ইবি ৩ ভিসা কি? কিভাবে EB3 Visa পাবেন?

EB 3 visa:আমি আমার ওয়েবসাইটে ভিসা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। তবে সেখানে আপনারা অনেকেই ইবি ৩ ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। আর সে কারণে আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে উক্ত ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবো। চলুন, তাহলে সেই ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গুলো জেনে নেওয়া যাক।

ইবি ৩ ভিসা বলতে কি বোঝায়?

সবার শুরুতেই আমাদের জানতে হবে যে, ইবি ৩ ভিসা কাকে বলে। আর আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ স্থায়ী ভাবে আমেরিকা তে থাকতে চান। তাদের জন্য স্থায়ী ভাবে আমেরিকা তে থাকার জন্য অন্যতম একটি ভিসার নাম হলো, ইবি ৩ ভিসা। যার সাহায্য আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা তে স্থায়ী ভাবে থাকার সুযোগ পাবেন।

আর এই ধরনের ইবি ৩ ভিসা প্রদান করা হয়। এমন বিষয় গুলোকে মোট ০৩ টি ক্যাটাগরি কে ভাগ করা হয়। যেমন,

  1. যাদের বিশেষ কোনো কাজে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে।
  2. যে সকল ব্যক্তি মূলত প্রফেশনাল ওয়ার্কার।
  3. যাদের কোনো কাজে অভিজ্ঞতা নেই।

তো এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মোট তিন (০৩) টি ক্যাটাগরি তে আমরা ইবি ৩ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবো। আর উক্ত আবেদন করার মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে আমেরিকা তে থাকার সুযোগ পাবো।

আরো পড়ুনঃ আমেরিকান ডিবি লটারি ২০২৩ ( আপডেট তথ্য)

কাদের জন্য ইবি ৩ ভিসা প্রযোজ্য?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, ইবি ৩ ভিসা কাকে বলে। তো এবার আমাদের জানতে হবে যে, কাদের জন্য ইবি ৩ ভিসা প্রযোজ্য হবে। এবং উপরের আলোচনায় আমি আপনাকে মোট ০৩ টি ক্যাটাগরি সম্পর্কে বলেছি। সেগুলো হলো,

০১ – যাদের কোনো কাজে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে প্রফেশনাল ভাবে ওয়ার্কার না হওয়ার পরেও। তাদের নির্দিষ্ট কোনো কাজে দক্ষতা আছে। সেটা হতে পারে বিভিন্ন কাজ যেমন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার ইত্যাদি।

তো যাদের এই ধরনের বিভিন্ন কাজে পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে। তারা চাইলে এই ধরনের ইবি ৩ ভিসার মাধ্যমে আমেরিকাতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার সুবিধা পাবে।

০২ – যারা প্রফেশনাল ভাবে ওয়ার্কার

এবার আমাদের জানতে হবে যে, প্রফেশনাল ওয়ার্কার বলতে কি বোঝানো হয়েছে। মূলত আমাদের মধ্যে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকমের পেশার সাথে নিযুক্ত আছে। আর সেটি বিভিন্ন পেশা হতে পারে যেমন, শিক্ষক, ডক্টর, আর্কিটেকচার ইত্যাদি। তো এই ধরনের ব্যক্তিদের প্রফেশনাল ওয়ার্কার এর ক্যাটাগরি তে নেওয়া হয়। 

আর আপনারা যারা এই ধরনের প্রফেশনাল কাজের সাথে যুক্ত আছেন। এবং যাদের এই কাজে ২-৩ বছর এর অভিজ্ঞতা আছে বা তার চেয়েও কম অভিজ্ঞতা আছে। তারা চাইলে আমেরিকা তে স্থায়ী ভাবে থাকার জন্য ইবি ৩ ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

০৩ – যাদের নির্দিষ্ট কোনো কাজে দক্ষতা নেই

ইবি ৩ ভিসার জন্য দক্ষ ও প্রফেশনাল ব্যক্তিরা আবেদন করার পাশাপাশি। আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ গুলো আনস্কিলড। চাইলে তারাও ইবি ৩ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে যে, এখানে আনস্কিলড বলতে কোন মানুষ গুলো কে বোঝানো হয়েছে।

তো এমন অনেক কাজ আছে, যে গুলোর করার পরও আপনাকে আনস্কিলড ওয়ার্কার হিসেবে ধরা হবে। যেমন, ছোটো ছোটো বাচ্চাদের দেখাশোনা করা। বৃদ্ধ অসুস্থ পিতা বা মাতার কেয়ার করা। কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্লিনার এর কাজ করা ইত্যাদি। যারা মূলত এই ধরনের কাজ গুলো করেন। তাদের আনস্কিলড ক্যাটাগরির মধ্যে রাখা হয়।

আরো পড়ুনঃ কাতারের ভিসা কবে চালু হবে ২০২৩

ইবি ৩ ভিসা নিয়ে আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা ইবি ৩ ভিসা কি সে সম্পর্কে জানতে চেয়ছেন। তাদের আজকের আর্টিকেলে উক্ত ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়েছে। তো আপনি যদি এই ধরনের ভিসা কিংবা পাসপোর্ট সম্পর্কে আরো অজানা তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন।

ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমার লেখা আর্টিকেল টি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *