বাংলাদেশে রোমানিয়া দূতাবাস আছে কি?

Is there an embassy of Romania in Bangladesh?: কয়েক বছর আগে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যেও রোমানিয়া দুতাবাস ছিলো। কিন্তুু বিভিন্ন কারনে এই দুতবাস বাংলাদেশ থেকে সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। যার কারণে বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে রোমানিয়া দুতাবাস নেই। তবে এরপরও আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।

সেক্ষেত্রে আপনাকে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের দিল্লীতে থাকা দুতাবাসের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে হবে। আর যখন আপনি ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তারপর আপনি উক্ত ভিসার মাধ্যমে রোমানিয়া তে যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে রোমানিয়ার কোনো দুুতাবাস নেই। তো এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেটি হলো, বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়।

তবে আপনার আসলে ভিসার উপর নির্ভর করে খরচ করতে হবে। কেননা, আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় রোমানিয়া যান। তাহলে সরকারি ভাবে গেল মোট খরচ হবে প্রায় ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা। আবার যদি আপনি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান। তাহলে আপনার মোট খরচের পরিমান ১০ থেকে ১১ লাখ বা তারও বেশি টাকা খরচ হবে।

আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া ভিসা কবে চালু হবে?

রোমানিয়া কাজের সর্বনিন্ম ও সর্বোচ্চ বেতনের পরিমান কত?

আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ কাজ করার জন্য রোমানিয়া যায়। আর যদি আপনিও তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই রোমানিয়ার কাজের বেতন সম্পর্কে জানতে হবে।

যদিওবা রোমনিয়ার কাজের বেতন মূলত আপনার কাজের ধরন, দক্ষতা ইত্যাদির উপর নির্ভর করবে। তবে বর্তমান সময়ে যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়াতে চাকরি করবেন। তাদের কাজের বেতন হিসেবে সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকা ধরা হবে। আবার যদি আপনি উচ্চমানের কোনো কাজের সাথে নিযুক্ত থাকতে পারেন। তাহলে আপনি রোমানিয়াতে সর্বোচ্চ ০৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন সুবিধা নিতে পারবেন।

রোমানিয়া যাওয়ার আগে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

যখন আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় অন্য আরেকটি দেশে যাবেন। তখন আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিদেশে গিয়ে কাজ করার আগ্রহ অনেক। আর সেই আগ্রহ কে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতারনার ফাঁদ।

এছাড়াও বৈধভাবে রোমানিয়া যাওয়ার পরও নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যার কারণে আপনি অবশ্যই নিচের বিষয় গুলোকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন। যেমন,

০১- থাকা খাওয়ার খরচঃ রেমাানিয়াতে যাওয়ার পর আপনি কোথায় থাকবে এবং খাওয়ার জন্য আপনাকে কি পরিমান ব্যয় করতে হবে। সে সম্পর্কে আপনাকে আগে থেকেই পরিস্কার ধারনা নিতে হবে।

০২- মাসিক বেতনঃ যেহুতু আপনার বিদেশ যাওয়ার মূল উদ্দেশ্যে হলো, চাকরি করা। তাই আপনার কাজের বেতন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিবেন।

০৩- কাজের ধরনঃ যখন আপনি রোমানিয়া তে যাবেন, তখন আপনাকে কি ধরনের কাজ করতে হবে। সেই কাজের ঝুঁকি কেমন হবে এই যাবতীয় বিষয় গুলো জেনে নিবেন।

০৪- ওয়ার্ক পারমিট এর মেয়াদঃ বিশ্বের প্রায় প্রতিটা দেশের ওয়ার্ক পারমিট এর নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। আর আপনার ক্ষেত্রে আসলে কত বছর মেয়াদ থাকবে। আর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেই মেয়াদ বাড়ানো যাবে কিনা, তা অবশ্যই জানবেন।

০৫- ওভারটাইম সুবিধাঃ স্বাভাবিক ভাবে একটি কাজ করে আপনি যে পরিমান টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যদি ওভারটাইম করেন, তাহলে আপনার বেতনের পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ওভারটাইম সুবিধা দেওয়া হবে কিনা, তা জেনে নিবেন।

০৬- স্বাস্থ্যসেবাঃ রোমানিয়াতে কাজ করার সময় যদি আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাহলে তারা আপনার চিকিৎসা প্রদান করবে কিনা, তা অবশ্যই জানবেন।

একজন ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই উপরের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকা দরকার। আর আপনিও রোমানিয়া যাওয়ার আগে আপনার নিয়োগকর্তার সাথে এই বিষয়ে কথা বলে নিবেন।

আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে 2023?

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, বর্তমান সময়ে আপনি আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে রোমানিয়ার কোনো দূতাবাস দেখতে পারবেন না। তবে যারা রোমানিয়া যেতে চান তারা ভারতের দিল্লিতে থাকা দুতাবাস এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

তো কিভাবে রোমানিয়া  ভিসার আবেদন করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে চাইলে নিচে কমেন্ট করুন। আর এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *