সার্বিয়া কি ইউরোপ ?

Serbia is Europe: বর্তমান সময়ে ইউরোপ এর মোট দেশের সংখ্যা হলো প্রায় ৫০ টি। আর সেগুলোর মধ্যে সার্বিয়া হলো একটি। যার অবস্থান মধ্যে ও দক্ষিন-পূর্ব ইউরোপ এর মধ্যে। আর সার্বিয়া কে ইউরোপ মহাদেশ এর একটি স্থলবেষ্টিত দেশ বলা হয়। আর আপনারা যারা জানতে চান যে, সার্বিয়া কি ইউরোপ মহাদেশ এর দেশ কিনা। তাদের বলবো যে, হ্যাঁ, সার্বিয়া হলো ইউরোপ মহাদেশ এর একটি দেশ।

সার্বিয়ার পূর্ব নাম কি ছিলো?

যেহুতু আপনি সার্বিয়া কি ইউরোপ সে সম্পর্কে জানতে এসেছেন। সেহুতু এবার আপনাকে আরো একট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিতে হবে। আর সেই তথ্যটি হলো, সার্বিয়ার পূর্ব নাম কি ছিলো। 

তো সার্বিয়া মূলত স্টেট ইউনিয়ন নামেও বেশ পরিচিত। তবে আপনি যদি এর থেকেও আরো কয়েক বছর আগের কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, প্রায় ১৯৯২ থেকে শুরু করে প্রায় ২০০৩ সাল পর্যন্ত। সার্বিয়াকে ফেডারেল রিপাবলিক অভ যুগোশ্লাভিয়া নামেও ডাকা হতো।

কিন্তুু যখন ১৯৯২ সাল থেকে যুগোশ্লাভিয়া এর মধ্যে ভাঙ্গন শুরু হয়। তারপর থেকে উক্ত ফেডারেল প্রজাতন্ত্র থেকে সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো গঠিত হয়। এবং বর্তমান সময়ে আমরা এই দেশটি কে সার্বিয়া হিসেবে চিনে আসছি।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ভর্তি খরচ সম্পর্কে ধারনা নিন

সার্বিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ কোনটি?

পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে আরো অন্যান্য দেশের অবস্থান থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে সার্বিয়ার সীমান্তবর্তী অংশ গুলোতে আরো অনেক দেশের অবস্থান আছে। আর এবার আমি আপনাকে সেই সীমান্তবর্তী দেশ গুলো সম্পর্কে বলবো। যেমন,

সার্বিয়ার উত্তর অংশে আছে হাঙ্গেরি, পূর্বের অংশে আছে রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া। এছাড়াও দক্ষিনের অংশে আছে মেসিডোনিয়া ও কসভো। আর সার্বিয়ার পশ্চিম সীমান্তে আছে ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা, মন্টিনিগ্রো।

2006 সালের আগে সার্বিয়া কি ছিলো?

বর্তমান সময়ে আমরা যে দেশকে সার্বিয়া বলে চিনি। সেই দেশটি ২০০৬ সালের আগে অর্থ্যাৎ ২০০৩ সাল পর্যন্ত ফেডারেল রিপাবলিক অফ যুগোস্লাভিয়া এর অংশ ছিলো। কিন্তুু তার পরবর্তী সময়ে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সার্বিয়া স্টেট ইউনিয়ন এর একটি গঠনমূলক রাজ্য হিসেবে যুক্ত ছিলো।

আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলে এবং কেন ?

সার্বিয়া কি ১৯১৪ সালে স্বাধীন হয়েছিলো?

অনেক সময় আমরা জানতে চাই যে, সার্বিয়া কি ১৯১৪ সালে স্বাধীন হয়েছিলো কিনা। তো আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাদের বলে রাখি যে, সার্বিয়া ১৯ শতক এর শুরুর দিকে অটোমান সম্রাজ্য থেকে নিজের দেশকে স্বাধীন করেছিলো। কেননা, তারা ১৯১২ সালের দিকে কসোভোর নিয়ন্ত্রন থেকে নিজের পুনরুদ্ধার করতে পেরেছিলো।

আর পরবর্তী সময়ে যখন ১৯১৫ সালে পুনরায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো। তখন তারা আবার তাদের স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছিলো। তবে এর আগে তারা একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলো।

যুগোস্লোভিয়া কেন বিভক্ত হয়েছিলো?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, যুগোস্লোভিয়া বিভক্ত হয়ে সার্বিয়া গঠন করা হয়েছিলো। তো এবার আমাদের জানতে হবে, কেন এবং কি কারণে যুগোস্লোভিয়া বিভক্ত হয়েছিলো।

তো এই যুগোস্লোভিয়া বিভক্ত হওয়ার পেছনে এমন অনেক কারন আছে। তবে তার মধ্যে অন্যতম হলো, জাতিগত বিভেদ। কেননা, তাদের মধ্যে থাকা সাংস্কৃতি, ধর্মীয় সব দিক থেকে বিভেদ এর সৃষ্টি হয়েছিলো। যার কারণে তাদের যুগোস্লোভিয়ার মধ্যে ফাটল সৃষ্টি হয়। এবং যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো, তখন এই যুগোস্লোভিয়া পুরোপুরি ভাবে বিভক্ত হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কতটি

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

আমরা আমাদের ওয়েবসাইট এর মধ্যে দেশ বিদেশের বিভিন্ন আপডেট খবর গুলো নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করি। যেমন, আজকের আলোচনায় আমি আপনাকে সার্বিয়া কি ইউরোপ কিনা সে সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

তো আপনি যদি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। তাহলে আপনি আপনার অবসর সময় গুলো Learning Boss ওয়েবসাইট এর মধ্যে ভিজিট করবেন।

আর আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলো সম্পর্কে যদি আপনার কোনো মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে। তাহলে সেটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, ‍সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *