রোমানিয়া ভিসা আবেদন (আপডেট নিয়ম)
Romania visa application: গত আর্টিকেলে আমি আপনাদের সরকারি ভাবে রোমানিয়া যাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বলেছিলাম। তো সেখানে অনেকেই রোমানিয়া ভিসা আবেদন এর আপডেট তথ্য গুলো জানতে চেয়েছেন। মূলত এই আর্টিকেলটি তাদের জন্যই লেখা হয়েছে।
কেননা, আজকে আমি আপনাকে রোমনিয়া ভিসা আবেদর করার সকল পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিবো।
কেন রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করবেন?
সবার শুরুতে আমি আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলতে চাই। আর সেটি হলো, বর্তমানে আমরা কাজের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাই। তো সেই সকল দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, রোমানিয়া। যেখানে আপনি একজন বাংলাদেশি হয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।
যেমন, গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরি, ড্রাইভিং, ফুড প্যাকেজিং, হোটেল ইত্যাদি। আর এই কাজ গুলো করার মাধ্যমে আপনি অনেক ভালো বেতন পাওয়ার সুযোগ পাবেন। এর কারণ হলো, আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো কাজে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে আপনার মাসিক বেতন এর পরিমান হবে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
মূলত এই সব কারণে আমাদের উচিত রোমনিয়া ভিসা আবেদন করা। তাই চলুন এবার রোমনিয়া ভিসা আবেদন করার সকল আপডেট তথ্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কিভাবে রোমনিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়?
প্রথমত আপনি যেহুতু রোমনিয়া তে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। সেহুতু আপনার অবশ্যেই কোনো না কোনো কাজে দক্ষতা থাকতে হবে। আর সেই দক্ষতার বিনিময়ে আপনি সেই দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আপনাকে রোমানিয়া ভিসার জন্য অবশ্যই বৈধ পথে আবেদন করতে হবে।
তো যখন আপনি রোমনিয়ার বৈধ ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেই ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে রোমানিয়া দূতাবাস এর নিকট থেকে আবেদন করতে হবে। আর আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আপনাকে আপনার নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
কিভাবে রোমনিয়া দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করবেন?
সত্যি বলতে দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদন করার কাজ খুব সহজ। সেজন্য আপনাকে যে সকল নিয়ম মানতে হবে। সেই নিয়ম গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- সবার প্রথমে আপনাকে আপনার নিকটতস্থ দূতাবাস এর নিকট যেতে হবে।
- তারপর আপনাকে একটি আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
- আর আপনার পাসপোর্ট এর মাধ্যমে সেই আবেদন ফরম পূরন করতে হবে।
- এই যাবতীয় কাজ গুলো করার পর আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে।
- তারপর আপনার নির্ধারিত ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
- আর সবশেষে যখন আপনার ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শুরু হওয়ার পর্যায়ে আসবে। তখন আপনাকে আপনার ডিজিটাল ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করতে হবে।
যখন আপনি উপরের কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবেন। তারপর আপনাকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা, যখন আপনি সঠিক ভাবে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করবেন। এবং আপনার প্রদান করা তথ্য বা ডকুমেন্টস এর মধ্যে যদি কোনো ভুল না থাকে। তাহলে আপনি ১৫ দিন থেকে শুরু করে ৬০ দিনের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন।
রোমনিয়া ভিসা করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস দিতে হয়?
উপরের আলোচনা তে আমরা রোমনিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে পারলাম। তো সেখানে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হলো, রোমানিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আর সেই কাগজপত্র এর তালিকা গুলো নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,
- আপনার নিকট একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যার মেয়াদ কমপক্ষে ১২ মাস মেয়াদী হতে হবে।
- আপনার সকল কাগজপত্র গুলো রোমনিয়া দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে।
- যদি আপনার কোনো কাজের অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে আপনাকে সেই কাজের সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর দরকার পড়বে।
- আইইএলটিএস এর সনদ প্রদান করতে হবে।
- বিএমইটির দক্ষতা যাচাই এর সনদ এর প্রয়োজন পড়বে।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এর দরকার হবে।
- রোমানিয়া ভিসা আবেদন এর কপি প্রদান করতে হবে।
- এছাড়াও আপনার সদ্য তোলা ছবি দরকার পড়বে।
তো যখন আপনি রোমানিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনাকে যে সকল ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। সেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা উপরে প্রদান করা হলো।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কত টাকা লাগবে?
এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। সেটি হলো, যদি আপনি কাজ বা চাকরি করার জন্য রোমানিয়া তে যেতে চান। তাহলে আপনার মোট কত টাকা খরচ করতে হবে। সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা আমাদের অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
তো বর্তমান সময়ে রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনাকে মোট ৭ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করার দরকার হবে। আর এই টাকার পরিমান তখনি কার্যকরী হবে। যখন আপনি বৈধ উপায়ে রোমনিয়া যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
কিন্তুু আপনি যদি কোনো এজেন্সির সহায়তা নেন, কিংবা দালাল চক্রের মাধ্যমে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করেন। সেক্ষেত্রে আপনার এর থেকে আরো অনেক বেশি টাকা খরচ করার দরকার হবে। কেননা, এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে রোমানিয়া ভিসার জন্য আপনার প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মতো খরচ করার দরকার হবে।
রোমানিয়া ভিসা আবেদন করার কতদিন পরে পাওয়া যাবে?
ভিসার আবেদন করার পর আমাদের সবার মনে প্রশ্ন জাগে যে, উক্ত ভিসা হাতে পেতে হলে কতদিন অপেক্ষা করতে হবে। আর আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন জাগে। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, ভিসা আবেদন করার পর। উক্ত ভিসা প্রসেসিং এর কাজ হতে প্রায় ১৫ দিন থেকে ৬০ দিন এর মতো সময় এর প্রয়োজন হয়।
আর ভিসা আবেদন করার সময় যদি আপনার তথ্য বা ডকুমেন্টস এর মধ্যে কোনো ধরনের ভুল না থাকে। তাহলে আপনার ভিসা হাতে পেতে ৩ মাস থেকে ৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তুু যদি আপনার সেই তথ্য বা ডকুমেন্টস এর মধ্যে কোনো ধরনের ভুল থাকে। তাহলে আপনাকে এর থেকেও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।
রোমানিয়া যেতে কত বয়স লাগে?
যেহুতু আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় রোমানিয়া যেতে চান। সেহুতু রোমনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগবে। সে সম্পর্কে আপনার সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে। কেননা, রোমনিয়া সরকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা নির্ধারন করে দিয়েছে।
তো আপনি যদি বর্তমান সময়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে রোমনিয়া ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনার বয়স সর্বনিন্ম ১৮ বছর হতে হবে। কিন্তুু যদি আপনি ট্যুরিস্ট ভিসায় যেতে চান। তাহলে আপনি এর থেকেও কম বয়সে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার তেমন কোনো বাধাধরা বয়সের প্রয়োজন হবেনা।
সরকারিভাবে রোমনিয়া যাওয়া যাবে কি?
এটি আপনাদের জন্য অনেক ভালো একটি খবর। কেননা, বর্তমানে আপনি চাইলে আমাদের বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে রোমানিয়া যেতে পারবেন। আর আপনি তো বেশ ভালো করেই জানবেন যে, সরকারি ভাবে রোমনিয়া যেতে পারলে। আপনি অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেইসাথে আপনার খরচের পরিমানও অনেক কম হবে।
তো আপনি যদি সরকারি ভাবে রোমানিয়া যাওয়ার তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনাকে নিচে দেওয়া লিংক এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। কেননা, সেখানে আমি আপনাকে সরকারি ভাবে রোমনিয়া যাওয়ার সকল পদ্ধতি গুলোকে সহজ ভাবে দেখিয়ে দিয়েছি। যেমন,
রোমানিয়া ভিসা নিয়ে আমাদের কিছুকথা
যারা বর্তমান সময়ে রোমানিয়া যেতে চান। তাদের অবশ্যই রোমানিয়া ভিসার আপডেট তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আর সেই আপডেট তথ্য গুলো জানিয়ে দেওয়ার জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।
তো আপনি যদি এমন সব অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।