পর্তুগাল ভিসার দাম কত?

How much does a Portugal visa cost?: আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যাওয়া যায়। আর আপনার ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করবে যে, আপনি পর্তুগাল ভিসার দাম কত টাকা হবে। আর এই ভিন্ন ভিন্ন ভিসার ক্ষেত্রে আপনাকে মোট কত টাকা খরচ করতে হবে। সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

তো আপনি যদি পর্তুগাল ভিসার দাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। তাহলে নিচের আলোচিত আলোচনা গুলোতে চোখ রাখুন।

বাংলাদেশ থেকে কোন ভিসায় পর্তুগাল যাওয়া যায়?

আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে পারবেন। আর সেই ভিসার নাম গুলো নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো। যেমন,

  1. মেডিকেল ভিসা
  2. ট্যুরিস্ট ভিসা
  3. ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  4. শিক্ষার্থী ভিসা

তো আপনারা যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে চান। তারা মূলত উপরের এই ভিসা গুলোর মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি আসলে কোন ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যাবেন। সেটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার নিজের উপর নির্ভর করবে।

আরো পড়ুনঃ ট্যুরিস্ট ভিসায় পর্তুগালে কাজ করা যাবে কি?

পর্তুগাল ভিসার দাম কত টাকা? (Recent Updated)

আলোচনার শুরুতেই বলেছি যে, আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন ভিসার জন্য ভিন্ন পরিমান খরচ করতে হবে। আর পর্তুগাল কোন ভিসার জন্য কত টাকা খরচ করতে হয়। সেই খরচের তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,

  1. পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ ০৯ লাখ টাকা থেকে ১১ লাখ টাকা।
  2. পড়াশোনা ভিসার খরচঃ ০৪ লাখ টাকা থেকে ০৫ লাখ টাকা। (কমবেশি হতে পারে)।
  3. ট্যুরিস্ট ভিসার খরচঃ প্রায় ০৪ লাখ বা তারও কিছু বেশি টাকা।
  4. মেডিকেল ভিসার খরচঃ ০৩ লাখ থেকে ০৪ লাখ টাকা।

উপরের তালিকায় যে পর্তুগাল ভিসার দাম এর তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই তালিকাটি মূলত বর্তমান সময়ের জন্য প্রযোজ্য। তবে ভবিষ্যতে এই খরচের পরিমান আরো কম বা বেশি হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ পর্তুগাল ওপেন ওয়ার্ক পারমিট 2023

পর্তুগাল ট্যুরিস্ট ভিসায় কতদিন থাকা যায়?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যায়। তো তারা আসলে জানতে চায় যে, পর্তুগাল ট্যুরিস্ট ভিসায় কতদিন থাকা যায়। আর পর্তুগাল সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমান সময়ে আপনি ট্যুরিস্ট ভিসায় মোট ৯০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারবেন।

পর্তুগাল ট্যুরিস্ট ভিসায় কাজ করা যাবে কি?

বর্তমান বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশের মধ্যে ট্যুুরিস্ট ভিসায় কাজ করার পারমিশন দেয়না। আর এই একই বিষয় আপনি পর্তুগালের মধ্যেও দেখতে পারবেন। কেননা, পর্তুগালে আপনি ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন না। তো যদি আপনি সেই দেশে কাজ করতে চান, তবে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে হবে।

পর্তুগালে কৃষি কাজের বেতন কত টাকা পাওয়া যাবে?

আমরা সকলেই জানি যে, অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালের কাজের বেতন বেশি। যদিওবা আপনার বেতন আসলে কত হবে, তা আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। তবে যখন আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে কৃষি ভিসায় যাবেন। তখন আপনার বেতন প্রতি মাসে ৮০০ ডলার। যা আমাদের বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৮ হাজার টাকার সমান। 

পর্তুগালে কৃষি কাজের কেমন চাহিদা আছে?

প্রতিটা দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটানোর অন্যতম উপায় হলো কৃষিকাজ। আর সে কারণে বিশ্বের সব দেশেই কৃষিকাজের চাহিদা আছে। আর বর্তমান সময়ে পর্তুগালের মতো উন্নত একটি দেশের মধ্যেও কৃষিকাজের প্রচুর পরিমান চাহিদা আছে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট কিভাবে পাওয়া যায়?

পরিশেষে আপনার জন্য কিছুকথা

একটি দেশের ভিসার খরচ সর্বদা এক রকম থাকেনা। তবে বর্তমান সময়ে পর্তুগালের কোন ভিসার কত টাকা খরচ হয়। তা নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তো যদি আপনি ভিসা সম্পর্কিত এমন অজানা বিষয় গুলো বিনামূল্যে জানতে চান। তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *