খতিয়ান সংশোধন আবেদন ফরম

Khatian correction Application Form: বিভিন্ন সময়ে আমাদের জমির খতিয়ানের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি থেকে যায়। তো আপনার জমির খতিয়ানের মধ্যেও যদি কোন ধরনের ভুল থাকে। তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে অতি দ্রুততার সাথে সেই ভুল তথ্য থাকা খতিয়ান সংশোধন করে নিতে হবে।

আর এবার আমি আপনাকে খতিয়ান সংশোধন আবেদন ফরম এর নমুনা প্রদান করব। তাই আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনাতে ফিরে যাওয়া যাক।

খতিয়ান সংশোধন করতে কি কি লাগে?

জমি সংক্রান্ত যে কোন বিষয় সংশোধন করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন আপনার নিজস্ব জমির খতিয়ান সংশোধন করতে যাবেন। তখনও কিন্তু আপনার নিকট বেশ কিছু কাগজপত্র থাকতে হবে। যেমন,

  1. সর্বশেষ নামজারি ও জমাভাগ/জমা একত্রিকরন খতিয়ান
  2. মূল দলিলের ফটোকপি
  3. করনিক ভুলের স্বপক্ষের কাজগজপত্র ও প্রমাণপত্র
  4. হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিল
  5. আদালতের রায় এর সার্টিফাইড কপি
  6. আবেদনকারী ব্যক্তির নিজস্ব জাতীয় পরিচয়পত্র এর কপি
  7. উক্ত ব্যক্তির সদ্য তোলা ছবি

তো আপনি যদি আপনার নিজস্ব জমির খতিয়ান সংশোধন করতে চান। তাহলে আপনার উপরের এই কাগজপত্র গুলো সাথে রাখতে হবে। তাহলে আপনি জমির খতিয়ান সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এর বাইরেও যদি আপনার আরো কোন কাগজপত্র দরকার হয়। তাহলে সেই সময় আপনাকে সেটি জানিয়ে দেওয়া হবে।

খতিয়ান সংশোধন আবেদন ফরম

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন। যারা মূলত খতিয়ান সংশোধন আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে চান। আর যারা আসলে এই ফর্ম সংগ্রহ করতে চান। তাদের বলে রাখি যে, বর্তমানে এখন পর্যন্ত খতিয়ান সংশোধন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন ফরম প্রদান করা হয়নি।

তবে বাংলাদেশ ভূমি অফিস থেকে বিশেষ একটি পিডিএফ ফাইল শেয়ার করা হয়েছে। যে ফাইল থেকে আপনি খতিয়ান সংশোধন করার যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। আর আপনি যদি সেই ফাইলটি নিজের কাছে সংগ্রহ করে রাখতে চান। তাহলে আপনাকে নিচের লিংক থেকে উক্ত ফাইল টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

  • বাংলাদেশ ভূমি অফিস থেকে খতিয়ান করণিক ভুল সংশোধন এর ফাইলঃ  ডাউনলোড

আর আপনি যখন উপরের শেয়ার করা লিঙ্কে ক্লিক করে উক্ত ফাইলটি ডাউনলোড করবেন। তখন আপনি খতিয়ান সংশোধন করার জন্য বাংলাদেশের ভূমি অফিস এর সকল নির্দেশনা গুলো দেখতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে জমির রেকর্ড বের করার নিয়ম

খতিয়ান সংশোধন করতে সর্বোচ্চ কতদিন পর্যন্ত সময় লাগে?

বাংলাদেশ ভূমি অফিস থেকে খতিয়ান সংশোধন করার নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। আর তাদের নির্ধারিত এই সময়ে হিসেবে আপনি যদি খতিয়ান সংশোধন করার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনার এই কাজটি সম্পন্ন হতে সর্বোচ্চ 30 থেকে 45 দিন পর্যন্ত সময় লাগবে। আর এর মধ্যেই আপনি আপনার খতিয়ান সংশোধন করে নিতে পারবেন।

খতিয়ান সংশোধন করার জন্য কত টাকা ফি দিতে হয়?

আপনি যখন খতিয়ান সংশোধন করতে চাইবেন। তখন আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে। তো এই ফি এর পরিমাণ কত টাকা হবে এবং কোন কোন কাজে কত টাকা ফি দিতে হবে। তার তালিকা নিচে দেওয়া হল। যেমন,

  1. কোর্ট ফি – ২০ টাকা
  2. রেকর্ড সংশোধন ফি -১ হাজার টাকা
  3. প্রতি কপি খতিয়ান ফি – ১০০ টাকা

একজন ব্যক্তি খতিয়ান সংশোধন করার জন্য তার কত টাকা ফি দিতে হবে। এই তালিকাটি উপরে প্রদান করা হলো।

নামজারি কি ও কেন?

যখন নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি আইনগত ভাবে নির্দিষ্ট জমির মালিকানার নাম পরিবর্তন করার জন্য হালনাগাদ করতে চায়। তখন তাকে বলা হয়ে থাকে, নামজারি। যার অর্থ হল নির্দিষ্ট একটি জমির মূল মালিক এর নাম পরিবর্তন করে নতুন মালিকের নাম সংযোজন করা। যাকে আইনের ভাষায় বলা হয়ে থাকে, নামজারি খতিয়ান।

আপনার জন্য কিছু কথা

ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়। আর আশা করি আমার লেখা এই আর্টিকেল গুলো থেকে আপনারা আপনাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে যান। তো আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো বিনামূল্যে পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন।

ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *