সিশেলস ভিসা আবেদন করার নিয়ম

Seychelles Visa Application: আমরা সবাই জানি যে, পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশের নাম হলো, সিশেলস। আর বর্তমান সময়ে আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় সিশেলস যেতে পারবেন।

তবে যদি আপনি আমাদের দেশ থেকে কাজ করার জন্য সিশেলস যেতে চান। তাহলে আপনাকে কি কি নিয়ম ফলো করে ভিসা আবেদন করতে হবে। আর ভিসা আবেদন করতে আপনার কোন কোন ডকুমেন্টস থাকতে হবে। সেই বিষয় গুলো নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো।

বাংলাদেশ থেকে কি সিশেলস ভিসা আবেদন করা যায়?

যদি আপনি অতীতের দিন গুলোর কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, আগে বাংলাদেশ থেকে সিশেলস যাওয়ার কোনো রকম সুযোগ ছিলোনা। কিন্তুু বর্তমান সময়ে যদি আপনার কাজ করার দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকেও সিশেলস কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আর বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ এর বেশি মানুষ সিশেলসে কর্মরত আছেন। আর যদি আপনি এই দেশের মধ্যে কাজের ভিসায় যেতে পারেন। তাহলে আপনি বেশ ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ কানাডা লেবার ভিসা ২০২৩ | আবেদন ও যোগ্যতা

সিশেলস কাজের ভিসার জন্য কি কি লাগবে?

যখন আপনি একটি দেশ থেকে অন্য আরেকটি দেশে কাজের ভিসায় যাবেন। তখন আপনাকে নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস এর মাধ্যমে কাজের ভিসার আবেদন করতে হবে। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেলসে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনার যে ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। সেগুলো নিচের তালিকায় উল্লেখ করা হলো যেমন,

  1. ভিসা আবেদন ফরম এর দরকার হবে। 
  2. ভ্রমন ভিসার ক্ষেত্রে রিটার্ন টিকেট এর দরকার হবে। 
  3. ০৬ মাস মেয়াদী একটি বৈধ পাসপোর্ট। 
  4. সিশেলস থেকে জব অফার লেটার। 
  5. আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার মেডিকেল সার্টিফিকেট। 
  6. আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট। 
  7. কাজের অভিজ্ঞতার প্রমানপত্র। 
  8. শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
  9. সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

মূলত আপনার যারা কাজের ভিসায় সিশেলস যেতে চান। তারা উপরের এই ডকুমেন্টস গুলোর মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন। কিন্তুু আপনাকে যে কোম্পানি থেকে নিয়োগ প্রদান করা হবে। সেই কোম্পানি থেকে আরো অন্যান্য ডকুমেন্টস চাইতে পারে।

আরো পড়ুনঃ কানাডা ভিসা আবেদন ফরম ২০২৩

সিশেলস ভিসার খরচ কত টাকা?

বর্তমান সময়ে আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে খুব কম খরচে সিশেলস কাজের ভিসায় যেতে পারবেন। কেননা, আপনি যদি সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সিশেলস যেতে পারেন। তাহলে আপনার সব মিলিয়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকারও কম লাগবে।

অপরদিকে আপনি যদি কোনো দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে সিশেলস ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনার অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। তাই চেষ্টা করবেন, সরকারি ভাবে বাংলাদেশ থেকে সিশেলস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার জন্য।

আরো পড়ুনঃ অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩

বাংলাদেশ থেকে সিশেলস যাওয়ার উপায় কি?

তো যদি আপনি আমাদের দেশ থেকে কাজের ভিসায় সিশেলস যেতে চান। তাহলে আপনাকে আমাদের দেশের বিএমইটি এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও আপনি বোয়েসেল বাংলাদেশি প্রবাসী কল্যান ভবন এর মাধ্যমেও এই দেশের ভিসার জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন।

আর যখন আপনি তাদের নিকট যাবেন। তারপর আপনাকে আসলে কি কি নিয়ম ফলো করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সেই সকল নিয়ম গুলো তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে। আর আপনি সে গুলো ফলো করার মাধ্যমে সিশেলস ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ মাল্টা ভিসা চেক করার উপায় কি?

সিশেলস কাজের বেতন কত?

কোনো একটি দেশের কাজের বেতন কত হয়, সেটা নির্ভর করবে আপনার কাজ ও দক্ষতার উপর। তবে স্বাভাবিক ভাবে সিশেলসে আপনার কাজের বেতন হবে ৩৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো। এছাড়াও যদি আপনি উচ্চমানের কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি এর থেকে আরো বেশি বেতন সুবিধা নিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপ ভিসা আবেদন করার উপায়

পরিশেষে আপনার জন্য কিছুকথা

ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে সর্বদাই সরকারি ভাবে আবেদন করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনি প্রতারনার হাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর যদি আপনি সিশেলস ভিসা সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান। তাহলে নিচে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *