আমেরিকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন কোনটি?

What is a weekend holiday in America: আমাদের বাংলাদেশে শুক্রবার এবং শনিবারের দিন কে সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে ধরা হয়। তাই অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জাগে সেটি হল, আমেরিকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন কোনটি। আর আপনার মনেও যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, আমেরিকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হল সপ্তাহের শনিবার এবং রবিবার।

আমেরিকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন কোনটি?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চান যে, আমেরিকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন কোনটি। তো আমেরিকা তে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে সাধারণত শুক্রবার এর সন্ধ্যা থেকে রবিবার এর শেষের সময় হিসাবে ধরা হয়। আর সে কারনে, সপ্তাহের শনিবার এবং রবিবার কে সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে মনে করা হয়।

আরো পড়ুনঃ ভারতের সাপ্তাহিক ছুটির দিন | ভারতের সাপ্তাহিক ছুটির দিন কবে?

কিভাবে ছুটির দিনের শুরু হলো?

গত পর্বের আর্টিকেল গুলো তে আমি আপনাদের গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি ছুটির দিন এর তালিকা শেয়ার করেছি। এবং আজকে আমি আপনাদের জানিয়ে দিলাম যে, আমেরিকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন কোনটি।

তো এবার আমি আপনাদের অজানা একটি বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে দিব। সেটি হল, আপনি কি জানেন কিভাবে ছুটির দিনের শুরু হয়েছে?  -যদি আপনি না জেনে থাকেন, তাহলে নিচের আলোচনা থেকে সেই অজানা বিষয় টি জেনে নিন।

৪৮ ঘন্টা ছুটি

যদিওবা সাপ্তাহিক ছুটির দিন কিভাবে শুরু হলো, সেটা নিয়ে অনেক ঘটনা রয়েছে। তবে তার মধ্যে অন্যতম একটি ঘটনা হলো ৪৮ ঘণ্টা ছুটি। কেননা আমরা সবাই জানি যে, রবিবার হল খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের জন্য পবিত্র একটি দিন।

তবে তাদের জন্য পবিত্র দিন হলেও অন্যান্য ধর্মের মানুষের জন্য কিন্তু রবিবার পবিত্র দিন হিসেবে মান্য করা হতো না। সে কারণে ইহুদিরা সর্বদা চেষ্টা করেছিল শনিবারের দিনকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসাবে নির্ধারণ করার। আর ইহুদিদের এই দাবি সর্বপ্রথম আমেরিকা সমর্থন করেছিল।

তবে পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯০৮ সালে ইহুদিদের জন্য বিশেষ দিনকে বিশ্রামের দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এবং সেই কথা মাথায় রেখে সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে মোট পাঁচ দিন কার্যদিবস এবং দুইদিন ছুটির দিন এভাবে নির্ধারণ করা হয়। যেখান থেকে মূলত ৪৮ ঘন্টা ছুটির প্রথা চালু হয়েছিল। আর তারপরে ১৯২৬ সালে শনিবার এবং রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

কেননা সেই সময়ে হেনরি ফোর্ড নামের একজন ব্যক্তি, কিছু বিষয় বিশেষভাবে পর্যালোচনা করেছিলেন। সে গুলো হল, কর্মীরা যদি সপ্তাহে ছুটি কাটাতে পারে। তাহলে তাদের কাজের উপর উৎসাহ বেড়ে যাবে। এর পাশাপাশি কর্মীদের উৎসাহ বেশি থাকলে উৎপাদন বাড়বে। এবং সেই বিষয় গুলো কে পর্যালোচনা করার পর শনিবার এবং রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনের যাত্রা শুরু হয়।

আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টার সাপ্তাহিক ছুটি

ব্রিটিশ ঘরানার সাপ্তাহিক ছুটি

সময়টা ছিল হাজার ১৯৩৩ সাল, সেই সময় বুট কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান একটি বিষয়ে লক্ষ্য করতে পারেন। সেটি হল তার কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীরা নির্দিষ্ট একটা সময় পড়ে কাজ করার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এবং যখন কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে যায়, তখন কর্মীদের থেকে আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া যায় না।

এ কারণে তিনি চিন্তা করে দেখলেন যে, তার কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীদের যদি সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু সময় ছুটি প্রদান করা হয়। তাহলে তাদের কাজের প্রতি বিষন্নতা কমে যাবে। এর পাশাপাশি যদি কর্মীদের উচ্চ বেতন দেওয়া হয়। তাহলে তারা আরো মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবে। মূলত সে কারণে তিনি সপ্তাহের দুইদিন ছুটির দিন হিসেবে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি বাড়ানো সম্ভব?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিন সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারলাম। তো আপনি কি জানেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই সাপ্তাহিক ছুটির দিন আরও বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা চলছে?

যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে শুনে নিন। বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ দুইদিন পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। কিন্তু এমন কিছু দেশ আছে, যে দেশ গুলো তে সপ্তাহে মোট চার (০৪) দিন ছুটির জন্য আলোচনা চলছে। যদিওবা এটি কতটা কার্যকর হবে, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোন ফলাফল জানা যায়নি।

তবে ভবিষ্যৎ সময়ে যদি চার দিন ছুটি প্রদান করা হয়। সেক্ষেত্রে এই ছুটির জন্য আমাদের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা এখনো অনেক দেশ ০৪ দিন ছুটি প্রদান করার বিষয়ে সম্মতি প্রদান করেনি। এর কারণ হলো, যদি সপ্তাহের চার দিন ছুটি প্রদান করা হয়। তাহলে উৎপাদন একবারেই তলানিতে গিয়ে পড়বে।

আরো পড়ুনঃ

আপনার জন্য কিছুকথা

এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের আমেরিকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন কোনটি সে সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। এর পাশাপাশি আমাদের পৃথিবীতে কিভাবে ছুটির দিনের উদ্ভাবন হয়েছে সে সম্পর্কে স্বল্প আকারে ধারণা দিয়েছি।

তো আশা করি, আজকের এই লেখাটি আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে। আর আপনি যদি এরকম ভালো লাগার মত বিষয় গুলো বিনামূল্য জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *