ইউরোপ ভিসা আবেদন করার উপায় 

আপনি অনলাইন থেকে ইউরোপ ভিসা আবেদন করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে প্রথমে দেশ সিলেক্ট করতে হবে যে দেশে আপনি যেতে চান। তারপর আপনাকে ভিসা ফি দিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মাধ্যমে ইউরোপ ভিসা আবেদন করতে হবে। 

How to Apply for Europe Visa: আপনারা অনেকেই ইউরোপ ভিসা আবেদন করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তো আমরা সকলেই জানি যে, ইউরোপ হলো একটি বৃহৎ মহাদেশ এর নাম। যে মহাদেশ এর মধ্যে প্রায় ৫০ টির মতো দেশ রয়েছে। তো ভিসা আবেদন করার আগে আপনাকে নির্ধারন করতে হবে যে, আপনি ইউরোপ এর কোন দেশে যেতে চান।

আর যখন আপনি ইউরোপ এর দেশ নির্ধারন করবেন তারপর আপনাকে সেই দেশের সকল রুলস মেনে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তো এবার আমি আপনাকে ইউরোপ এর কোন দেশে সবচেয়ে সহজে ভিসা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

ইউরোপ ভিসা আবেদন

ইউরোপ ভিসা আবেদন

ইউরোপ ভিসা আবেদন করার উপায়

প্রথমে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি আসলে ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান। তারপর আপনার ভিসার ধরন সিলেক্ট করতে হবে। কেননা, আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে ইউরোপের দেশ গুলোতে যেতে পারবেন। আর ভিসার ধরন সিলেক্ট করার পর আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে সরাসরি অ্যাম্বাসি অথবা অনলাইন থেকে ভিসা আবেদন করতে হবে।  

ইউরোপ এর কোন দেশে সহজে ভিসা পাওয়া যায়?

আমি উপরের আলোচনা তে আপনাদের বলেছি যে, ইউরোপ এর মধ্যে মোট ৫০ টি দেশ আছে। আর সেই দেশ গুলোর মধ্যে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলো তে খুব সহজেই ভিসা পাওয়া যায়। আর এবার আমি আপনাকে একটি তালিকা প্রদান করবো যে তালিকা তে আপনি সেই দেশ গুলোর নাম দেখতে পারবেন। যেমন, 

  1. ফ্রান্স (France),
  2. পর্তুগাল (Portugal),
  3. মাল্টা (Malta),
  4. সুইজারল্যান্ড (Switzerland),
  5. নেদারল্যান্ড (Netherlands),
  6. হাঙ্গেরী (Hungary),
  7. লিথুনিয়া (Lithuania),
  8. লাটভিয়া (Latvia),

উপরের তালিকা তে আপনি যে সকল দেশের নাম দেখতে পাচ্ছেন সেই দেশ গুলোতে  খুব সহজেই ভিসা পাওয়া যায়। তাই আপনার যারা ইউরোপে যেতে চান তারা এই দেশ গুলোতে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ দুবাই 1 দিরহাম বাংলাদেশী টাকা?

ইউরোপের ভিসার আবেদন

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে কিভাবে যাওয়া যায়?

যেহুতু আপনি একজন বাংলাদেশি, সেহুতু আপনার একটা বিষয় জেনে নিতে হবে। আর সেটি হলো, কিভাবে আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ এর মধ্যে যাওয়া যায়। 

তো একজন বাংলাদেশি হয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য মোট ০২ টি সহজ উপায় আছে। আর সেগুলো হলো, শিক্ষার্থী ভিসা এবং ভ্রমন ভিসা। মূলত এই দুইটি ভিসার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যেতে পারবেন।

আর যখন আপনি এই দুটো ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনি রোমানিয়া, আর্মেনিয়া, সার্বিয়া এবং মালটার মতো দেশে যেতে পারবেন। তবে এগুলো ছাড়াও অন্যান্য দেশে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিংবা আরো বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। কিন্তুু আমি আপনাকে আসলে সহজেই ভিসা পাওয়ার দুইটি উপায় সম্পর্কে বললাম।

আরো পড়ুনঃ দুবাই ভিজিট ভিসা কি বন্ধ? বিস্তারিত জেনে নিন

কোন কোন দেশ মাল্টিপল এন্ট্রি শেনজেন ভিসা দেয়?

এই তালিকায় আপনি বেশ কিছু দেশের নাম দেখতে পারবেন। যে দেশগুলো মাল্টিপল এন্ট্রি শেনজেন ভিসা দিয়ে থাকে। আর এবার সেই দেশের নাম এর তালিকা শেয়ার করবো আপনার সাথে। যেমন,

  1. সুইজারল্যান্ড (Switzerland),
  2. স্লোভেনিয়া (Slovenia),
  3. স্লোভাকিয়া (Slovakia),
  4. পর্তুগাল (Portugal),
  5. পোল্যান্ড (Poland),
  6. নরওয়ে (Norway),
  7. নেদারল্যান্ড (Netherlands),
  8. মাল্টা (Malta),
  9. লুক্সেমবার্গ (Luxembourg),
  10. লিথুয়ানিয়া (Lithuania),
  11. অষ্ট্রিয়া (Austria),
  12. চেক প্রজাতন্ত্র (Czech Republic),
  13. লিচেনস্টাইন (Liechtenstein),
  14. লাটভিয়া (Latvia),
  15. ইতালি (Italy),
  16. আইসল্যান্ড (Iceland),
  17. গ্রীস (Greece),
  18. হাঙ্গেরী (Hungary),
  19. ফিনল্যান্ড (Finland),
  20. জার্মানি (Germany),
  21. ফ্রান্স (France),
  22. এস্তেনিয়া (Estonia),
  23. ডেনমার্ক (Denmark),
  24. বেলজিয়াম (Belgium),

উপরের তালিকা তে আপনি যে সকল দেশের নাম দেখতে পাচ্ছেন। মূলত সেই দেশ গুলো থেকে মাল্টিপল এন্ট্রি শেনজেন ভিসা প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবে কাজের খবর?

লিথুয়ানিয়া ট্যুরিষ্ট ভিসার জন্য কত ব্যাংক ব্যালেন্স লাগে?

আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ লিথুনিয়া ট্যুরিষ্ট ভিসায় যেতে চান। তাদের বলে রাখি যে, এই দেশে ট্যুরিস্ট ভিসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে। আর তাদের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী, আপনি প্রতিদিনের ইনকাম কমপক্ষে ৫০ ইউরো হতে হবে। তাহলে আপনি লিথুয়ানিয়া ভ্রমন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ দুবাই কাজের ভিসা খরচ ২০২৩

ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ

আপনি সরকারি ভাবে ইউরোপের দেশ গুলোতে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। কেননা, এখন আমাদের বাংলাদেশে এমন অনেক এজেন্সি আছে। যারা আপনার ইউরোপ যেতে ভিসার যাবতীয় কাজ গুলো করে দিবে। তবে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা সংক্রান্ত কাজ করার সময় অবশ্যই এজেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। 

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

আসল কথা হলো, আপনারা যারা ইউরোপ ভিসা আবেদন করার নিয়ম জানতে চান। তাদের আসলে এই বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। কেননা, ইউরোপ এর মধ্যে প্রায় ৫০ টি দেশের মধ্যে আপনি কোন দেশে যেতে চান। সেটি আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। তাহলেই আমরা আপনাকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।

তো আপনি যদি ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশের মধ্যে যাওয়ার ভিসা আবেদন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। তাহলে নিচে কমেন্ট করে আপনার নির্ধারন করা দেশটির নাম লিখে দিন। তারপর সেই দেশের ভিসার আবেদন করতে আপনাকে কি কি করতে হবে। আমি সেই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লিখে দিবো।

আর এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *