১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ফি বাংলাদেশ

10 year passport fee Bangladesh: আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে চায়। তো আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট ফি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

তো বর্তমান সময়ে ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট ফি হিসেবে আপনাকে সর্বনিম্ন ৫,৭৫০ টাকা দিতে হবে। আর এই ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর সর্বোচ্চ মূল্য হলো, ১৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

কিন্তু এই পাসপোর্ট ফি এর পরিমাণ সাধারণত পাসপোর্ট এর ধরন এবং পৃষ্ঠার উপর নির্ভর করে। আর বিভিন্ন পাসপোর্ট এর ধরন ও পৃষ্ঠার উপর নির্ভর করে। ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য কত টাকা ফি দিতে হবে। সে গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট ব্যাংক ড্রাফট এর মেয়াদ

৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট ফি কত টাকা?

সবার শুরুতে আমি আপনাকে ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট ফি কত টাকা সে সম্পর্কে বলবো। আর আমরা বেশ ভালো করে জানি যে, পাসপোর্ট এর ধরন মূলত তিন প্রকারের হয়। তো সেই ধরনের প্রকারভেদ অনুযায়ী আপনার পাসপোর্ট ফি কত টাকা হবে। সেটি নিচের তালিকায় উল্লেখ করা হলো। যেমন,

৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট ফি 

ধরন 

ডেলিভারী সময়

ফি এর পরিমান 

পৃষ্ঠা

অতি জরুরী 

০২ দিন

১৩ হাজার ৮০০ টাকা 

৬৪ পৃষ্ঠা

জরুরী 

০৭ দিন 

১০ হাজার ৩৫০ টাকা 

৬৪ পৃষ্ঠা

সাধারন 

২১ দিন

৮ হাজার ৫০ টাকা  

৬৪ পৃষ্ঠা

৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট ফি কত টাকা?

আপনি যদি ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করেন। সেক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট এর ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ফি হবে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। আর আপনার সর্বোচ্চ ফি এর পরিমাণ হবে ১০ হাজার ৩৫০ টাকা। যা আপনি নিচের তালিকা তে দেখতে পারবেন। যেমন,

৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট ফি 

ধরন 

ডেলিভারী সময়

ফি এর পরিমান 

পৃষ্ঠা

অতি জরুরী 

০২ দিন

১০ হাজার ৩৫০ টাকা 

৪৮ পৃষ্ঠা

জরুরী 

০৭ দিন 

০৮ হাজার ৫০ টাকা 

৪৮ পৃষ্ঠা

সাধারন 

২১ দিন

০৫ হাজার ৭৫০ টাকা  

৪৮ পৃষ্ঠা

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ?

আপনি যদি পাসপোর্ট করতে চান। তাহলে আপনার পাসপোর্ট এর ধরন হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে আমাদের সবার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর দরকার হয়। আর উক্ত ডকুমেন্টস এর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,

  1. আপনার পেশাগত যোগ্যতার সনদ কপি
  2. আপনার নাগরিকত্বের সনদ
  3. পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন ফরম
  4. জাতীয় পরিচয় পত্র
  5. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ কপি
  6. সদ্য তোলা ছবি
  7. পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করার চালান

আপনি যদি বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট করতে চান। তাহলে প্রাথমিক ভাবে আপনার উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলোর প্রয়োজন হবে। তবে পাসপোর্ট এর ধরনের উপর আপনার আরো অন্যান্য ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট রেনু করতে কত টাকা লাগে?

পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার পর কি এডিট করা সম্ভব ?

অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যে, আমরা যখন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করি। তখন আমাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করতে হয়। আর সেই তথ্য গুলো জমা দেওয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

কিন্তু কোন কারণে যদি আপনার দেওয়া সেই তথ্য বা ডকুমেন্টস এর মধ্যে ভুল থাকে। আর আপনি যদি সেই আবেদন জমা দিয়ে দেন। তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে আপনি আর এডিট করতে পারবেন না।

সে কারণে পাসপোর্ট এর আবেদন জমা দেওয়ার পর, যদি সেগুলো এডিট করার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। এবং তাদের কে উক্ত বিষয়টি অবগত করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কাতার ভিসা চেক অনলাইন (পাসপোর্ট/ভিসা নম্বর) দিয়ে

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

আপনারা অনেকেই বাংলাদেশের ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট ফি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আর তাদের কে আজকের আর্টিকেলে সেই পাসপোর্ট ফি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়েছে।

তো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত পাসপোর্ট এবং ভিসা রিলেটেড অজানা তথ্য গুলো শেয়ার করি। যদি আপনি বিনামূল্যে সেই অজানা তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।

এছাড়াও আপনি যদি অন্যান্য কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সেই বিষয়টি কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *