নিউজিল্যান্ড ভিসা স্টেটাস চেক
New Zealand Visa Status Check: আপনারা যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যেতে চান। তাদের ভিসা চেক করার প্রয়োজন হয়। তো আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা যে কিভাবে নিউজিল্যান্ড ভিসা স্টেটাস চেক করা যাবে। আর আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।
কেননা, আজকে আমি আপনাকে অনলাইনে নিউজিল্যান্ড ভিসা স্টেটাস চেক করার সকল পদ্ধতি গুলো দেখিয়ে দিবো। তাই আর দেরী না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।
কিভাবে নিউজিল্যান্ড ভিসা স্টেটাস চেক করবো?
বর্তমান সময়ে আপনি অনলাইন থেকে নিউজিল্যান্ড ভিসা স্টেটাস চেক করতে পারবেন। তবে সেজন্য আপনাকে www.immigration.govt.nz ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর আপনাকে একটি “RealMe” একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
আর যখন আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করবেন। তারপর আপনি সেই একাউন্টের মধ্যে আপনি আপনার ভিসার যাবতীয় তথ্য গুলো দেখতে পারবেন। তো যদি আপনি উক্ত ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে এখানে ক্লিক করুন।
আরো পড়ুনঃ পর্তুগাল জব সিকার ভিসা আবেদন
নিউজিল্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা চালু আছে কি?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মুলত বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড ভ্রমন করতে চায়। তো সেজন্য অব্যশ্যই আপনাকে ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তাই অনেকে জানতে চায় যে, নিউজিল্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা চালু আছে কিনা।
আর যারা আসলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাদের ষ্পষ্ট করে বলে রাখি যে, নিউজিল্যান্ড বিশ্বের সকল দেশের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। যার কারণে আপনি চাইলে কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই ট্যুরিস্ট ভিসায় নিউজিল্যান্ড যেতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা এপলাই অনলাইন
নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্টের বৈধতা কি 6 মাসের প্রয়োজন?
যদি আপনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, অনেক দেশের মধ্যে ভিসা আবেদন করার সময় পাসপোর্টের মেয়াদ ০৬ মাস থাকতে হয়। কিন্তুু যদি আপনি সেই দেশ গুলোর সাথে নিউজিল্যান্ডের তুলনা করেন। তাহলে আপনি ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করতে পারবেন।
কেননা, নিউজিল্যান্ড ভিসা আবেদন করার জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ ০৩ মাস থাকতে হয়। এছাড়াও আপনার পাসপোর্ট এর মধ্যে কমপক্ষে ১ টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে। যে পৃষ্ঠার মধ্যে ভিসা স্ট্যাম্প প্রদান করা হবে।
নিউজিল্যান্ডের ভিজিট ভিসা কি ওয়ার্ক পারমিটে রূপান্তরিত হয়?
বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যে ভিজিট ভিসাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় রুপান্তর করা যায়। কিন্তুু যদি আপনি ভিজিট ভিসার মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে যেতে পারেন। আর তারপর আপনি সেই ভিসাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় রুপান্তর করতে পারবেন না।
তবে যদি আপনি একান্তভাবে নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চান। তাহলে আপনার ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশে ফিরে আসতে হবে। তারপর আপনাকে পুনরায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আর যখন আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন গ্রহন করা হবে। তারপর আপনি উক্ত ভিসার মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। কিন্তুু বর্তমান সময়ে আপনি কোনোভাবেই ভিজিট ভিসায় গিয়ে কাজ করতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ সিশেলস ভিসা আবেদন করার নিয়ম
স্টুডেন্ট ভিসায় নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে?
যদি আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা করার জন্য নিউজিল্যান্ড যেতে চান। তাহলে আপনার সব মিলিয়ে মোট ১২ লাখ থেকে ১৩ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার জন্য আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স হিসেবে ২৬ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা দেখাতে হবে।
আর নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার পর সেখানে থাকা, খাওয়া, কোর্স ফি, যানবহন খরচ আলাদাভাবে বহন করতে হবে। তবে এই খরচ গুলো আপনার জীবনযাপন এর ধরন ও ভর্তি হওয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করবে।
আরো পড়ুনঃ কানাডা লেবার ভিসা ২০২৩ | আবেদন ও যোগ্যতা
পরিশেষে আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
কিভাবে আপনি আপনার নিউজিল্যান্ড ভিসা স্টেটাস চেক করবেন। আজকের আলোচনায় সেই পদ্ধতি গুলো দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এরপরও যদি আপনার ভিসা চেক করতে কোনো সমস্যা হয়। তাহলে নিচে কমেন্ট করবেন। আর ধন্যবাদ, আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য।