ভিসা এর বহুবচন কি? | ভিসা কি | ভিসা বলতে কি বোঝায়?
What is the plural of visa: আমি হঠাৎ করে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম। সেটি হলো, আপনারা অনেকেই ভিসার বহুবচর কি সে সম্পর্কে জানতে চান। তো আপনার মতো আমিও অনলাইনে ভিসা এর বহুবচন কি সেটি জানার চেষ্টা করি। কিন্তুু ভিসার কোনো বহুবচন খুজে পাইনি। কেননা, বাংলা ব্যাকরণের নিয়মে ভিসা হলো এমন একটি শব্দ। যার কোনো ধরনের বহুবচন নেই।
ভিসা কি | ভিসা বলতে কি বোঝায়?
যেহুতু আমরা ভিসার বহুবচন কি তা জানতে পারলাম না। সেহুতু এবার আমাদের জানতে হবে যে, ভিসা কাকে বলে। তো এই ভিসা হলো এক ধরনের অনুমতিপত্র। কেননা, আপনি কোনো একটি দেশের নাগরিক হওয়ার পর যখন অন্য কোনো দেশে যেতে চাইবেন। তখন আপনাকে উক্ত দেশে প্রবেশ করার পূর্বে অনুমতি নিতে হবে।
এবং আপনি যখন সেই দেশে যাবেন। তখন আপনি যে সেই দেশে বৈধভাবে প্রবেশ করেছেন। এবং নির্দিস্ট সময় পর উক্ত দেশ থেকে পুনরায় আবার নিজের দেশে ফেরত আসবেন। উক্ত বিষয় গুলো প্রমাণ করার জন্য আপনার পাসপোর্ট এর মধ্যে সিল প্রদান করা হবে। মূলত তাকেই বলা হয়, ভিসা।
আরো পড়ুনঃ ওমান ই ভিসা | ওমান ই ভিসা চেক
ভিসা কত প্রকার ও কি কি হয়?
বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে যেতে পারে। তবে বিভিন্ন দেশের উপর ভিত্তি করে ভিসাকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। আর সেগুলো হলো,
- সংবাদমাধ্যম ভিসা
- ধর্মীয় ভিসা
- গৃহকর্মীর ভিসা
- ট্রান্সি ভিসা
- একচেন্জ ভিজিটর ভিসা
- কর্মক্ষেত্রের ভিসা
- ছাত্র ভিসা
- পর্যটন ভিসা
তো বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন প্রকারের ভিসার ব্যবহার করলেও। তাদের প্রয়োজন অনুসারে ভিসা কে যে ০৮ টি ভাগে ভাগ করা হয়। উক্ত ভিসার প্রকারভেদ গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান ভিসার মেয়াদ কতদিন?
কলিং ভিসা বলতে কি বোঝায়?
যেহুতু উপরের আলোচনা থেকে আপনি ভিসা কি সেটি সম্পর্কে জানতে পারলেন। সেহুতু এবার কলিং ভিসা কি সে সম্পর্কে আপনার পরিস্কার ধারনা রাখতে হবে। তো কলিং ভিসা হলো, সাধারন শ্রমিকদের জন্য এক ধরনের বৈধ কাজ করার ভিসা।
আর এই ধরনের ভিসা গুলোর মেয়াদ সাধারন ০৩ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে যদি আপনার কাজ করার মতো সামর্থ্য থাকে। এবং আপনি যদি মেডিকেল চেকআপ করে নিজেকে ফিট হিসেবে প্রমাণ করতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার কলিং ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি ২০২৩
ই ভিসা বলতে কি বোঝায়?
সহজ কথায় বলতে গেলে, ইলেকট্রনিক ভিসাকে বলা হয় ই ভিসা। আর আগের দিনের তুলনায় বর্তমান সময়ের ভিসার কার্যক্রম কে আরো সহজ থেকে সহজতর করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের ই ভিসার প্রচলন শুরু করা হয়েছে। যেখানে আপনাকে কাছে থাকা একটি ছোট্ট চিপ এর মধ্যে আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো সংরক্ষন করা হবে।
ইলেকট্রনিক ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়?
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, ইলেকট্রনিক ভিসাকে ই ভিসা কাকে বলে। তো এবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আমরা কিভাবে ইলেকট্রনিক ভিসা পাবো। আর আপনার মনেও যদি এমন প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে শুনুন……
আপনি যদি ইলেকট্রনিক ভিসা পেতে চান। তাহলে আপনাকে সবার আগে দুতাবাস এর ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আর যখন আপনি আবেদন করবেন, তখন আপনাকে আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।
এরপর ভিসার জন্য যে ফি নির্ধারিত আছে, আপনাকে অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে উক্ত ফি প্রদান করতে হবে। আর উক্ত কাজ গুলো সঠিক ভাবে করার পর আপনাকে আপনার ইমেল এড্রেস প্রদান করতে হবে। যেখানে আপনি আপনার ইলেকট্রনিক ভিসার অনলাইন কপি পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে?
আমাদের কিছুকথা
যদিওবা আজকের আর্টিকেলে ভিসা এর বহুবচন কি সেটি নিয়ে বিস্তারিত বলার কথা। কিন্তুু ভিসার কোনো বহুবচন না থাকার কারণে সেটি নিয়ে তেমন কিছু বলা সম্ভব হয়নি। তবে আজকে আমি আপনাকে ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানিয়ে দিয়েছি। যে বিষয় গুলো আপনার জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
আর আপনি যদি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেস্টা করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।