বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট কিভাবে পাওয়া যায়?

How to get work permit from Bangladesh to Portugal: আপনারা বেশ ভালো করেই জানবেন যে, বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। মূলত সে কারণে আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট কিভাবে পাওয়া যায়।

তো ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়া কঠিন হলেও। আপনি চাইলে বেশ কিছু উপায় ফলো করার মাধ্যমে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। আর আজকে আমি আপনাকে সেই উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যাবে?

যদি আপনি বর্তমান সময়ের কথা বিবেচনা করেন। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, আপনি এখন ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আমাদের বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে পারবেন।

সেক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। আর আপনি যদি সেই শর্ত গুলো মানতে পারেন, তাহলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পর্তুগাল যেতে পারবেন। আর সেই শর্ত গুলো হলো,

  1. আপনার নিকট একটি জব অফার লেটার থাকতে হবে।
  2. নিয়োগকর্তার সাথে আপনার কাজের চুক্তিপত্র থাকতে হবে।
  3. ভিসা আবেদনের জন্য আপনার নিকট সকল ডকুমেন্টস থাকতে হবে।
  4. আপনাকে সঠিক পদ্ধতি ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে।

তো উপরের তালিকায় আপনি যেসকল শর্ত দেখতে পাচ্ছেন। মূলত সেই শর্ত গুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়ায় বিদেশি কালো তালিকা চেক

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়

আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চান। তাহলে প্রথমত আপনাকে পর্তুগালের বিভিন্ন ধরনে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলোতে চোখ রাখতে হবে। তারপর আপনাকে আপনার যোগ্যতা উপর ভিত্তি করে সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলোতে আবেদন করতে হবে।

এরপর যদি আপনি নিয়োগকর্তার মনোনিত প্রার্থী হয়ে থাকেন। তাহলে তারা আপনাকে জব অফার লেটার প্রদান করবে। আর সেই জব অফার লেটার পাওয়ার পর আপনি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়াও যদি আপনার পর্তুগালের মধ্যে কোনো পরিচিত আত্মীয় থাকে। তাহলে আপনি তাদের মাধ্যমেও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বলে রাখা ভালো যে, পর্তুগালে যদি আপনার আত্মীয় থাকে। তাহলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দিক থেকে প্রাধান্য পাবেন।

আরো পড়ুনঃ এনভিসি কেস স্ট্যাটাস চেক করার উপায়

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ কত টাকা?

অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ তুলনামূলক বেশি হবে। কেননা, আপনি যদি বর্তমান সময়ে পর্তুগালে কাজের ভিসায় যান। তাহলে আপনাকে সব মিলিয়ে মোট ১০ লাখ টাকা থেকে ১১ লাখ টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে।

তবে যে প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে নিয়োগ প্রদান করা হবে। সেই প্রতিষ্ঠান গুলো অনেক সময় প্রার্থীর বিমান ভাড়া ও ভিসার খরচ বহন করে থাকে। তো যদি আপনিও এমন সুবিধা পান, তাহলে আপনার পর্তুগাল যাওয়ার খরচ তুলনামূলক ভাবে কম হবে।

আরো পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে ৬ মাসের ভিসা পাওয়া যাবে কি?

পর্তুগালের কাজের সর্বনিন্ম বেতন কত?

আপনি যেহুতু কাজের ভিসায় পর্তুগাল যেতে চান। সেহুতু আপনাকে সেই দেশের বেতন সম্পর্কেও সঠিক ধারনা নিতে হবে। আর যদি আপনি পর্তুগালের কাজের বেতন সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, অন্যান্য দেশের তুলনায় আপনি পর্তুগালে উচ্চ বেতন সুবিধা নিতে পারবেন।

যদিওবা পর্তুগালের বেতন নির্ভর করবে আপনার কাজ ও দক্ষতার উপর। তবে বর্তমান সময়ে পর্তুগালে কাজের মাসিক সর্বনিন্ম বেতনের পরিমান হলো প্রায় €760. যা আমাদের বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯০ হাজার টাকার সমান।

এছাড়াও আপনি পর্তুগালের মধ্যে প্রতি ঘন্টায় সর্বনিন্ম বেতন হিসেবে €6.12 পাবেন। যা আমাদের বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৬০ টাকার সমান। তবে এগুলো সর্বনিন্ম বেতন হলেও আপনার কাজের দক্ষতা যদি ভালো থাকে। তাহলে আপনি এর থেকে আরো বেশি টাকা বেতন এর সুবিধা নিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ আমেরিকার ট্যুরিস্ট ভিসা কি চালু আছে?

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি। আশা করি, এই আর্টিকেলে শেয়ার করা তথ্য গুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে।

তো এমন উপকারী তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *