১২ নভেম্বর কি দিবস?
What day is November 12?: আমাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান যে, ১২ নভেম্বর কি দিবস। তো নভেম্বর মাসের ১২ তারিখে ”বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস” পালন করা হয়। আর এই বিশেষ দিনটিতে নিউমোনিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। এছাড়াও এই রোগটিকে প্রতিরোধ এবং সঠিক চিকিৎসা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহবান করা হয়।
তো আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা নিউমেনিয়া রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আর যদি আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। তাহলে নিচের আলোচিত আলোচনায় চোখ রাখুন।
নিউমেনিয়া মানে কি?
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানলাম প্রতি বছর ১২ নভেম্বর নিউমেনিয়া দিবস পালন করা হয়। তাই সবার শুরুতে আমাদের নিউমেনিয়া মানে কি সে সম্পর্কে জানতে হবে।
আর সহজ কথায় বলতে গেলে নিউমেনিয়া হলো এক ধরনের ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগ। আর এই রোগটি প্রধানত ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। আর যখন কোনো একজন ব্যক্তির নিউমেনিয়া হয়। তখন সেই ব্যক্তির কাশি, শ্বাসকষ্ট সহো আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়।
নিউমেনিয়া রোগের লক্ষন গুলো কি কি?
কোনো একজন মানুষের নিউমেনিয়া হয়েছে কিনা সেটি কিছু লক্ষন দেখে অনুমান করা যায়। সেক্ষেত্রে যখন একজন ব্যক্তির মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়। তাহলে সেই ব্যক্তির নিউমেনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও যদি শিশুর নিউমেনিয়া হয়, তাহলে শিশুরা বেশিরভাগ সময় খাওয়া বন্ধ করে দেয়।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে থেকে শুরু হয়?
প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ১২ তারিখে নিউমেনিয়া দিবস পালন করা হয়। তবে এই দিবসটি পালন করা শুরু হয়েছে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ থেকে। সেই সময় শিশুদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্বকারী ১০০ টিরও বেশি সংস্থা মিলে এই দিবসটি পালন করার সিন্ধান্ত নিয়েছিলো। আর তারপর থেকে গোটা বিশ্বের মধ্যে বিশেষ এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের নিউমোনিয়ার কারণ
অধিকাংশ সময় শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমেনিয়ার প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তুু শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্করাও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর ছোটো শিশুদের নিউমেনিয়া হওয়ার অন্যতম কারন হলো, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস। যাকে সংক্ষেপে বলা হয়, RSV.
তবে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির নিউমেনিয়া হওয়ার বিভিন্ন কারন থাকতে পারে। আর সে গুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ গুলো হলো, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, বা ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি যদি অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করেন। তাহলেও আপনার নিউমেনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
নিউমোনিয়া হলে কি নাক দিয়ে পানি পড়ে?
সাধারন ভাবে নিউমেনিয়া হলে ফুসফুসের সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে আপনার ফুসফুসের একপাশে কিংবা পুরো ফুসফুসের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এই কারণে একজন ব্যক্তির গলা ব্যাথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও সর্দি, কাশির মতো সমস্যা গুলো দেখা যায়।
নিউমেনিয়া রোগের প্রতিকার কি?
যদি আপনার মধ্যে নিউমেনিয়া রোগ দেখা যায়, তাহলে কখনই হতাশ হবেন না। কেননা, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিউমেনিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে যেতে হবে। কিংবা আপনাকে অভিজ্ঞ কোনো ডক্টরের শরনাপন্ন হতে হবে।
আর যখন আপনি কোনো হাসপাতাল কিংবা অভিজ্ঞ ডক্টরের নিকট যাবেন। তখন তারা আপনাকে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিউমেনিয়া দুর করতে পারবে। তবে নিউমেনিয়াতে আক্রান্ত হলে কখনই দুশ্চিনা করবেন না।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ নিউমেনিয়া দিবস পালন করা হয়। আর নিউমেনিয়া কি এবং কেন নিউমেনিয়া হয় সেগুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত বলা হয়েছে। আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
তো যদি আপনি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেস্টা করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।