ভিজিট ভিসা মানে কি?
What is a visit visa?: আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, ভিজিট ভিসা কাকে বলে। তো সহজ কথায় বলতে গেলে, যখন আপনি নির্দিষ্ট কোনো সময়ের জন্য একটি দেশে ভ্রমন করার পারমিট পাবেন।
আর উক্ত সময়ে সেই দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমন করতে পারবেন। তখন তাকে বলা হবে, ভিজিট ভিসা বা ট্যুরিস্ট ভিসা।
তো বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভিজিট ভিসা প্রদান করে থাকে। আর একটি দেশে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে মোট ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী ভাবে বসবাস করা যায়।
ভিজিট ভিসা দাম কত?
দেখুুন, কোনো একটি দেশে বিভিন্ন ধরনের ভিসার প্রচলন থাকে। যেমন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্ট্যাডি ভিসা ইত্যাদি। তবে অন্যন্য ভিসা গুলোর ক্ষেত্রে ভিজিট ভিসার দাম কিছুটা কম হয়।
কেননা, ভিজিট ভিসার মাধ্যমে একটি দেশে আপনি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। আর স্বাভাবিক ভাবে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে সর্বনিন্ম ৩০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকা যায়।
সে কারণে একটি দেশের অন্যান্য ভিসার চাইতে ভিজিট ভিসার দাম অনেকটা কম হয়। যদি একটি দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ করার প্রয়োজন হয়।
তাহলে সেই দেশে ২ থেকে ৩ লাখ টাকায় ভিজিট ভিসা সংগ্রহ করা যায়। তবে দেশভেদে এই ভিজিট ভিসার দাম এর অনেক পার্থক্য রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে
ভিজিট ভিসার জন্য কেমন যোগ্যতা লাগে?
যেহুতু ভিজিট ভিসার মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র ভ্রমন করার সুবিধা পাবেন। সেহুতু এই ধরনের ভিসার জন্য খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হয়না।
তবে ভিজিট ভিসার জন্য আপনার কেমন যোগ্যতা লাগবে। আপনার কাছে কি কি ডকুমেন্টস থাকতে হবে। তার সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে আপনি যে দেশে ভিজিট করবেন তার উপর।
কিন্তুু স্বাভাবিক ভাবে একটি দেশের মধ্যে ভিজিট করতে হলে। আপনার নিকট যে সকল ডকুমেন্টস থাকতে হবে। সেই ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,
- একটি রিটার্ন টিকিট
- যথেষ্ট অর্থের প্রমাণ
- একটি হোটেল বুকিং বা আমন্ত্রণপত্র
- পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফর্ম
- সদ্য তোলা ছবি
- নিজ দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র
প্রাথমিক ভাবে ভিজিট ভিসার জন্য যে সকল ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। সেই ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো।
তবে মনে রাখবেন, আপনার ক্ষেত্রে আসলে কি কি ডকুমেন্টস দিতে হবে। তা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশে যাবেন তার উপর।
আরো পড়ুনঃ ঢাকা টু মালয়েশিয়া বিমান ভাড়া কত ২০২৩
কোন দেশে কম খরচে ভিজিট ভিসা পাওয়া যায়?
যদিওবা একটি দেশের ভিজিট ভিসার মূল্যে সর্বদা এক রকম থাকেনা। আবার দেশ ভেদে এই ভিজিট ভিসার খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়।
তো এমন অনেক দেশ আছে, যে দেশ গুলোতে খুব কম খরচে ভিজিট ভিসা প্রদান করা হয়। আর সেই দেশ গুলোর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,
- ভিয়েতনাম
- কম্বোডিয়া
- লাওস
- মালয়েশিয়া
- থাইল্যান্ড
- ব্রুনাই
- সিঙ্গাপুর
- ইন্দোনেশিয়া
- ফিলিপাইন
- মায়ানমার
উপরের তালিকায় আপনি যেসকল দেশের নাম দেখতে পাচ্ছেন। মূলত বর্তমান সময়ে এই দেশ গুলো তে কম খরচে ভিজিট ভিসা প্রদান করা হয়।
তবে যেহুতু ভিসার মূল্যে একটি দেশ যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারবে। সেহুতু আপনি যখন ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনাকে আপডেট খরচ জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ টু মালয়েশিয়া বিমান ভাড়া কত ২০২৩
কোন দেশে ভ্রমন করা ভালো হবে?
আজকের আলোচনায় ভিজিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তবে এবার আমি আপনাকে এমন কিছু দেশের নাম বলবো। যে দেশ গুলোতে আপনার ভ্রমন করা উচিত। আর সেই দেশ গুলো হলো,
- ফ্রান্স
- ইতালি
- স্পেন
- গ্রীস
- জার্মানি
- ইংল্যান্ড
- নেদারল্যান্ডস
- সুইজারল্যান্ড
- অস্ট্রিয়া
- পোর্টাল্যান্ড
উপরের তালিকায় আপনি যে সকল দেশের নাম দেখতে পাচ্ছেন। মূলত এই দেশ গুলোতে ভ্রমন করলে। আপনি ইউরোপের ইতিহাস, সংস্কৃতি সহো বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান উপভোগ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে?
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
ভিজিট ভিসা মানে কি – সেটি নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, আজকের আলোচনা টি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আর যদি আপনি এমন ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, নিরাপদে ভ্রমন করুন।