খাস জমি দখল আইন সম্পর্কে জেনে রাখুন

Khas Land Acquisition Act: বিভিন্ন সময় আমাদের খাস জমি দখল আইন সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয়। আর বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে খাস জমি দখল আইন অনুযায়ী। আপনি যদি বিধান লংঘন করে হাট কিংবা বাজারের সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে রাখেন।

এবং সেই খাস জমির উপর যদি আপনি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেন। তাহলে সরকার কর্তৃক আপনার এক (০১) বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার অধিকার রাখবে।

খাস জমি বলতে কি বোঝায়?

সবার শুরুতেই আমাদের জানতে হবে যে, খাস জমি বলতে কী বোঝায়। সাধারণ ভাবে যে সকল জমি গুলো সরকারের হাতে ন্যস্ত হয়। এবং যে জমি গুলো সম্পূর্ণ ভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে।

তখন সরকার যে কোনো সময় সেই জমি বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করার অধিকার পায়। আর সরকার অধীকৃত সেই জমি গুলো কে বলা হবে, খাস জমি।

আরো পড়ুনঃ জমির রেকর্ড কত বছর পর পর হয়?

খাস জমি দখল আইন

আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান সময়ে খাস জমি দখল এর বিরুদ্ধে আইন রয়েছে।

যে আইন কে বলা হয়েছে, ”হাট ও বাজার, স্থাপনা ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩”. উক্ত আইনের মধ্যে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে যে, কোন ব্যক্তি যদি অবৈধ ভাবে খাস জমি দখল করে। এবং সেই জমির উপর স্থাপনা নির্মাণ করে, তাহলে সেই ব্যক্তির নির্দিষ্ট সময় জেল অথবা অর্থদণ্ড হতে পারে।

কেননা, আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ আইন লঙ্ঘন করে খাস জমি দখল করবে। এর পাশাপাশি সেই জমি দখল করার পর যদি কেউ অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে।

তাহলে সেই ব্যক্তিকে আইন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি সেই ব্যক্তি কে ৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, একজন ব্যক্তি উভয় দন্ডে দণ্ডিত হয়। সেইসাথে তার দখলকৃত জমি এবং অবৈধ স্থাপনা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে জমির রেকর্ড বের করার নিয়ম

কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায় ?

আমাদের বাংলাদেশ সরকার জমির নির্দিষ্ট পরিমাপের উপর ভিত্তি করে খাজনা নির্ধারণ করেছেন। আর কোন কারনে যদি আপনি সেই খাজনা সময় মতো পরিশোধ না করেন। তাহলে আপনার জরিমানা হবে।

কিন্তু আপনি যদি ক্রমাগত ভাবে এই খাজনা পরিশোধ না করেন। তাহলে কিন্তু একটা সময় গিয়ে আপনার সেই জমি খাস জমিতে পরিণত হবে।

কারণ আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি যদি টানা তিন বছর পর্যন্ত কোনো প্রকার খাজনা না দেয়। তাহলে কিন্তু সেই ব্যক্তির জমি খাস জমি হিসেবে বিবেচিত হবে।

শুধু তাই নয়, কোন ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে খাস জমি দখল করে। এবং সেই জমির উপর বিভিন্ন প্রকারের স্থাপনা নির্মাণ করে। তাহলে সেই ব্যক্তির জেল জরিমানা সহ তার খাস জমির উপর নির্মিত সকল প্রকার স্থাপনা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। আর উক্ত আইনটি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।

কৃষি জমির খাজনা কত টাকা ?

যদি আপনার কৃষি জমি থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই জমির উপর ভিত্তি করে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে হবে।

তাই বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের সরকার ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে, কৃষি জমির উপর কত টাকা খাজানা নির্ধারণ করেছেন। সেটি সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।

কেননা, আপনার কৃষি জমির পরিমাণ যদি ৫ একর থেকে ১০ একর পর্যন্ত হয়।  তাহলে আপনাকে প্রথম ৫ একরের জন্য ৫১ টাকা এবং পরবর্তীতে প্রতি শতাংশের উপর ভিত্তি করে ৩৬ পয়সা করে প্রদান করতে হবে।

আর আপনার কৃষি জমির পরিমাণ যদি ১০ একর থেকে ১৫ একর পর্যন্ত হয়। তাহলে আপনাকে প্রথম ১০ একরের জন্য ২৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য আপনাকে ৬০ পয়সা করে দিতে হবে।

কিন্তু আপনার কৃষি জমির পরিমাণ যদি এর থেকেও বেশি হয়। যেমন, ১৫ একর থেকে ২৫ একর। তাহলে আপনাকে প্রথম ১৫ একর এর জন্য ৫৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য ৬০ পয়সা করে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ rs খতিয়ান বের করার নিয়ম | আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান | www.land.gov bd

খাস জমি দখল আইন নিয়ে আমাদের শেষকথা

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে খাস জমি দখল আইন সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও একজন ব্যক্তি কত বছর পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ না করলে তার জমি খাস হয়ে যাবে। সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিয়েছি।

তো, আপনার যদি জমি সংক্রান্ত আরো কোন অজানা বিষয় জানার থাকে। তাহলে অবশ্যই সেটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর এই ধরনের ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *