কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করার উপায়?
আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষের মনে কসোভোতে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহাসিক স্থান, আন্তরিক মানুষ এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এই দেশে কাজ করার ইচ্ছা জাগাটাও স্বাভাবিক। তবে, কসোভোতে কাজ করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে।
মনে রাখবেন, একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট শুধু আইনি চাহিদা পূরণ করে না, বরং এটি আপনার কর্মসংস্থানের অবস্থা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি অবৈধ কর্মসংস্থান রোধ, জরিমানা এড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনার কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করা দরকার।
কেন কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করবেন?
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আমরা কেন কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করবো। তো এমন অনেক কারণ আছে যেগুলোর জন্য আপনার অবশ্যই কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করা দরকার। আর সেই কারণ গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। যেমন,
১. আইনি চাহিদা পূরণ
কসোভোর আইন অনুসারে, কোন বিদেশী নাগরিক বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া দেশে কাজ করতে পারবে না। ওয়ার্ক পারমিট চেক করা আপনার আইন মেনে চলার প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও আপনার যে কসোভোতে কাজের অনুমতি রয়েছে তা নিশ্চিত করবে।
২. কর্মসংস্থানের অবস্থা নিশ্চিত
ওয়ার্ক পারমিট আপনার কাজের ধরন, কর্মঘণ্টা, বেতন এবং অন্যান্য শর্তাবলী নির্দিষ্ট করবে। যা আপনার মতো মানুষদের কর্মসংস্থানের ন্যায্যতা নিশ্চিত করবে।
৩. অবৈধ কর্মসংস্থান রোধ
ওয়ার্ক পারমিট চেক করার মাধ্যমে অবৈধ কর্মসংস্থান রোধ করা সম্ভব। অবৈধ কর্মসংস্থান শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। আর আপনি যদি আপনার ওয়ার্ক পারমিট আগে থেকে চেক করেন তাহলে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৪. জেল বা জরিমানা এড়ানো
আপনি যদি অবৈধভাবে কসোভোতে কাজ করতে যান তাহলে ধরা পড়লেই আপনার জেল অথবা জরিমানা হবে। তাই দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ভূয়া ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কসোভোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে আগে থেকে তা চেক করতে হবে।
কিভাবে কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করবেন?
বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার আগে কেন আপনার ওয়ার্ক পারমিট চেক করা উচিত সেগুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তো এবার আমাদের জানতে হবে যে, কিভাবে আমরা আমাদের কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করবো।
সত্যি বলতে কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করার পদ্ধতিটি খুব সহজ। সেজন্য আপনাকে নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো সঠিকভাবে ফলো করতে হবে। যেমন,
- সবার প্রথমে visametric ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- তারপর আপনি উপরের পিকচারের মতো একটি পেজে প্রবেশ করবেন।
- এবার “Passport Number” – এর জায়গাতে আপনার নাম্বারটি বসিয়ে দিন।
- তারপর “Barcode Number” দিন।
- নিচের অপশনে ক্যাপচা কোড পূরণ করুন।
- সবশেষে ”Search”-অপশনে ক্লিক করুন।
তো যদি আপনি উপরে দেখানো পদ্ধতি গুলো সঠিক ভাবে ফলো করেন তাহলে আপনি আপনার কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করতে পারবেন। তবে এরপরও যদি আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সেটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
👉Note: উপরে যে লিংকটি দেওয়া হয়েছে, সেটা কসোভোর কোনো সরকারি ওয়েবসাইট নয়। (Third Party Visa Checking Website.)
কসোভো ওয়ার্ক ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে যারা কসোভোতে কাজ করতে যাবেন তাদের ভিসা আবেদন করতে হবে। আর উক্ত ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর দরকার হবে। সেগুলো হলো,
- সঠিকভাবে পূরন করা ভিসা আবেদন ফরম।
- কসোভোর কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে জব অফার লেটার।
- ভিসা আবেদনের তারিখ থেকে কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধ পাসপোর্ট।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট ছবি।
- আবেদনকারীর স্বাস্থ্য বীমা কাভারেজ আছে এমন প্রমাণ।
- কসোভোতে নিজের খরচ চালাতে সক্ষম এমন আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ।
- কসোভোতে থাকার ব্যবস্থা আছে তার প্রমাণ।
- ভিসা ফি পরিশোধের ডকুমেন্টস।
যদি আপনার নিকট উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো থাকে তাহলে আপনি কসোভো ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনার জন্য আমাদের শেষকথা
কসোভোর ওয়ার্ক পারমিট হাতে পাওয়ার পর অবশ্যই তা চেক করা উচিত। আর কিভাবে আপনি আপনার কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করবেন সেগুলো আজকে ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। তো আশা করি আজকের আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। আর এমন ধরনের হেল্পফুল তথ্য গুলো পেতে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।