২২ ক্যারেট স্বর্ণের বর্তমান দাম কত? | ২২ ক্যারেট স্বর্ণ চেনার উপায়
Current price of 22 carat gold: আপনি কি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বর্তমান দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে শুনে নিন, যদি আপনি ২২ ক্যারেট এর সোনা কিনতে চান। তাহলে আপনাকে প্রতি ভরি স্বর্ণের জন্য ৯৮ হাজার ৪ শত ৪৪ টাকা এবং প্রতি গ্রাম স্বর্ণের জন্য ৮ হাজার ৪ শত ৪০ টাকা দিতে হবে।
২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত?
যেহেতু আপনি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বর্তমান দাম সম্পর্কে জানতে চান। সেহুতু আপনাকে একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, এই স্বর্ণের দাম প্রতিদিন একই রকম থাকে না। কেননা এই স্বর্ণের দাম প্রতিনিয়ত কম বেশি হয়ে থাকে। আর এই স্বর্ণের দাম কত হবে সেটা কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ এর ”জুয়েলার্স সমিতি” থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
তো তাদের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী আজকের দিনে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম হলঃ
- ২২ ক্যারেট এর ১ ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫০৯.২ টাকা।
- ২২ ক্যারেট এর প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ৮ হাজার ৬২০ টাকা।
উপরের তালিকা তে আপনি আজকের দিনের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম দেখতে পাচ্ছেন। আর এই তালিকা টি প্রতিদিন আপডেট করা হবে। যাতে করে আপনি বা আপনার মত মানুষরা যারা স্বর্ণের দাম জানতে চায়। তারা যেন আপডেট স্বর্নের দাম জেনে নিতে পারে।
২২ ক্যারেট এর ০১ ভরি সোনার দাম কত টাকা?
আমি উপরের আলোচনা তে আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হলো আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে জুয়েলার্স সমিতি। এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই স্বর্ণের দাম প্রতিদিন কম বেশি হয়। কেননা আজকে আপনি যে দামে স্বর্ণ কিনতে পারবেন। কালকে সেই দামে কিনতে পারবেন কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
আর সেই বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির তথ্য অনুযায়ী আজকের দিনে আপনি যদি ২২ ক্যারেট এর এক ভরি স্বর্ণ কিনতে যান। তাহলে আপনাকে মোট ১ লাখ ৫০৯.২ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তবে এটি হলো আজকের ২২ ক্যারেট এর এক ভরি সোনার দাম। কিন্তুু আগামী দিনে এই দামের পরিবর্তন হতে পারে।
২২ ক্যারেট স্বর্ণ কেন এত জনপ্রিয়?
আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে, বর্তমান বিশ্বে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের অনেক বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে। এবং আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যেও ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়। তো কখনো কি আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, কেন এই ২২ ক্যারেট স্বর্ণের এত বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে? যদি আপনার মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে, তাহলে শুনে নিন…..
বর্তমান সময়ে আপনি যদি ২৪ ক্যারেট এর স্বর্ণ কিনে নেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেখানে শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণ রয়েছে। এবং আপনি যদি সেই স্বর্ণ কেনার পরে নিজের প্রয়োজনীয় অলংকার তৈরি করেন। তাহলে আপনার তৈরি করা সেই অলংকার গুলো খুব তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কিন্তু আপনি এত টাকা ব্যয় করে স্বর্ণের অলংকার তৈরি করার পর, সেটি যদি ভেঙ্গে যায়। তাহলে তো এই ২৪ ক্যারেট এর স্বর্ণ কিনে আপনি তেমন লাভবান হতে পারবেন না।
মূলত এই বিষয়টি কে বিশেষ ভাবে বিবেচনা করে ২৪ ক্যারেট এর স্বর্ণের মধ্যে আরো অন্যান্য ধাতুর মিশ্রণ দেওয়া হয়। এবং এই মিশ্রিত ধাতুর সমন্বয়ে যে স্বর্ণ তৈরি করা হয়, তাকেই ২২ ক্যারেট স্বর্ণ বলা হয়ে থাকে। কেননা ২২ ক্যারেট এর স্বর্ণের মধ্যে প্রায় ৯২% বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে এবং বাকি ৮% অন্যান্য ধাতুর মিশ্রণ থাকে।
আর আপনি যদি এই ২২ ক্যারেট এর স্বর্ণ দিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় অলংকার তৈরি করেন। তাহলে কিন্তু আর সেই অলংকার খুব দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এর পাশাপাশি ২৪ ক্যারেট এর স্বর্ণের তুলনায় আপনি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ অনেক কম দামে কিনে নিতে পারবেন। মূলত এ কারণেই বর্তমান সময়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিভাবে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ চিনবেন? | ২২ ক্যারেট স্বর্ণ চেনার উপায়
আমাদের দেশে অলংকার তৈরিতে স্বর্ণ কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর সে কারণে যখন আমরা অলংকার তৈরি করার জন্য স্বর্ণ কিনে নেই। তখন আমাদের মাথায় একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খেতে থাকে। সেটি হল, কিভাবে আমরা আসল স্বর্ণ এবং নকল স্বর্ণ চিনতে পারব।
তো যারা আসলে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় থাকেন। তাদের বলে রাখি, বর্তমান সময়ে স্বর্ণের পরিমাপ করা হয় ক্যারেট হিসেবে। যেমন, ১০ ক্যারেট, ১৪ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট এবং ২৪ ক্যারেট এর স্বর্ণ। আর এই স্বর্ণের দাম প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হলেও আমরা এই একই পরিমাণের স্বর্ণ দেখতে পাই। তো এই স্বর্ণ আপনি বিভিন্ন ভাবে চিনতে পারবেন।
কারণ বর্তমান সময়ে এমন অনেক পদ্ধতি রয়েছে। যে পদ্ধতি গুলো কে ফলো করে আপনি আসল স্বর্ণ এবং নকল স্বর্ণ খুব সহজেই সনাক্ত করে নিতে পারবেন। আর এবার আমি আপনাকে সে, পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জানিয়ে দিব। যেমন,
০১ – হলমার্ক দেখে নেওয়া
আপনি যদি খাঁটি সোনা খুব সহজভাবে চিনতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই হলমার্ক দেখে নিতে হবে। কেননা যখন আপনি স্বর্ণ কিনতে যাবেন। তখন বিভিন্ন ক্যারেটের স্বর্ণের হলমার্ক লক্ষ্য করতে পারবেন। তো এখানে একটা বিষয়ে বলে রাখা ভালো যে, আপনি যত বেশি ক্যারেটের স্বর্ণ কিনবেন। সেই স্বর্ণ গুলো তে আপনি তত বিশুদ্ধতা খুঁজে পাবেন।
তাই খাঁটি স্বর্ণ চেনার সময় অবশ্যই আপনি সেই স্বর্ণের মধ্যে থাকা হলমার্ক ভালো ভাবে লক্ষ্য করবেন। এবং আপনি যদি বিশুদ্ধ স্বর্ণ কিনতে চান, তাহলে অবশ্যই ২২ ক্যারেট কিংবা ২৪ ক্যারেট এর স্বর্ণ কেনার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনাকে খাঁটি কিংবা নকল স্বর্ণ নিয়ে ততটা ভাবতে হবে না।
০২ – নাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা করুন
স্বর্ণ পরীক্ষা করার উপযুক্ত একটি মাধ্যম হলো, নাইট্রিক এসিডের ব্যবহার করা। সেক্ষেত্রে আপনি যখন স্বর্ণ কিনতে যাবেন। তখন আপনি কয়েক ফোঁটা নাইট্রিক এসিড উক্ত স্বর্ণের উপর দিবেন। এরপর আপনি যদি লক্ষ্য করতে পারেন যে, সেই স্বর্ণের উপর কয়েক ফোটা নাইট্রিক এসিড দেওয়ার পরে তার রং পরিবর্তন হচ্ছে। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, সেই স্বর্ণ টি নকল।
কেননা আমরা সকলেই জানি যে, স্বর্ণের সাথে নাইট্রিক এসিডের কোন ধরনের বিক্রিয়া হয় না। কিন্তু স্বর্ণ বাদে অন্যান্য ধাতুর সাথে নাইট্রিক এসিড এর রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। সেক্ষেত্রে আপনার কিনে নেওয়া স্বর্ণের মধ্যে যদি কোন ধরনের ঝামেলা থাকে। তাহলে অবশ্যই নাইট্রিক এসিড দেওয়ার সাথে সাথেই সেই স্বর্ণের রং পরিবর্তন হওয়া শুরু করবে। এবং আপনিও বুঝতে পারবেন যে, উক্ত স্বর্ণটি আসল নাকি নকল।
০৩ – জল দিয়ে পরীক্ষা করুন
আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। কারণ স্বর্ণ আসল নাকি নকল সেটি খুব সহজেই জল দিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব। সেজন্য আপনাকে একটি পাত্রের মধ্যে জল নিতে হবে। এরপর আপনার স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা অলংকার গুলো সেই পাত্রের মধ্যে দিতে হবে। এখন সেই পাত্রের মধ্যে থাকা জল এর মধ্যে যদি স্বর্ণের অলংকার গুলো ভেসে থাকে। তাহলে বুঝতে হবে যে, স্বর্ণ টি নকল।
কারণ জলের মধ্যে স্বর্ণ খুব তাড়াতাড়ি ডুবে যায়। কিন্তু অন্যান্য ধাতু দিয়ে তৈরি করা অলংকার জলের মধ্যে ভেসে থাকে। আর আপনি যদি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা অলংকার আসল নাকি নকল সেটা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তাহলে আপনি কোন প্রকার খরচ ছাড়াই স্বরণের বিশুদ্ধতা নিজের বাড়িতে বসেই যাচাই করে নিতে পারবেন।
হলমার্ক সোনার চিহ্ন বলতে কি বুঝায়?
আপনি যদি স্বর্ণ কেনার সময় আসল নাকি নকল সে নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি পদ্ধতি হবে সেই স্বর্ণের হলমার্ক দেখে নেওয়া নেওয়া। কারণ যখন স্বর্ণ দিয়ে কোন ধরনের অলংকার তৈরি করা হয়। তখন সেই অলংকার এর উপর বিশেষ ধরনের চিহ্ন প্রদান করা হয়।
আর এই হলমার্ক এর মাধ্যমে কোন ধরনের অলংকার এর মধ্যে উক্ত স্বর্ণের বিশুদ্ধতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি সেই স্বর্ণ গুলো কোথায় বা কোন কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছিল সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়। মূলত এই যাবতীয় বিষয় গুলো কে বলা হয়ে থাকে, সোনার হলমার্ক চিহ্ন।
হোয়াইট গোল্ড চেনার উপায়
আপনি খুব সহজে একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে হোয়াইট গোল্ড চিনতে পারবেন। সে জন্য আপনাকে একটি ড্রপের মধ্যে কিছু ভিনেগার নিতে হবে। এরপর আপনি যে স্বর্ণ দিয়ে অলংকার তৈরি করেছেন। সেই অলংকার গুলোর উপর উক্ত ড্রপ এর মধ্যে থাকা ভিনেগার গুলো কয়েক ফোঁটা দিতে হবে।
এখন আপনি যদি লক্ষ্য করতে পারেন যে, সেই স্বর্ণের অলংকার গুলোর উপর ভিনেগার দেওয়ার পরে সে গুলোর রং পরিবর্তন হচ্ছে। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, সেই স্বর্ণের তৈরি অলংকার গুলো নকল।
কিন্তু ভিনেগার দেওয়ার পরেও যদি সেই স্বর্ণের তৈরি অলংকার গুলোর কোন ধরনের পরিবর্তন না হয়। এবং সেই অলংকার গুলো আরো জ্বলতে থাকে। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, আপনার হাতে বর্তমানে আসল স্বর্ণের অলংকার রয়েছে। আর এভাবেই আপনি হোয়াইট গোল্ড চিনতে পারবেন।
সাদা সোনা কি আসল সোনা?
বিভিন্ন সময় আমরা সাদা সোনা এর নাম শুনে থাকি। তো যখন আমরা এই সাদা সোনার নাম শুনি। তখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে, এটি কি আসল সোনা নাকি নকল সোনা? আর আপনারা যারা এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছেন। তাদের বলে রাখি যে, সাদা সোনা মূলত প্লাটিনাম নামক এক ধরনের প্রাকৃতিক সাদা ধাতুর অনুকরণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
আর আপনার একটা বিষয়ে জেনে রাখা উচিত। সেটি হল, সাদা সোনার মধ্যে খাদ এর পরিমাণ থাকে ৭৫%, যার মধ্যে প্রায় অধিকাংশই স্বর্ণ। অপরদিকে স্বর্ণের পাশাপাশি 25% নিকেল এবং দস্তা থাকে। আর আপনি যদি সেই দিক থেকে বিবেচনা করে দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, সাদা সোনার মধ্যে ৭৫% খাঁটি সোনা রয়েছে। এখন আপনি নিজেই বিবেচনা করে দেখুন যে, সাদা সোনা কি আসল নাকি নকল।
১৪ ক্যারেট সাদা সোনা কি ভালো হবে?
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা মূলত ১৪ ক্যারেট এর সাদা সোনা কিনতে চান। আর সে কারণে তারা আসলে জানতে চান যে, ১৪ ক্যারেট সাদা সোনা কিনে নেওয়াটা ভালো হবে নাকি খারাপ হবে।
তো যারা আসলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাদের বলে রাখি যে, আপনি যদি ১৪ ক্যারেট এর স্বর্ণ কিনে নেন। তাহলে আপনি খাঁটি সোনার চেয়ে অনেক শক্তিশালী এবং অনেক সাশ্রয়ী দামী সোনা কিনে নিতে পারবেন।
সেই সাথে আপনি যদি ১৪ ক্যারেট এরে সাদা সোনা কিনে নেন। এবং সেই সোনা দিয়ে যদি অলংকার তৈরি করেন। তাহলে আপনার তৈরি করা সেই অলংকার গুলো দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থায়ী হবে। আর এই দিক গুলো বিবেচনা করলে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে, ১৪ ক্যারেট সাদা সোনা অবশ্যই ভালো হবে।
২২ ক্যারেট স্বর্ণের বর্তমান দাম নিয়ে আমাদের শেষ কথা
আপনারা যারা ২২ ক্যারেট এর স্বর্ণ কিনতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি যে, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বর্তমান দাম কত। আশা করি, আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।
আর আপনি যদি প্রতিদিন স্বর্ণের দামের আপডেট তথ্য গুলো জানতে চান। তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলের মধ্যে প্রবেশ করবেন। তাহলে আপনি প্রতিদিনের আপডেট স্বর্ণের দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।