গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (আবেদন, খরচ, বেতন) 

Greece Work Permit Visa: প্রবাসীদের জন্য গ্রিস হলো অন্যতম একটি দেশ। যেখানে কাজের বিনিময়ে উচ্চ বেতন এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। আর আগের দিন গুলোতে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারত থেকে গ্রিস ভিসার জন্য আবেদন করতে হতো।

কিন্তুু এখন আর ভারত থেকে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার প্রয়োজন পড়বে না। কেননা আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

তবে আমাদের বাংলাদেশ থেকে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে কি কি নিয়ম ফলো করতে হবে। আর আপনার কোন ধরনের ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। আজকে আমি আপনাকে উক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিয়ে দিবো।

গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার উপায়

আপনারা যারা জীবিকা নির্বাহ করার জন্য গ্রিসে যেতে চান। তারা চাইলে মোট ০২ টি উপায়ে ‍গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর সেগুলো হলো, 

  1. গ্রিস দুতাবাস থেকে,  
  2. অনলাইন এর মাধ্যমে,

মূলত উপরের এই দুইটি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন। তবে এই ভিসার জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনাকে আরো বেশ কিছু কাজ করতে হবে। সেজন্য আপনাকে গ্রিস এর বিভিন্ন কোম্পানি থেকে প্রকাশিত হওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলোতে চোখ রাখতে হবে

গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

আর যদি আপনি আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খুজে পান। তাহলে আপনাকে উক্ত বিজ্ঞপ্তি এর মধ্যে আবেদন করতে হবে। এভাবে যখন একটি কোম্পানি আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সম্মতি প্রদান করবে। তারপর আপনাকে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কাজ করতে হবে।

কিন্তুু তার আগে আপনি সেই কোম্পানি থেকে একটা কথা জেনে নিবেন। সেটি হলো, আপনার ভিসার জন্য তাদের কোম্পানি থেকে কোনো ধরনের সাহায্য করতে পারবে কিনা। কেননা, যদি তাদের কোম্পানি থেকে সাহায্য করে। তাহলে আপনার গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে সুবিধা হবে।

আরো পড়ুনঃ ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ (আপডেট তথ্য)

গ্রিস ভিসা আবেদন

আপনি চাইলে নিজের ঘরে বসে অনলাইনে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে। এর পাশাপাশি সেই ওয়েবসাইটে কিভাব আবেদন করার জন্য কি কি নিয়ম ফলো করতে হবে সেটি জানতে হবে।

তো যদি আপনি গ্রিস ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে চান। তাহলে আপনি (https://visathing.com) এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  আর যখন আপনি উক্ত লিংক এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার সামনে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে একটু নিচের দিকে আসলে “Apply Online” নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেখানে ক্লিক করতে হবে।

এরপর সেখানে আপনাকে “Create New Account” অপশন থেকে একটি নতুন একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এবং যখন আপনি উক্ত ওয়েবসাইট এর মধ্যে একটি একাউন্ট তৈরি করবেন। তারপর সেখানে আপনি আপনর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

[NOTE: যখন আপনি কোনো দেশে যাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই সেই ওয়েব সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। কারণ, এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে গিয়ে যদি আপনি প্রতারিত হন। তাহলে আমরা কোনোভাবেই তার দায়ভার নিবোনা।]

গ্রিস দুতাবাস থেকে ভিসার আবেদন

অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বে-সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করলে নিরাপত্তা নিয়ে একটা সংশয় থেকে যায়। তাই সবচেয়ে ভালো হবে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে গ্রিসের যে সকল দুতাবাস আছে। তাদের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা। এতে করে আপনার ভিসা সম্পর্কিত কোনো ধরনের সংশয় থাকবে না। সেই সাথে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রতারনা থেকে রেহাই পাবেন।

তো আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে গ্রিস দূতাবাস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে চান। তাহলে আপনাকে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। যেখান থেকে আনি গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও চলমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে কি পরিমান মানুষকে গ্রিসে পাঠানো হবে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম স্টেপ বাই স্টেপ

গ্রিস ভিসা আবেদন ফরম | Greece Visa Application Form

বিভিন্ন সময় আমরা গ্রিস ভিসা আবেদন ফরম এর খোজ করি। তো visathing.com ওয়েবসাইট থেকে একটি গ্রিস ভিসা আবেদন ফরম প্রকাশ করা হয়েছে। যে ফর্ম এর মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর উক্ত ভিসা আবেদন ফরম এর লিংক নিচে দেওয়া হলো। 

গ্রিস ভিসা আবেদন ফরম

গ্রিস ভিসা আবেদন ফরম

গ্রীস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী

গ্রিসে কাজের ভিসার জন্য কি কি লাগে?

আমরা সকলেই জানি যে, কোনো একটি দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান ডকুমেন্টস এর দরকার হয়। ঠিক তেমনিভাবে যখন আপনি ইউরোপের দেশ গ্রিসে যেতে চাইবেন। তখন আপনার নিকট এমন অনেক ডকুমেন্টস থাকতে হবে। আর সেই ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,

  1. গত দুইমাসের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট এর সনদ।
  2. পূর্বে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট।
  3. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
  4. আইইএলটিএস এর স্কোর সনদ।
  5. ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট।
  6. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  7. জাতীয় পরিচয়পত্র এর কপি।
  8. সদ্য তোলা ছবি।
  9. সর্বনিন্ম ০৬ মাস মেয়াদী বৈধ সার্টিফিকেট।

উপরের তালিকা তে আপনি যে সকল ডকুমেন্টস দেখতে পাচ্ছেন। মূলত বাংলাদেশ থেকে গ্রিস ভিসা পেতে হলে এই ডকুমেন্টস গুলো প্রদান করতে হয়। তবে আপনার ভিসার ধরন ও কাজের উপর নির্ভর করে এই বাইরেও আরো অন্যান্য ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়তে পারে।

গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত টাকা? 

উপরের আলোচনা থেকে আমরা গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরেছি। তো এবার আমাদের জানতে হবে যে, বর্তমান সময়ে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ করতে হয়। তো স্বাভাবিক ভাবে গ্রিস এর ভিসা করার জন্য আমাদের প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করার দরকার হয়।

তবে যদি আপনি ইন্ডিয়া থেকে উক্ত ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে কিন্তুু আপনার খরচ এর পরিমান একটু বেশি হবে। কেননা, বর্তমান সময়ে যারা ইন্ডিয়া থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তাদের প্রায় ১০ লাখ বা তারও বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে।

তাই এখন যেহুতু আমাদের বাংলাদেশ থেকে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে। সেজন্য আমার মতে আপনার বাংলাদেশ দুতাবাস থেকে সেই ভিসার জন্য আবেদন করা উচিত। তাহলে আপনার ঝামেলা কম হবে, সেইসাথে আপনার খরচ এর পরিমানও অনেক কম হবে। 

নোটঃ একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনাকে আসলে কত টাকা খরচ করতে হবে। সেটি সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করবে, আপনার কাজের ধরন এর উপর। তবে উপরে যে খরচ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেটি মূলত প্রাথমিক ধারনা থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রিসে বেতন কত?

যেহুতু আপনি গ্রিসে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাচ্ছেন। সেহুতু অবশ্যই আপনাকে সেই দেশের কাজ এর বেতন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে। আর উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। সেটি হলো, বর্তমান সময়ে গ্রিসে থাকা প্রবাসী কর্মীদের অনেক উচ্চ বেতন প্রদান করা হয়। তবে তার জন্য অবশ্যই আপনার যথেস্ট দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে।

তো যদি আপনার নির্দিষ্ট কোনো কাজে দক্ষতা থাকে। আর যখন আপনি সেই দক্ষতার বিনিময়ে গ্রিসে বিভিন্ন কোম্পানি তে কাজ করবেন। তখন আপনার প্রাথমিক বেতন এর পরিমান হবে ১ লাখ থেকে ১.৫ লাখ টাকা। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজের উপর ভিত্তি করে ২ লাখ থেকে ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন প্রদান করা হয়।

তবে এই বেতন এর প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, আপনার বেতন আসলে কত টাকা হবে সেটা সম্পূর্ণ ভবে নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর। কেননা, যদি আপনি গ্রিসে সিকিউরিটি গার্ড কিংবা ক্লিনার এর কাজ করেন। তাহলে আপনার বেতন হবে প্রায় ১ লাখ থেকে ১.৫ লাখ টাকা

অপরদিকে যদি আপনি কোনো এডভান্স লেভেল এর কাজ করেন। তাহলে আপনার মোট বেতন এর পরিমান হবে প্রায় ২ লাখ থেকে ২.৫ লাখ টাকা। আশা করি, আপনি এই বেতনের বিষয়টা সম্পর্কে সঠিক ধারনা নিতে পেরেছেন।

গ্রিসে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

বর্তমান সময়ে গ্রিসে কোন কাজ গুলোর চাহিদা বেশি আছে। এবার আমি আপনাকে সেই কাজ গুলো সম্পর্কে বলবো। আর আপনি যদি উক্ত কাজে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই গ্রিসে গিয়ে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। আর বর্তমানে গ্রিসে যে সকল কাজ এর চাহিদা আছে। সেই কাজ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন, 

  1. বর্তমান সময়ে গ্রিসের মধ্যে প্রযুক্তি সম্পর্কিত কাজের অনেক চাহিদা আছে। যেমন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার ইত্যাদি।
  2. গ্রিসের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে কাজের চাহিদা বৃৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন, হোটেল, রেষ্টুরেন্ট এর মধ্যে কাজ এর চাহিদা রয়েছে।
  3. যদি আপনার ড্রাইভিং এর লাইসেন্স থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই গ্রিসে ড্রাইভিং এর কাজ খুজে নিতে পারবেন।
  4. গ্রিসের মধ্যে থাকা খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে দক্ষ জনবল নিয়োগ এর চাহিদা বেড়ে গেছে।
  5. এছাড়াও গ্রিসে বর্তমানে কৃষিকাজ এর বিপুল পরিমান দক্ষ শ্রমিকদের নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে।
  6. বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশন কাজ এর ব্যাপক পরিমান কর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যেমন, রাজমিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার ইত্যাদি।
  7. গ্রিসে শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রচুর নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। যেমন, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ইত্যাদি।
  8. এগুলোর পাশাপাশি গ্রিসে স্বাস্থ্যসেবা কাজেরও ব্যাপক পরিমান চাহিদা আছে।

তো বর্তমান সময়ে গ্রিসে কোন কাজ গুলোর চাহিদা আছে। সেই কাজ গুলো উপরের তালিকা তে উল্লেখ করা হয়েছে। আর যদি আপনার উপরোক্ত কাজ গুলোতে দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই গ্রিসে চাকরি খুজে নিতে পারবেন। 

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

কিভাবে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে হয় এবং গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ করতে হয়। আজকের আর্টিকেলে উক্ত বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, এই আর্টিকেল থেকে আপনি গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন।

তো যদি আপনি পাসপোর্ট কিংবা ভিসা সম্পর্কিত এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো বিনামূল্যে জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *