সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা
Higher education abroad for government employees: বর্তমান সময়ে আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশের একজন সরকারি চাকারিজীবি হয়ে থাকেন। আর আপনার চাকরি যদি স্থায়ী হয়। তাহলে আপনি বেদেশে পড়াশোনা করার সুযোগ সুবিধা পাবেন।
তবে সরকারি চাকরি করা অবস্থায় যখন আপনি বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে যাবেন। তখন আপনার মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জাগবে।
আর সেই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর জানিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। তাই আর দেরী না করে চলুন, সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।
সরকারি চাকুরীজীবি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গেলে শিক্ষাকালীন সময়ে কি দেশে বেতন, ভাতা পাবে?
এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। কেননা, যখন আপনি বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠানে সরকারি ভাবে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। তখন অবশ্যই আপনি আপনার চাকরির উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট বেতন ভাতার সুবিধা পাবেন।
আর সে কারণে অনেকেই জানতে চায় যে, সরকারি চাকুরীজীবি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গেলে। শিক্ষাকালীন সময়ে কি দেশে বেতন, ভাতা পাওয়া যাবে কিনা।
তো যারা আসলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাদের বলে রাখি যে, এটা সম্পূর্ণ আপনার চাকরির উপর নির্ভর করবে। কেননা, বাংলাদেশের অনেক সরকারি চাকরির সেক্টর আছে। যেগুলো তে বিদেশে শিক্ষাকালীন সময়েও বেতন ভাতা প্রদান করা হয়।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিক্ষাকালীন সময়ে কোনো প্রকার বেতন ও ভাতা প্রদান করা হয়না। তাই আপনি বর্তমানে যে সেক্টরে সরকারি চাকরি করছেন। আপনাকে তাদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে হবে। তাহলে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কম সিজিপিএ নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেয়া যায়?
সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সুযোগ-সুবিধা
একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে যদি আপনি বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করার সুযোগ নিতে পারেন। তাহলে আপনি আমাদের দেশের সরকারের পক্ষ থেকেও অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর সেই সুবিধা গুলো সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।
তো সরকারি চাকরীরত অবস্থায় যখন আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাবেন। তখন আপনি যেসব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেগুলো নিচের তালিকায় উল্লেখ করা হলো। যেমন,
০১- সরকারি বৃত্তি প্রদানঃ চাকরীরত অবস্থায় বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে গেলে। আপনাকে সরকার থেকে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি প্রদান করা হবে। যা থেকে আপনার উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সময় আর্থিক চাপ অনেকটা কম হবে।
০২ – ছুটি প্রদানঃ আপনি আপনার পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য বিদেশে যাবেন। তার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হবে। যে সময় গুলো তে আপনি বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবেন।
০৩ – কর্মসংস্থান সুবিধাঃ আপনি যখন বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবেন। তখন আপনার পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার কর্মসংস্থানেও অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
তো আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারেন। তাহলে আপনি যেসব ক্ষেত্রে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেগুলো উপরের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা
সরকারী চাকরিজীবীরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে গেলে কত বছর পর্যন্ত ছুটি পান?
দেখুন, আমরা সকলেই জানি যে, বিদেশে লেখাপড়া করতে হলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছুটির প্রয়োজন হবে। সেজন্য একজন সরকারী চাকরিজীবী তার উচ্চ শিক্ষার জন্য মোট কত বছর পর্যন্ত ছুটি নিতে পারবে। সে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার অবশ্যই সঠিক তথ্য জানতে হবে।
তো চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে আপনার কত বছর ছুটি হবে। সেটি সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করবে, আপনি কোন স্তরে লেখাপড়া করবেন তার উপর। কেননা, যদি আপনি মাষ্টার্স করার জন্য বিদেশে যেতে চান। তাহলে আপনার কমপক্ষে ১ বছর থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগবে।
আবার আপনি যদি পিএইচডি বা অন্যান্য স্তরে পড়াশোনা করতে যান। তাহলে আপনার ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে। তাই আপনার ছুটি কত বছর পর্যন্ত দেওয়া হবে। সেটা সম্পূর্ণ আপনার লেখাপড়ার উপর নির্ভর করবে।
আরো পড়ুনঃ সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ কত?
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
বর্তমান সময়ে যারা সরকারি চাকরী তে কর্মরত থেকে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আজকের লেখাটি অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।
তো যদি আপনি এই বিষয়ে আরো কোনো তথ্য জানতে চান। তাহলে নিচে কমেন্ট করে আপনার অজানা বিষয়টি উল্লেখ করুন।
আর এমন ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে, আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।