আইইএলটিএস এর সুবিধা?

Advantages of IELTS?: যেসব দেশের মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলে, আপনি যদি সেই দেশ গুলোতে যেতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই আইইএটিএস করতে হবে। কারন, আইইএলটিস করার মাধ্যমে আপনি আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমান দিতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি আইইএলটিএস করেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর আজকে আমি আপনাকে আইইএলটিএস এর সুবিধা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। যেগুলো নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা হলো।

আইএলটিএস এর সুবিধা কি?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করার জন্য বাধ্যতামূলক আইইএলটিএস করার প্রয়োজন হয়। আবার এমন অনেক দেশ আছে, যে দেশ গুলোতে কর্মসংস্থান এর জন্যও আইইএলটিএস করার দরকার হয়। তবে যখন আপনি আইইএলটিএস করবেন, তখন আপনি বিভিন্ন দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর উক্ত সুবিধা গুলো হলো, 

০১ – বিদেশে পড়াশোনা করার যোগ্যতা অর্জন করা

বর্তমান বিশ্বের মধ্যে এমন অনেক দেশ আছে, যে দেশে পড়ালেখা করার জন্য বাধ্যতামূলক IELTS করার দরকার হয়। তাই যখন আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে আইইএলটিএস কোর্স করবেন। তখন আপনি সেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। 

০২- বিদেশে চাকরি করার যোগ্যতা অর্জন করা

এমন অনেক দেশ আছে, যে দেশ গুলোতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়ার আগে ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়। আর যখন আপনি আইইএলটিএস কোর্স করবেন, আর আপনার আইইএলটিএস স্কোর ভালো থাকবে। তখন আপনি সেই দেশের বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি করার সুবিধা লাভ করতে পারবেন।

০৩ – বিশ্বের ইংরেজি দেশ গুলো সম্পর্কে ধারনা

যখন আপনি কোনো সেক্টর নিয়ে পড়াশোনা করবেন। তখন আপনি সেই সেক্টর সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আইইএলটিএস কোর্স করবেন। তখন আপনি বিশ্বের বিভিন্ন ইংরেজি ভাষাভাষী দেশ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

০৪- অভিবাসন এর যোগ্যতা অর্জন করা

এটা তো আমরা সকলেই জানি যে, কোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করার সময় বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, আপনার ভাষা দক্ষতা। অর্থ্যাৎ আপনি যে দেশ এর নাগরিকত্ব নিতে চান, সেই দেশের ভাষায় আপনি কতটুকু দক্ষ। সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তো একটি মানুষ যখন আইইএলটিএস সম্পূর্ণ করবে। তখন সেই মানুষটি যেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। সেই সুবিধা গুলো উপরের আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে। আর আপনি যদি এই সুবিধা গুলো ভোগ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো স্কোর নিয়ে আইইএলটিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

আরো পড়ুনঃ Ielts করে বিদেশ যাওয়ার খরচ সম্পর্কে জানুন

Ielts করার আগে কি পাসপোর্ট করতে হয়?

যখন আপনি আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতা অর্জন করার জন্য আইইএলটিএস করতে চাইবেন। তখন আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টস দিয়ে আইইএলটিএস রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। আর রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আপনাকে যেসব ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পাসপোর্ট।

তাই এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, Ielts করার আগে আপনাকে পাসপোর্ট করতে হবে। আর যখন আপনি আপনার পাসপোর্ট করবেন। তারপর সেগুলো জমা দিয়ে আইইএলটিএস কোর্স করার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

Ielts পাস মার্ক কত?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চান যে, Ielts পাস মার্ক কত।  আর এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো, Ielts এর কোনো পাস মার্ক নেই। তবে যখন আপনি Ielts পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন। তখন আপনাকে একটি স্কোর প্রদান করা হবে। আর উক্ত স্কোরের মাধ্যমে আপনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা ও কর্মসংস্থানের যোগ্যতা অর্জন করবেন।

আরো পড়ুনঃ কানাডা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে?

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

কোনো ব্যক্তি যদি ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে যেতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই আইইএলটিএস কোর্স করতে হবে। আর যখন আপনি আইইএলটিএস কোর্স করবেন, তখন আপনি যেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেই সুবিধা গুলো আজকের আর্টিকেলে শেয়ার করা হয়েছে।

তো এরপরও যদি আপনার আইইএলটিএস সম্পর্কে আরো কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। আর ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *