সেনাবাহিনী সৈনিক কত তম গ্রেড
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সৈনিক ১৭ তম গ্রেড ও ৩য় শ্রেনীর আওতাভুক্ত। বিস্তারিত জানতে নিচের আলোচনায় চোখ রাখুন।
What is the grade of army soldier: এটা জেনে খুব ভালো লাগলো যে, আপনি সেনাবাহিনী সৈনিক কত তম গ্রেড বেতন সুবিধা পায় সে সম্পর্কে জানতে চান। তো সত্যি বলতে সেনাবাহিনীর সৈনিক কত তম গ্রেড এর বেতন পায় সে বিষয়টি নিয়ে আমাদের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকমের মত রয়েছে। তবে আমি একজন রাইটার হিসেবে যে তথ্য গুলো জানতে পেরেছি এবার আমি সেই তথ্য গুলো আপনার সাথে শেয়ার করবো।
তো শুরুতে একটা কথা বলে রাখা ভালো সেটি হলো, আপনি যদি শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর সৈনিক এর গ্রেড বা শ্রেনি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আমি বলবো যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক হলো তৃতীয় (৩য়) শ্রেনীর আওতাভুক্ত।
কিন্তুু আপনি যদি বেতন গ্রেড সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, একজন নতুন ব্যাক্তি যখন সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে যোগদান করে। তখন তার বেতন এর পরিমান হয় প্রায় ৯,০০০ টাকা কিংবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৯,৫০০ টাকা। আর আমরা যদি উক্ত বেতনের পরিমান কে স্কেল এর নির্ধারন করি। তাহলে দেখতে পারবো যে, উক্ত বেতন হলো ১৭ তম গ্রেডের।
নোটঃ আজকের শেয়ার করা তথ্য গুলো সরাসরি সেনাবাহিনীর কোনো অফিশিয়াল সোর্স থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। বরং আমার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট কে পরিপুর্ণ করতে অনলাইনের বিভিন্ন সোর্স থেকে উক্ত তথ্য গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ পুলিশ কনস্টেবল কত তম গ্রেড?
সেনাবাহিনী সৈনিক কত তম গ্রেড | সৈনিক কত তম গ্রেড
সেনাবাহিনী সৈনিক বেতন গ্রেড
একজন সৈনিকের মূল বেতন ৯,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২১,৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে বেতনের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো বিভিন্ন ভাতা, যা মূল বেতনের সাথে যোগ হয়ে একজন সৈনিকের মাসিক বেতনের পরিমানকে আরো বৃদ্ধি করে।
আমরা জানি, প্রশিক্ষণ শেষে একজন সৈনিক নিয়মিত বেতন পেতে শুরু করেন। যদিও সৈনিক হলেই বেতন একই থাকে, তবে বিভিন্ন ভাতার মাধ্যমে একজন সৈনিকের মূল বেতনের প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
উদাহরণস্বরূপ, ৯,৫০০ টাকা বেতনের সাথে ‘অন্যান্য ভাতা’ যোগ করে মোট বেতন হয় ৯,৮১৫ টাকা। এরপর যোগ হয় ‘বিশেষ ভাতা’, যা সৈনিকের কর্মস্থলের উপর নির্ভর করে। যারা বিপজ্জনক এলাকায় কর্মরত তাদের ‘বিপজ্জনক এলাকা ভাতা’ দেওয়া হয়, যা মূল বেতনের ৫০% পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশে মোট সেনাবাহিনীর সংখ্যা কত ২০২৪
আমরা সকলেই জানি যে, আমাদের বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মূল কাজ হলো দেশের ভূখন্ড রক্ষা করা। এছাড়াও এই দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল এর প্রয়োগ করা। তো এই কাজে বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সেনাবাহিনী নিযুক্ত করা আছে। [Source Link- Wikipedia]
আরো পড়ুনঃ আমেরিকান ডিবি লটারি ( আপডেট তথ্য)
বাংলাদেশের সকল সেনানিবাসের তালিকা
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সেনানিবাস রয়েছে। আর আপনি যেন সেই স্থান গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন। সে কারণে এবার আমি একটি তালিকায় বাংলাদেশের সকল সেনানিবাসের নাম ও স্থান উল্লেখ করবো। যেমন,
- জাহানাবাদ সেনানিবাস, খুলনা।
- জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাস, বগুড়া।
- রাঙ্গামাটি সেনানিবাস।
- রংপুর সেনানিবাস।
- লালমনিরহাট সেনানিবাসজালালাবাদ সেনানিবাস, সিলেট।
- যমুনা সেনানিবাস, টাঙ্গাইল।
- যশোর সেনানিবাস।
- কাপ্তাই সেনানিবাস, রাঙামাটি।
- খাগড়াছড়ি সেনানিবাস।
- আলিকদম সেনানিবাস, বান্দরবান।
- বান্দরবান সেনানিবাস।
- চট্টগ্রাম সেনানিবাস।
- কুমিল্লা সেনানিবাস, কুমিল্লা।
- ঢাকা সেনানিবাস।
- দীঘিনালা সেনানিবাস, খাগড়াছড়ি।
- হালিশহর সেনানিবাস, চট্টগ্রাম।
- খোলাহাটি সেনানিবাস, দিনাজপুর।
- মাঝিড়া সেনানিবাস, বগুড়া।
- সৈয়দপুর সেনানিবাস, নীলফামারী।
- সাভার সেনানিবাস।
- মিরপুর সেনানিবাস।
- ময়মনসিংহ সেনানিবাস।
- পদ্মা সেনানিবাস, মাদারীপুর।
- পোস্তগোলা সেনানিবাস।
- কাদিরাবাদ সেনানিবাস, নাটোর।
- রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস, গাজীপুর।
- রাজশাহী সেনানিবাস।
- রামু সেনানিবাস, কক্সবাজারশহীদ সালাহউদ্দীন সেনানিবাস, ঘাটাইল।
- শেখ হাসিনা সেনানিবাস, লেবুখালী,পটুয়াখালী।
- বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ।
উপরের তালিকায় আপনি আমাদের বাংলাদেশের মোট ৩০ টি সেনানিবাসের নাম ও স্থান দেখতে পাচ্ছেন। তবে পরবর্তী সময়ে যদি নতুন কোনো সেনানিবাস তৈরি করা হয়। তাহলে আমি সেই নামটি উক্ত তালিকায় যুক্ত করে দিবো।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
আপনারা যারা সেনাবাহিনী সৈনিক কত তম গ্রেড সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আশা করি, তারা তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন। এছাড়াও সেনাবাহিনী তে চাকরিরত অবস্থায় আপনাকে কি কি রেশন সুবিধা দেওয়া হবে, তার একটি তালিকা প্রদান করা হয়েছে।
আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছেন। আর যদি আপনি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।