কলিং ভিসা কি | কলিং ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা কার্যক্রম চালু আছে। যার ফলে এখন থেকে আপনিও কলিং ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তুু সমস্যা হলো আমরা অনেকেই আছি যারা কলিং ভিসা কাকে বলে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিনা। আর এই অজানা মানুষ গুলোকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। 

কলিং ভিসা কাকে বলে?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, কলিং ভিসা হলো এমন এক ধরণের ভিসা, যা কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট দেশে কাজ করার জন্য প্রবেশ করতে দেয়। যেমন, আপনার কাছে যদি মালয়েশিয়া কলিং ভিসা থাকে তবে সেই ভিসার মাধ্যমে আপনি কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করতে পারবেন।

তবে যখন আপনি কোনো একটি দেশে প্রবেশ করার জন্য কলিং ভিসা পাবেন তখন আপনার সাথে নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার চুক্তি করতে হবে। কারণ, এই ধরনের কলিং ভিসা নির্দিষ্ট একটি দেশের নির্দিষ্ট কোম্পানি থেকে প্রদান করা হবে। যার কারণে সেই কোম্পানির সাথে আপনাকে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে যে, আপনি তাদের কোম্পানি ব্যাতিত অন্য কোনো কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন না। 

কলিং ভিসা কিভাবে কাজ করে? | কলিং ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

উপরের আলোচনায় কলিং ভিসা কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। তো এবার আমাদের জানতে হবে কলিং ভিসা কিভাবে কাজ করে। আর বলে রাখা ভালো যে, বিশ্বের সকল দেশের কলিং ভিসা প্রায় একই নিয়মে কাজ করে। 

যেমন মালয়েশিয়ার কোনো একটি কোম্পানি থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো। এখন আপনি সেই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার পর সকল যাচাই শেষে তারা আপনাকে চাকরি দেওয়ার জন্য সিলেক্ট করলো। তারপর মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা প্রথমে তাদের দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিক নিয়োগের জন্য অনুমোদন চাইবেন।

আর যখন সেই নিয়োগকর্তা অনুমোদন পাবে তারপর তারা বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য আবেদন করবে। আর এই যাবতীয় কাজ গুলো শেষ হওয়ার পর পুনরায় আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। 

যদিওবা অনেক কোম্পানি আছে যারা আপনার হয়ে ভিসার জন্য আবেদন করে। তবে যদি কোম্পানি থেকে এমন সুযোগ সুবিধা দেওয়া না হয় তাহলে এই কাজ গুলো আপনাকে করতে হবে। আর যখন এই ভিসা সংগ্রহ হবে তখন আপনি চুক্তি অনুসারে সেই দেশের সেই কোম্পানিতে কাজ করার জন্য যেতে পারবেন। 

কলিং ভিসার সুবিধা কি কি?

যদি আপনি কলিং ভিসার মাধ্যমে কোনো দেশে যাওয়ার সুযোগ পান তাহলে আপন বিভিন্ন দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন, 

  1. অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় বেশি বেতন।
  2. থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির উন্নত ব্যবস্থা।
  3. নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
  4. নিয়োগকর্তারা পছন্দমতো দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে পারে।
  5. শ্রমিকদের ভিসা করতে খরচ কম হয়। 
  6. আরো অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়।

তো আপনি যদি কলিং ভিসায় কোনো দেশে যেতে পারেন তাহলে উপরোক্ত সুবিধা গুলো পাবেন। তবে কলিং ভিসার আড়ালে বেশ কিছু অসুবিধা আছে যেগুলো আমাদের জেনে নেওয়া দরকার। 

কলিং ভিসার অসুবিধা গুলো কি কি?

কোনো একজন ব্যক্তি কলিং ভিসার মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। যার কারণে এই ধরনের কাজে প্রতারনার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আর ইতিমধ্যে কলিং ভিসার মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অনেক রেকর্ড আছে। 

তাই যখন আপনি কলিং ভিসায় কোনো দেশে যাবেন তখন চুক্তিতে স্বাক্ষর করার আগে সকল শর্ত ভালোভাবে পড়ে নিবেন। কিন্তুু আবেগের বশে শর্ত না দেখে চুক্তিতে সম্মতি জানাবেন না। যদি এমনটা করেন তাহলে আপনারও প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই সতর্ক থাকুন, নিজেকে নিরাপদ রাখুন। 

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

আপনারা যারা কলিং ভিসা কাকে বলে সে সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই লেখাটি পাবলিশ করা হয়েছে। তবে এই আর্টিকেল পড়ার পর যদি আপনার কলিং ভিসা নিয়ে আরো প্রশ্নের জন্ম হয় তাহলে সেটি নিচে কমেন্ট করবেন। আমরা যথাসাধ্য চেস্টা করবো আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার। ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *