পাসপোর্ট ব্যাংক ড্রাফট এর মেয়াদ
মনে করুন, আপনি পাসপোর্ট এর জন্য যাবতীয় ডকুমেন্টস গুলো দিয়ে আবেদন করেছেন। এর পাশাপাশি আপনি পাসপোর্ট এর আবেদন ফি ব্যাংক ড্রাফট করেছেন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ছয় (০৬) মাসের মধ্যে সেই পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট করতে হবে।
কেননা, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর অনুযায়ী। পাসপোর্ট ব্যাংক ড্রাফট এর মেয়াদ সর্বোচ্চ ০৬ মাস পর্যন্ত থাকে। আর উক্ত সময়ের মধ্যে আপনাকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে এবং এনরোলমেন্ট করতে হবে।
কত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়?
আপনি আপনার পাসপোর্ট কতদিনের মধ্যে পাবেন। সেটা মূলত নির্ভর করে আপনার পাসপোর্ট এর ধরনের উপর। কেননা বর্তমান সময়ে মোট তিন (০৩) ধরনের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। আর সে গুলো হলো,
- সাধারণ পাসপোর্ট
- জরুরী পাসপোর্ট
- অতি জরুরী পাসপোর্ট
এক্ষেত্রে আপনি যদি সাধারণ পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনি ২১ দিনের মধ্যে সেই পাসপোর্ট পাবেন। ঠিক একই ভাবে জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য সাত (০৭) দিন এবং অতি জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য দুই (০২) দিন অপেক্ষা করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট রেনু করতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশে মোট কত প্রকারের পাসপোর্ট পাওয়া যায়?
বর্তমান পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পাসপোর্ট এর প্রচলন রয়েছে। তবে আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ এর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, আমাদের বাংলাদেশে মোট (০৩) তিন প্রকারের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। আর সে গুলো হলো,
- দাপ্তরিক পাসপোর্ট
- কূটনৈতিক পাসপোর্ট এবং
- নিয়মিত পাসপোর্ট,
তো আপনি যদি একজন বাংলাদেশী হয়ে থাকেন এবং যদি আপনি পাসপোর্ট করতে চান। তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ (আপডেট তথ্য)
আমার পাসপোর্ট হয়েছে কিনা সেটা কিভাবে বুঝব?
আপনি যখন আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস ও ফি প্রদান করার পর পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তারপর আপনার পাসপোর্ট হয়েছে কিনা সেটি আপনি খুব সহজে চেক করে নিতে পারবেন। তবে সেটি চেক করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু পদ্ধতি ফলো করতে হবে।
আর পাসপোর্ট হয়েছে কিনা সেটি চেক করার জন্য আপনাকে যে সকল নিয়ম ফলো করতে হবে। সে গুলো নিচে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দেওয়া হল। যেমন,
- সবার প্রথমে আপনাকে এখানে ক্লিক করতে হবে।
- তারপর আপনি উপরের দিকে “CHECK STATUS” নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করেও সরাসরি উক্ত পেজে প্রবেশ করতে পারবেন।
- তারপর আপনি ”Online Registration ID” অথবা “Application ID” প্রদান করবেন।
- এরপর আপনাকে আপনার জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে।
- তারপর আপনাকে একটি ক্যাপচা কোড পূরন করতে হবে।
- সবশেষে আপনি “Check” নামক বাটনে ক্লিক করবেন।
তো যদি আপনি উপরে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম স্টেপ বাই স্টেপ
পাসপোর্ট এর তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন কিভাবে করা যায়?
অনেক সময় পাসপোর্ট এর আবেদন করার পর আমরা লক্ষ্য করতে পারি যে, সেখানে প্রদান গুলো তে ভুল হয়ে যায়। আর সে কারণে আমরা পরবর্তী সময়ে সেই ভুল তথ্য বা ডকুমেন্ট গুলো সংশোধন অথবা পরিবর্তন করতে চাই।
আর এই ধরনের তথ্য সংশোধন কিংবা পরিবর্তন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট ইস্যু করতে হবে। আর আপনি আসলে আপনার কোন তথ্য গুলো পরিবর্তন করতে চান। সেটি জানিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
তো যখন আপনি উপরের এই কাজ গুলো করতে পারবেন। তখন আপনি আপনার পাসপোর্ট এর তথ্য পরিবর্তন কিংবা সংশোধন করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া ভিসা আবেদন (আপডেট নিয়ম)
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন যে, পাসপোর্ট ব্যাংক ড্রাফট এর মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত থাকে। তাদের কে আজকের এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পাসপোর্ট রিলেটেড এমন কিছু তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। যেগুলো আপনার জেনে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।
আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আর এই ধরনের উপকারী তথ্য গুলো বিনামূল্য পেতে চাইলে, আমাদের সাথে থাকবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।