ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

Europe Work Permit Visa: আমাদের বাংলাদেশ থেকে যারা প্রবাস জীবনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চায়। তাদের অধিকাংশ মানুষ এর ইচ্ছে থাকে ইউরোপের কোনো দেশের ওয়ার্ক পারমিট নেওয়ার জন্য। কেননা, এই দেশ গুলো তে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ ভালো বেতন পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি চাকরির সময় অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।

তো সেই কারণে আজকে আমি আপনাকে ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানিয়ে দিবো। আশা করি, আজকের শেয়ার করা তথ্য গুলো আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়?

আমরা সবাই জানি যে, ইউরোপ এর মধ্যে মোট ৫০ টি দেশ আছে। আর সব দেশ থেকে আমাদের বাংলাদেশের নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করা হয়না। আবার ইউরোপের অনেক দেশে তেমন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়না।

তাই আপনি চাইলেও বর্তমান সময়ে ইউরোপের সব দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন না। তবে ইউরোপের এমন কিছু দেশ আছে, যে দেশ গুলোতে বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক পরিমান শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

আর আপনি যেন সেই দেশ গুলোর নাম জানতে পারেন। সে কারণে এবার আমি একটি তালিকা প্রদান করবো। যে তালিকায় আপনি সেই দেশ গুলো নাম দেখতে পারবেন। যেমন,

  1. হাঙ্গেরি
  2. সুইজারল্যান্ড
  3. ফিনল্যান্ড
  4. নেদারল্যান্ডস
  5. পোল্যান্ড
  6. মাল্টা
  7. ইতালি
  8. জার্মানি
  9. রোমানিয়া
  10. অস্ট্রিয়া
  11. ফ্রান্স
  12. পর্তুগাল

উপরের তালিকায় আপনি মোট ১২ টি ইউরোপ এর দেশের নাম দেখতে পাচ্ছেন। মূলত এই দেশ গুলো থেকে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করা হয়। তবে এগুলো ছাড়াও আরো অন্যান্য দেশেও ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করা হয়। তবে তার পরিমান অতি নগন্য।

আরো পড়ুনঃ গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (আবেদন, খরচ, বেতন)

কিভাবে ইউরোপের কাজের ভিসা পাওয়া যায়?

যদি আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের দেশ গুলো তে যেতে চান। তাহলে আপনার নির্ধারিত কাজ এর জন্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে।

তবে এগুলোর পাশাপাশি আপনাকে ইউরোপে কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আর এবার আমি আপনাকে সেই উপায় গুলো সম্পর্কে বলবো। যেমন,

  1. সবার আগে নিজের যোগ্যতা অর্জন করবেন। যেমন, IELTS এর কোর্স করবেন, নির্দিষ্ট কাজে নিজের দক্ষতা অর্জন করবেন।
  2. চাকরি পেতে হলে আপনাকে ইউরোপ বিভিন্ন দেশের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলোতে চোখ রাখতে হবে।
  3. এরপর যদি আপনি আপনার যোগ্যতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো নিয়োগ দেখতে পারেন। তাহলে আপনাকে সে গুলোতে আবেদন করতে হবে।
  4. এছাড়াও যদি আপনার বিদেশে কোনো পরিচিত ব্যক্তি থাকে। তাহলে তাদের মাধ্যমেও বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
  5. অথবা আপনি চাইলে আমাদের দেশের বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমেও ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  6. সবশেষে যদি আপনার ইউরোপে কোনো আত্মীয় থাকে। তাহলে আপনি তাদের রেফারেন্সেও ইউরোপের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারবেন।

মূলত আপনারা যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান। তাদের জন্য উপরে দেখানো উপায় গুলো ফলো করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ (আপডেট তথ্য)

বেসরকারি এজেন্সি ও দালাল সংক্রান্ত কিছু সতর্কতা

যেহুতু আমাদের দেশের মানুষের ইউরোপের দেশে যাওয়ার ব্যাপক পরিমান চাহিদা আছে। তাই এই চাহিদা কে সুযোগ হিসেবে তৈরি করে জেগে উঠেছে অনেক দালাল চক্র। যাদের মূল টার্গেট হলো ইউরোপ যেতে আগ্রহী মানুষরা।

আর যখন আপনি তাদের ফাঁদে পা দিবেন। তারপর তারা আপনাকে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিবে লাখ লাখ টাকা। তাই আপনিও সতর্ক থাকবেন, আপনার পরিচিত মানুষকেও সতর্ক করবেন। যেন, তারা ভুল পথে পা বাড়িয়ে নিজের সর্বস্ব না হারায়।

আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (আপডেট তথ্য)

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

প্রিয় পাঠক, আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশের ভিসা নিয়ে অজানা তথ্য গুলো শেয়ার করি। যে তথ্য গুলো থেকে আপনি ওয়ার্ক পারমিট সংক্রান্ত অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন। তো যদি আপনি নিয়মিত সেই তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *