দুবাই বিজনেস ভিসা কি? আবেদন করার প্রক্রিয়া দেখুন

What is a Dubai Business Visa?: বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে দুবাই যাওয়া যায়। তবে তাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত দুবাই বিজনেস ভিসায় যেতে চায়। তো আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ, আজকের আলোচনা তে আমি আপনাকে দুবাই বিজনেস ভিসার সকল তথ্য গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর দেরী না করে চলুন, সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

দুবাই বিজনেস ভিসা বলতে কি বোঝায়?

আপনি যখন অন্য কোনো দেশের নাগরিক হয়ে দুবাইতে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যাবেন। তখন আপনাকে যে ভিসা প্রদান করা হবে। সেই ভিসা কে বলা হবে, দুবাই বিজনেস ভিসা। যাকে দুবাই এর ভাষায় বলা হয়, ইনভেস্টর ভিসা।

আর আপনার নিকট যখন এই ধরনের দুবাই বিজনেস ভিসা থাকবে। তখন আপনি উক্ত ভিসার মাধ্যমে দুবাইতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে উক্ত ভিসার মাধ্যমে দুবাইতে জব করার অনুমতি পাবেন।

আরো পড়ুনঃ দুবাই ভিসা চেক অনলাইন

দুবাই বিজনেস ভিসায় কি আলাদা সুবিধা পাওয়া যাবে?

দেখুন, প্রতিটা ভিসার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সুবিধা আছে। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনার কাছে দুবাই এর বিজনেস ভিসা থাকবে। তখন আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর এবার আমি আপনাকে সেই সুবিধা গুলো সম্পর্কে বলবো। যেমন,

প্রথমত এটি যেহুতু বিজনেস ভিসা। তাই আপনি উক্ত ভিসার মাধ্যমে দুবাইতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন। যেমন, আপনি হোটেল, রেষ্টুরেন্ট কিংবা অন্যান্য দোকানে গিয়ে আপনার পছন্দমতো ব্যবসা করতে পারবেন।

তবে ব্যবসা করার পাশাপাশি দুবাই বিজনেস ভিসায় আপনি আরো একটি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেটি হলো, এই ভিসার মাধ্যমে আপনি চাইলে দুবাইতে আপনার যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে জব করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ দুবাই ভিজিট ভিসা কি বন্ধ? বিস্তারিত জেনে নিন

দুবাই বিজনেস ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকে?

এটা জেনে নেওয়া আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা, আপনি ব্যবসা করার জন্য দুবাই যাবেন। আর ব্যবসা করতে দীর্ঘ সময় এর প্রয়োজন হয়। সেজন্য দুবাই বিজনেস ভিসার মেয়াদ সম্পর্কেও আপনার সঠিক ধারনা রাখতে হবে।

তো বর্তমান সময়ে দুবাই বিজনেস ভিসার মেয়াদ রাখা হয়েছে ০৩ বছর। তবে যদি আপনি সেখানে ভালো ভাবে ব্যবসা করতে পারেন। তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনি আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

আর যখন আপনি আপনার বিজনেস ভিসার মেয়াদ বাড়াবেন। তখন আপনার খরচ ও সময় দুটোই কম লাগবে। সেজন্য আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সকল তথ্য দিয়ে ভেরিফিকেশন করলেই আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ দুবাই কাজের ভিসা খরচ ২০২৩

কিভাবে দুবাই বিজনেস ভিসা পাওয়া যাবে?

দেখুন, আপনি সরাসরি আমাদের বাংলাদেশ থেকে দুবাই বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কেননা, এখন পর্যন্ত দুবাই থেকে বাংলাদেশের জন্য তেমন সুবিধা চালু করা হয়নি।

আর যদি আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে দুবাই বিজনেস ভিসা করতে চান। তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

তো যখন আপনি ভিজিট ভিসার মাধ্যমে দুবাই যাবেন। তারপর আপনাকে নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির মাধ্যমে পুনরায় দুবাই বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কিন্তুু এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো।

সেটি হলো, যখন আপনি দুবাই যাওয়ার পর নিজে থেকে বিজনেস ভিসার কাজ গুলো করবেন। তখন আপনার ভিসার কাজে ব্যয় খুব কম হবে। কিন্তুু যদি আপনি দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে করেন। তাহলে আপনার খরচের পরিমান অনেক বেশি হবে।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সিরা আপনার অর্থ অত্মসাৎ করার ভয় তো থাকবেই। তাই যা করবেন, সাবধানতার সহিত করবেন। যেন আপনার শ্রম ও অর্থ বিফলে না যায়।

আরো পড়ুনঃ দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

আমি চেষ্টা করেছি দুবাই বিজনেস ভিসা সম্পর্কে সঠিক ধারনা দেওয়ার। আশা করি, আপনি উক্ত বিষয়ে পরিস্কার ধারনা নিতে পেরেছেন।

তবে দুবাই বিজনেস ভিসা সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে হলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *