দুবাই ভিজিট ভিসায় যেতে কি কি লাগে?
Dubai visit visa requirements in detail: আপনি কি ভিজিট ভিসায় দুবাই যেতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনাকে দুবাই ভিজিট ভিসায় যেতে কি কি লাগে তা জেনে নিতে হবে। আর আপনাকে এই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই লেখা টি পাবলিশ করা হয়েছে। কারণ, একজন ব্যক্তির দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য যে সকল ডকুমেন্টস এর দরকার হবে। সে গুলো নিয়েই আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
দুবাই ভিজিট ভিসায় যেতে কি কি লাগে?
আপনি যদি দুবাই তে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার নিকট বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আর যখন আপনার নিকট সেই ডকুমেন্টস গুলো থাকবে তখন আপনি খুব সহজেই দু্বাই তে ভিজিট ভিসায় যেতে পারবেন। আর সেই ডকুমেন্টস গুলো হলো,
- শিশুদের জন্য জন্মনিবন্ধন সনদের স্ক্যান কপি
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- নতুন/পুরনো পাসপোর্টের তথ্যবলী সম্বলিত পেইজের স্ক্যান কপি
- ভ্রমণের পর দেশে ফিরে আসার সম্মতিপত্র
- পূর্বে কোনো দেশ ভ্রমণ করে থাকলে সেই ভিসার স্ক্যান কপি
- অফিসিয়াল পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি
- ভিজিটিং কার্ডের স্ক্যান কপি
- বিবাহিত তবে পাসপোর্টে স্বামী/স্ত্রীর নাম উল্লেখ না থাকলে ম্যারেজ সার্টিফিকেটের স্ক্যান কপি।
- পেশাগত যোগ্যতার প্রমাণ
দেখুন আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনাকে পেশাগত যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে আরো কিছু ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। আর সেগুলো হলো,
- ব্যবসায়ী হলে অফিসিয়াল প্যাড বা কোম্পানি লেটার হেডের কপি।
- চাকরিজীবী হলে অফিসিয়াল এনওসির এর স্ক্যান কপি।
- ডাক্তার হলে বিএমডিসি সার্টিফিকেটের স্ক্যান কপি।
- আইনজীবি হলে বার কাউন্সিল সার্টিফিকেটের স্ক্যান কপি।
- শিক্ষার্থী হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি।
তো আপনি যদি একজন ট্যুরিষ্ট হিসেবে দুবাই যেতে চান তাহলে আপনার নিকট যে সকল ডকুমেন্টস এর দরকার হবে। সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। যে গুলোর মাধ্যমে আপনি দুবাই ট্যুারিষ্ট ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ইতালির ভিসা কবে খুলবে? ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন
দুবাই ভ্রমন ভিসা কি কি লাগে? | দুবাই পর্যটন ভিসা
বাংলাদেশিদের জন্য দুবাই ট্যুরিষ্ট ভিসা চালু আছে কি?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আসলে জানতে চান যে, বাংলাদেশীদের জন্য দুবাই ট্যুরিষ্ট ভিসা চালু আছে কিনা। তো যারা আসলে এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান তাদের বলে রাখি যে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশীদের জন্য দুবাই টুরিস্ট ভিসা চালু আছে। আর আপনি যদি এই ভিসায় দুবাই ভিজিট করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে দুবাই ট্যুরিষ্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
বলে রাখা ভালো যে, আপনি চাইলে দুবাই ট্যুরিষ্ট ভিসায় একবারই ভ্রমণ করতে পারবেন অথবা আপনি একাধিক সময় ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন (ভিসার মেয়াদকাল পর্যন্ত)। তবে এই ধরনের দুবাই ভিজিট ভিসার মেয়াদকাল ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি চাইলে পরবর্তী সময়ে দুবাই ট্যুরিষ্ট ভিসার মেয়াদকাল বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম স্টেপ বাই স্টেপ
দুবাই ট্যুরিষ্ট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ করতে হয়?
যেহেতু আপনি ভিজিট ভিসায় দুবাই ভ্রমণ করতে চান সেহেতু অবশ্যই আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সেটি হল, দুবাই ট্যুরিষ্ট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ করতে হয়। আর আপনি যদি এই খরচ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, আপনার দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ করতে হবে। সেটা নির্ভর করবে আপনার ভিসার ধরন এর উপর। যেমন,
দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ
দুবাই টুরিস্ট ভিসার ধরন | দুবাই টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ | দুবাই টুরিস্ট ভিসার খরচ |
দুবাই সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিজিট ভিসা | ৩০ দিন | ৩৫০ দিরহাম |
দুবাই মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা | ৩০ দিন | ৬৫০ দিরহাম |
তো আপনি একজন বাংলাদেশী হয়ে যদি বাংলাদেশ থেকে দুবাই ট্যুরিষ্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনার মোট কত টাকা খরচ করতে হবে সেই তালিকা উপরে দেখতে পাচ্ছেন। তবে সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এই খরচের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। কেননা, যখন আপনি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই ভিজিট ভিসা করবেন তখন সব মিলিয়ে আপনার মোট ১ লাখ থেকে ১.৫ লাখ টাকা খরচ হবে।
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ওয়ার্কার ভিসা চেক করার নিয়ম
দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে আমাদের শেষকথা
আপনারা যারা দুবাই ভিজিট ভিসায় যেতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আশা করি, তারা তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন। কেননা আজকে আমি আপনাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি যে, দুবাই ভিজিট ভিসায় যেতে কি কি লাগে।
এছাড়াও আপনি যদি ভিসা কিংবা পাসপোর্ট সম্পর্কে এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে Learning Boss এর সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। আর ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমার লেখা আর্টিকেল টি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া ভিসা আপডেট