বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগে?

How much money does it take to make a BMET card?: হয়তবা আপনি কাজের ভিসায় আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে চান। আর আমরা সবাই জানি যে, কাজের ভিসায় বিদেশ যেতে হলে আমাদের বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। তারপর আমাদের সকল যাচাই শেষে বিএমইটি কার্ড প্রদান করা হয়। যে কার্ড কে আপনি আপনার কাজের দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে আপনার বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন থেকে শুরু করতে বিএমইটি কার্ড করতে বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হবে। আর আপনার আসলে বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগবে। আজকে আমি আপনাকে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানিয়ে দিবো।

বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগে?

যখন আপনি বিদেশ যাওয়ার জন্য বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করবেন। তখন আপনাকে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা নিবন্ধন ফি দিতে হবে। আর যখন আপনি বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করবেন। তখন আপনাকে বিএমইটি কার্ড এর আবেদন করার সময় কল্যান ফি হিসেবে ১,০০০ টাকা বা ১,৫০০ টাকা দিতে হবে।

তবে বলে রাখা ভালো যে, একজন ব্যক্তি যখন বিএমইটি কার্ড এর জন্য আবেদন করবে। তখন সেই ব্যক্তিকে আরো বেশ কিছু ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। যেমন,

  1. বিএমইটি এর ব্রিফিং ছাড়পত্র
  2. দুতাবাস থেকে চুক্তিপত্রের সত্যায়িত করা ফটোকপি
  3. দুতাবাস থেকে ভিসার সত্যায়িত কপি
  4. বৈধ পাসপোর্ট এর প্রথম ০৬ পৃষ্ঠার ফটোকপি
  5. রেজিষ্ট্রেশন কার্ড

আর যখন আপনার নিকট এই ডকুমেন্টস গুলো থাকবে। তখন আপনি আঙ্গুলের ছাপ, অঙ্গীকার পত্র, অনাপত্তিপত্র ও কল্যান ফি দেওয়ার মাধ্যমে চুড়ান্তভাবে বিএমইটি স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

বিএমইটি কার্ড এর সুবিধা কি?

যখন আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করার জন্য যাবেন। তখন যদি আপনি বিএমইটি কার্ড করেন। তাহলে আপনি আমাদের বাংলাদেশ সরকার থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। তো চলুন এবার তাহলে সেই সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

বিপদে সরকারী সহায়তা পাওয়া

প্রথমত যদি আপনার নিকট বিএমইটি কার্ড থাকে। তাহলে আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো প্রবাসী কল্যান এর সরকারি ডাটাবেজে সংরক্ষন করা থাকবে। আর তারপর যখন আপনি অন্য কোনো দেশে কাজ করতে যাবেন। তখন যদি আপনি কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি সরকারি ভাবে আপনার সমস্যার সমাধানের জন্য সাহায্য পাবেন। 

দুতাবাস থেকে সাহায্য পাওয়া

যখন আপনি বিদেশে কর্মরত অবস্থায় থাকবেন, তখন আপনার বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আর সেই সময় আপনি দুতাবাসের সাথে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে যদি আপনার নিকট বিএমইটি কার্ড থাকে। তাহলে দুতাবাস এর মধ্যে থাকা ব্যক্তিরা আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য যথেষ্ট চেস্টা করবেন।

অসুস্থতার সময় সহায়তা

একজন মানুষ কাজের সময় অসুস্থ হতে পারে এটা স্বাভাবিক বিষয়। আর যেহুতু আপনি নিজের পরিবার ছেড়ে অনেক দুরে থাকবেন। সেহুতু আপনাকে তখন পরিবারের মতো হেল্প করার মানুষ বিদেশে পাবেন না। তবে যদি আপনার বিএমইটি কার্ড থাকে। তাহলে আপনার অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা, প্রয়োজনে বিমানে উঠিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সহায়তা পাবেন। আর উক্ত কাজ গুলো সরকার নিজ দায়িত্বে করবে। 

সহজ শর্তে অভিবাসন ঋণ

বিদেশ যাওয়ার সময় আমাদের সবার টাকার দরকার হয়। আর আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা এই টাকা জোগাড় করতে না পারার কারণে বিদেশে যেতে পারেননি। তো আপনারও যদি এই ধরনের আর্থিক সমস্যা থাকে। তাহলে আপনি আপনার বিএমইটি কার্ড এর জন্য বিদেশি কল্যান ব্যাংক হতে প্রয়োজনীয় ঋণ নিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ঢাকা টু মালয়েশিয়া বিমান ভাড়া কত ২০২৩

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

বর্তমান সময়ে বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগে সেটি আজকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আপনার কাছে বিএমইটি কার্ড থাকলে কি কি সুবিধা পাবেন। সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করা হয়েছে।

তাই বিদেশে কাজ করতে গেলে অবশ্যই বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করবেন। আর বিএমইটি সম্পর্কে আরো আপডেট তথ্য গুলো পেতে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *