমান্তের মধ্যে উভয় দিক থেকে অর্থনৈতিক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এর পাশাপাশি সীমান্তের মধ্যে যে সকল নিষেধাজ্ঞা ও চুক্তি ছিলো। সেগুলোর মধ্যে সম্বন্বয় সাধন হয়েছে।
এছাড়াও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সীমান্তের কাছে সামরিক কর্মী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তুু পরবর্তী সময়ে বিরোধীতার কারণে এই সিন্ধান্ত বাতিল করা হয়।
আরো পড়ুনঃ আমেরিকার অঙ্গরাজ্য কয়টি ও কি কি?
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা কানাডা ও আমেরিকার সীমান্তের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্য আজকে সেই ইতিহাস কে খুব সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
তো এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।