যুক্তরাষ্ট্রে ৬ মাসের ভিসা পাওয়া যাবে কি?

Is it possible to get a 6-month visa in the United States?: আপনারা অনেকেই জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ মাসের ভিসা পাওয়া যাবে কি না। তো আপনি যদি একজন বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি B2 ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা তে মোট ০৬ মাস পর্যন্ত থাকতে পারবেন।

তবে সেই সময় শেষ হওয়ার পরও যদি আপনি আমেরিকাতে আরো কিছু সময় সেখানে থাকতে চান। তাহলে আপনাকে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি আপনার আবেদন গ্রহন করা হয়। তাহলে আপনি সেখানে আরো বাড়তি সময় ভ্রমন করার সুযোগ পাবেন।

৬ মাসের জন্য আমেরিকার ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য কত ব্যাংক ব্যালেন্স লাগবে?

আপনি যখন আমাদের বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যাবেন। তখন আপনাকে অবশ্যই ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে। এর কারণ হলো, আপনি যে সেই দেশে ঘুরতে যাবেন। সেজন্য আপনার নিকট পর্যাপ্ত অর্থ আছে কিনা, সেটি তাদের কে প্রমান করতে হবে।

তো বর্তমান সময়ে যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ভ্রমন করতে যাবেন। তাদের জন্য ০৬ মাসের ভ্রমন করতে প্রায় $10,000 ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে। যা আমাদের বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকার সমান।

আরো পড়ুনঃ আমেরিকার ভিসা পেতে কি কি লাগে?

ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কতদিন পর আমেরিকায় থাকা যায়?

মনে করুন, আপনি বর্তমান সময়ে আমেরিকাতে অবস্থান করে আছেন। এখন কোনো কারণে আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলো। সেক্ষেত্রে কিন্তুু আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হবেনা। আর এই ধরনের সমস্যা ততোক্ষন পর্যন্ত হবেনা, যতক্ষন আপনার স্ট্যাটাস বৈধ দেখাবে।

আর আমেরিকা তে থাকা অবস্থায় যদি আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। এর পাশাপাশি যদি সেই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকে। তাহলে আপনি সকল নিয়ম মেনে পুনরায় আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কিন্তুু আপনি যদি আমেরিকার বাইরে অবস্থান করেন, আর তখন যদি আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাহলে আপনি আর সেই ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা তে প্রবেশ করতে পারবেন না। আশা করি, বিষয়টি পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ ইন্দোনেশিয়া কলিং ভিসা কি?

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ইন্টারভিউ

কোনো একজন ব্যক্তি যখন ভ্রমন করার জন্য আমেরিকা যেতে চাইবে। তখন সেই ব্যক্তিকে যাবতীয় ডকুমেন্টস প্রদান করার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর উক্ত আবেদন শেষে যদি তার সকল ডকুমেন্টস সঠিক থাকে, তাহলে পরবর্তী সময়ে তাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাক দেওয়া হবে।

তো এই ইন্টারভিউ এর মধ্যে তাদের কাছে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় প্রমান করতে হবে। যেমন, আপনি সেই দেশে ভ্রমন করার পর পুনরায় আবার নিজের দেশে ফেরত আসবেন, সেটির প্রমান দিতে হবে। এর পাশাপাশি সেই দেশের মধ্যে ভ্রমন করার জন্য আপনার পর্যাপ্ত অর্থ আছে, সেটিও প্রমান করতে হবে।

এছাড়াও আপনি সত্যিকার অর্থে একজন ভ্রমনপিপাসু মানুষ সেটাও আপনাকে প্রমান করতে হবে। মূলত এই বিষয় গুলো ইন্টারভিউ এর মধ্যে জিজ্ঞেস করা হয়। তবে এগুলোর বাইরেও আপনাকে আরো কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবে। যে প্রশ্নের উত্তর গুলো আপনাকে সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক

আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা ইন্টারভিউ পাস করার উপায়

তো যখন আপনি আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে। আর যে প্রশ্ন গুলো আপনাকে বাধ্যতামূলক করবে, সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,

  1. আপনি কেন আমেরিকা ভ্রমন করতে চান?
  2. আমেরিকা ছাড়াও আপনার অন্য কোনো দেশ ভ্রমন করার অভিজ্ঞতা আছে কিনা?
  3. আমেরিকার কোন কোন স্থান ভ্রমন করতে চান?

যদিওবা ইন্টারভিউ এর মধ্যে আরো বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে। কিন্তুু যে প্রশ্ন গুলো সচারচর সবাই কে করা হয়। সেই প্রশ্ন গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে আমেরিকার বিখ্যাত কিছু জায়গার নাম মুখস্থ করে রাখবেন।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

পরিশেষে আমাদের কিছুকথা

আপনারা যারা ০৬ মাসের ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে চান। তারা এই ধরনের ভিসা পাবেন কিনা, সেগুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তো আশা করি, আজকের লেখাটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।

তো যদি আপনি এমন অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *