ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ (আপডেট তথ্য) 

UK Work Permit Visa 2024: বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন দেশে যায়। কিন্তুু আপনি কি জানেন, যদি আপনার যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন? -হুমম, আপনি ঠিকই দেখেছেন। কেননা, বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইউকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে যদি আপনি ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চান। তাহলে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে, আপনার কত টাকা খরচ হবে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আর নিচের আলোচনায় আমি আপনাকে উক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

বাংলাদেশ থেকে কি ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়?

Is UK work permit visa available from Bangladesh: দেখুন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আমরা যেভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করি। ইউকে ভিসার ক্ষেত্রে আপনি অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। কেননা, আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউকে যেতে চান তাহলে আপনার নিকট অবশ্যই স্পন্সরশীপ থাকতে হবে। এছাড়াও আপনার নির্দিষ্ট কোনো কাজে পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা থাকতে হবে।

আর যখন আপনি ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করবেন। তখন আপনাকে আপনার কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। তো এর বাইরেও আরো অনেক কিছুর দরকার হয় তবে শুধু এটুকু জেনে রাখুন, যে স্পন্সরশীপ সার্টিফিকেট ছাড়া ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া সম্ভব হবেনা

আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (আপডেট তথ্য)

ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজনীয়তা

UK Work Permit Visa Eligibility: ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনার অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার দরকার হবে। আর যদি আপনার সেই যোগ্যতা গুলো থাকে তাহলে আপনি ইউকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তো উক্ত যোগ্যতা গুলো উল্লেখ করা হলো। যেমন,

  1. নির্দিষ্ট দক্ষতা, যোগ্যতা, বেতন এবং পেশার মতো সংজ্ঞায়িত প্যারামিটারে যোগ্যতা অর্জনের জন্য আপনার অবশ্যই 70 পয়েন্টের স্কোর থাকতে হবে।
  2. আপনার ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি বা 2 বছরের দক্ষ কাজের অভিজ্ঞতার সমতুল্য থাকতে হবে যা যোগ্য পেশা তালিকা তে অন্তর্ভুক্ত।
  3. আপনার অবশ্যই হোম অফিসের লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্পনসরের কাছ থেকে চাকরির অফার থাকতে হবে।
  4. কাজের অফারটি অবশ্যই প্রয়োজনীয় দক্ষতার স্তরে হতে হবে – RQF 3 বা তার উপরে (A স্তর এবং সমতুল্য)।
  5. আপনাকে অবশ্যই ভাষাগুলির জন্য সাধারণ ইউরোপীয় ফ্রেমওয়ার্ক অফ রেফারেন্সে B1 স্তরে ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

যদিওবা আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন যোগ্যতার দরকার হবে। কিন্তুু ইউকে ভিসার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় আপনার যে সকল যোগ্যতার দরকার হবে। সেগুলো উপরে তালিকা তে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ কানাডা ভিসা খরচ (আপডেট তথ্য)

ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য নথিপত্র

আপনি যখন আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। আর সেই ডকুমেন্টস এর তালিকা নিচে দেওয়া হলো। যেমন, 

  1. স্পনসরশিপের সার্টিফিকেট রেফারেন্স নম্বর
  2. ইংরেজি ভাষার জ্ঞানের প্রমাণ
  3. একটি বৈধ পাসপোর্ট
  4. আপনার কাজের শিরোনাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে
  5. আপনার বার্ষিক বেতন উল্লেখ করতে হবে
  6. কাজের পেশা কোড
  7. নিয়োগকর্তার নাম
  8. নিয়োগকর্তার স্পনসর লাইসেন্স নম্বর

যখন আপনি উপরোক্ত এই ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। ঠিক তখনি আপনি ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাই সবার আগে আপনাকে উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করতে হবে।

UK work permit Checklist

ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেকলিষ্ট

ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেকলিষ্ট

বাংলাদেশিদের জন্য ইউকে ভিসা ফি কত টাকা?

UK Visa Fees for Bangladeshis: দেখুন, স্বাভাবিক ভাবে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইউকে যেতে চান। তাহলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রায় ১৯৫ ইউরো এর মতো ফি প্রদান করতে হবে। যাকে বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে মোট টাকার পরিমান হবে প্রায় ২৩ হাজার ৮৪৩ টাকা। তবে সময়ভেদে এই ভিসা ফি এর মান আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

কিন্তু এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো সেটি হলো, ইউকে ভিসা ফি এর মূল্যে কত হবে সেটা মূলত ভিসা মেয়াদ এর উপর নির্ভর করে নির্ধারন করা হয়। আর নিচে আমি সেই ভিন্ন মেয়াদের ভিসা ফি সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো শেয়ার করলাম। যেমন, 

  1. Short-term (6-11 months) – 11,000 (BDT)
  2. Longer-term (valid for up to 2 years) – 40,000 (BDT)
  3. Longer-term (valid for up to 5 years)- 75,000 (BDT)
  4. Longer-term (valid for up to 10 years) – 93,000 (BDT)

তো উপরের তালিকা তে আপনি বিভিন্ন মেয়াদের ইউকে ভিসা ফি দেখতে পাচ্ছেন। এখন আপনি যে মেয়াদের ইউকে ভিসা নিতে চান আপনাকে সেই পরিমান ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কাতার কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আমাদের কিছুকথা

উপরের আলোচনা তে ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সাধারন বিষয় গুলো শেয়ার করা হয়েছে। তো যদি আপনি ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। তাহলে আমি পরবর্তী আর্টিকেলে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো।

আর ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *