এশিয়ার রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে? 

Which country is called the bread basket of Asia: আপন যদি জানতে চান যে, পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলা হয়। তাহলে আমি আপনাকে এক কথায় বলবো যে, যুক্তরাষ্ট্র কে পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে। কিন্তুু আপনি যদি শুধুমাত্র এশিয়ার রুটির ঝুড়ির দেশ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সবার আগে যে নামটি আসবে। সেই দেশটি হলো, ভারত।

আবার আপনি যদি শুধুমাত্র আমাদের বাংলাদেশ এর কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনি জানতে পারবেন যে, আমাদের বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও কে রুটির ঝুড়ি বলা হয়। আর এভাবে আপনি এশিয়ার মধ্যে থাকা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল কে রুটির ঝুড়ির নামে চিনে থাকবেন।

রুটির ঝুড়ি বিষয়টা আসলে কি?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল কে রুটির ঝুড়ি বলা হয়। তো এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে যে, এই রুটির ঝুড়ি আসলে কি। আর আপনিও যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে শুনুন……

সহজ কথায় বলতে গেলে রুটির ঝুড়ি এমন কিছু দেশ বা অঞ্চল কে বোঝায়। যেখানকার মাটি ও সেই স্থানের আবহাওয়া সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে প্রচুর পরিমানে গম ও অন্যান্য শস্য উৎপন্ন হয়। তো এই ধরনের দেশ বা অঞ্চল গুলোকে সাধারন ভাষায় বলা হয়, রুটির ঝুড়ি।

আরো পড়ুনঃ ক্রোয়েশিয়া কি ইউরোপ?

একটি দেশ বা অঞ্চল কি স্থায়ীভাবে রুটির ঝুড়ির খ্যাতি পায়?

এতক্ষন ধরে আমরা রুটির ঝুড়ির নামকরন এর বিষয়টা বুঝতে পারলাম। তো এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, একটি দেশ বা অঞ্চল কি স্থায়ীভাবে রুটির ঝুড়ির খ্যাতি অর্জন করতে পারে। আর আপনিও যদি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, না।

কেননা, একটি দেশ বা অঞ্চলের আবহাওয়া সর্বদাই এক রকম থাকেনা। আর আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে যে স্থানে বর্তমানে প্রচুর শস্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। ভবিষ্যতে সেই স্থানটি চাষাবাদ করার জন্য অযোগ্য হয়ে যেতে পারে।

তাই আমরা কখনই একটি দেশ বা স্থানকে স্থায়ীভবে রুটির ঝুড়ি বলতে পারবো না। কেননা, প্রকৃতির খেলা বোঝা বড় দায়। আজকে যেখানে সাগর দেখছি, ভবিষ্যতে সেখানে মরুভূমি হতে খুব বেশি সময় এর প্রয়োজন হবেনা।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্দেশ্য কি?

এশিয়ার কোন দেশ ও অঞ্চল কে রুটির ঝুড়ি বলা হয় এবং কেন?

তো আপনি যদি গোটা পৃথিবীর কথা বিবেচনা করে দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, বিভিন্ন দেশ এর বিভিন্ন অঞ্চল কে রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে। তো এবার আমি আপনাকে শুধুমাত্র এশিয়া মহাদেশ এর বেশ কিছু দেশের নাম উল্লেখ করবো। যে দেশ গুলোকে রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে। যেমন,

  1. কম্বোডিয়াঃ বাটামবাং প্রদেশকে কম্বোডিয়ার চালের বাটি হিসেবে পরিচিত করা হয়েছে।
  2. চিনঃ সিচুয়ান প্রদেশ কে চিনের প্রাচুর্যের দেশ হিসেবে খ্যাতি প্রদান করা হয়েছে। এগুলো ছাড়াও দক্ষিন জিয়াংসু এবং ঝেজিয়াং প্রদেশ শস্য উৎপাদন করার দিক থেকে বিখ্যাত।
  3. ভারতঃ এই দেশের মধ্যে অবস্থিত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা নামক অঞ্চল গুলোকে রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে। আর ভারতে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ কে “ভাতের বাটি” বলা হয়।
  4. ইন্দোনেশিয়াঃ এই দেশের মধ্যে “জাভার” সমতল ভূমিকে চালের বাটি বলা হয়।
  5. পাকিস্তানঃ পাঞ্জাব নামক প্রদেশকে পাকিস্তানের রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে।
  6. মালয়েশিয়াঃ কেদাহ কে মালয়েশিয়ার চালের বাটি হিসেবে খ্যাতি প্রদান করা হয়েছে।
  7. ফিলিপাইনঃ লুজন দ্বীপ এর মধ্যে অবস্থিত নুয়েজা ইসিজা কে ফিলিপাইন এর রুটির ঝুড়ি বলা হয়।

উপরের তালিকা তে আপনি এশিয়া মহাদেশ এর বেশ কিছু অঞ্চল এর নাম দেখতে পাচ্ছেন। যেগুলো কে  রুটির ঝুড়ি বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশের নাম

আপনার জন্য আমদের কিছুকথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনায় আমি আপনাকে এশিয়ার রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে সেটি বলেছি। এছাড়াও বিভিন্ন দেশ ভেদে সেই দেশের কোন অঞ্চল গুলোকে রুটির ঝুড়ি বলা হয়। সেই অঞ্চল গুলোর একটি তালিকা প্রদান করেছি। তো আশা করি, এই তালিকা থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন।

আর আপনি যদি এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ, ভলো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *