তিতাস গ্যাস বিল জরিমানা কত টাকা?

How much is Titus gas bill penalty?: আমরা যারা তিতাস গ্যাস ব্যবহার করি। তাদের অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে বিল পরিশোধ করে দেওয়া উচিত। আর কোনো কারণে যদি আপনি গ্যাস বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব করেন। তাহলে কিন্তুু তিতাস গ্যাস বিল জমা দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট পরিমান জরিমানা প্রদান করতে হবে।

তো বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী, আপনার প্রতি মাসের বকেয়া বিলের জন্য ১০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। আবার কখনও কখনও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ থেকে এই বকেয়া বিলের জরিমানা মওকুফ করে দেওয়া হয়।

তিতাস গ্যাস কোম্পানি কি সরকারি প্রতিষ্ঠান নাকি বে-সরকারি?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চায় যে, তিতাস গ্যাস সরকারি নাকি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান। তো যারা আসলে এই বিষয়ে জানতে চান। তাদের ষ্পষ্ট করে বলে রাখা ভালো যে, এটি একটি সরকারি সংস্থা।

কেননা, এই গ্যাস কোম্পানি পরিচালনা করা হয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে। এর পাশাপাশি তিতাস গ্যাস কোম্পানি বাংলাদেশ পেট্রোবাংলা এর অধিনে কাজ করে থাকে। তাই এই সব দিক বিবেচনা করলে এটা পরিস্কার বোঝা যায় যে, তিতাস গ্যাস কোম্পানি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।

তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র কবে আবিষ্কৃত হয় কত সালে?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র সরকারি নাকি বে-সরকারি। তো এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমাদের আরো একটি তথ্য জেনে রাখা দরকার। আর সেটি হলো, তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র কত সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিলো 

মূলত তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র এর সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিলো প্রায় ১৯৬২ সালে। উক্ত সময়ে পাকিস্তান শেল ওয়েল কোম্পানি থেকে এই গ্যাস ক্ষেত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। তবে ১৯৬৪ সালের শেষের দিকে এই গ্যাস ক্ষেত্রটির নির্দিষ্ট একটি নাম দেওয়া হয়েছিলো। সেটি হলো, “তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড”।

আর তারপর থেকে অর্থ্যাৎ ১৯৬৮ সাল থেকে তিতাস গ্যাস বানিজ্যিক ভাবে গ্যাস উত্তলন করা শুরু করে। যার কাজের প্রক্রিয়া এখনও চলামান আছে। আর আমরা তাদের কোম্পানির গ্যাস ব্যবহার করতে পারছি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্র কোনটি?

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারণ, আমাদের বাংলাদেশে মোট গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা হলো প্রায় ২৮ টি। তবে তার মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র হলো, তিতাস গ্যাসক্ষেত্র। এটি ১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ”পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি”- কর্তৃক আবিস্কৃত করা হয়েছিলো।

তবে এটি ছাড়াও আমাদের বাংলাদেশে আরো অনেক গ্যাস কোম্পানি আছে। যেগুলো গোটা বাংলাদেশ এর মধ্যে তাদের গ্যাস কার্যক্রম চলমান রেখেছে। আর সেই গ্যাস কোম্পানির নাম ও আবিস্কারের সময় নিচের টেবিলে প্রদান করা হলো। যেমন,

বাংলাদেশের সকল গ্যাস কোম্পানির তালিকা (আপডেট)

সিরিয়াল নাম্বার

গ্যাস ক্ষেত্র এর নাম 

প্রতিষ্ঠার সময়কাল 

০১

হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র

১৯৫৫

০২

ছাতক গ্যাসক্ষেত্র

১৯৫৯

০৩

রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র

১৯৬০

০৪

কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্র

১৯৬২

০৫

তিতাস গ্যাসক্ষেত্র

১৯৬২

০৬

হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র

১৯৬৩

০৭

সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র

১৯৬৯

০৮

বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র

১৯৬৯

০৯

কুতুবদিয়া গ্যাসক্ষেত্র

১৯৭৭

১০

বেগমগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র

১৯৭৭

১১

বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্র

১৯৮১

১২

ফেনী গ্যাসক্ষেত্র

১৯৮১

১৩

কামতা গ্যাসক্ষেত্র

১৯৮১

১৪

জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র

১৯৮৯

১৫

ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র

১৯৮৯

১৬

মেঘনা গ্যাসক্ষেত্র

১৯৯০

১৭

নরসিংদী গ্যাসক্ষেত্র

১৯৯০

১৮

শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র

১৯৯৫

১৯

সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র

১৯৯৬

২০

সালদা গ্যাসক্ষেত্র

১৯৯৬

২১

মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্র

১৯৯৭

২২

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র

১৯৯৮

২৩

লালমাই গ্যাসক্ষেত্র

২০০৫

২৪

বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্র

২০০৫

উপরের তালিকা তে শুধুমাত্র বাংলাদেশের জনপ্রিয় গ্যাস কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে আরো অনেক গ্যাস কোম্পানি আছে, যেগুলো উক্ত তালিকা তে উল্লেখ করা হয়নি।

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

প্রিয় পাঠক, তিতাস গ্যাস বিল জরিমানার পরিমান কত টাকা। সেটি আজকের আর্টিকেল উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আমি আপনাকে বাংলাদেশ এর সেরা কিছু গ্যাস কোম্পানির নাম উল্লেখ করেছি। যেগুলো আপনার জেনে রাখা দরকার।

তো এমন ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে আমাদের সাথে থাকবেন। আর নতুন কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *