ওমান ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত?
একটু ভেবে দেখুন, আপনি ওমানের মরুভূমির বিশাল প্রান্তরের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন, ঝলমলে সূর্যের আলো আপনার মুখের উপর, বাতাস আপনার চুলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। আপনি দূরের পাহাড়ের চূড়া দেখতে পাচ্ছেন, যা আপনাকে এক অজানা রহস্য এবং রোমাঞ্চের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
কিন্তু আপনার এই স্বপ্ন পূরণ করার আগে, আপনার নিকট একটি ওমান ড্রাইভিং ভিসা প্রয়োজন হবে। তাই এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে ওমান ড্রাইভিং ভিসা সম্পর্কে সবকিছু জানিয়ে দিবো। যেমন, ওমান ড্রাইভিং ভিসা বেতন থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয়তা, আবেদন প্রক্রিয়া এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে বিস্তারিত বলবো।
ওমান ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত টাকা?
নতুন নিয়ম অনুসারে, ওমান ড্রাইভিং ভিসাধারীদের বেতন তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। তবে যারা ভারী যানবাহনের চালক হিসেবে কাজ করবেন তাদের জন্য মাসিক বেতন 35,000 টাকা থেকে 40,000 টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
অপরদিকে আপনারা যারা ওমানে হালকা যানবাহনের চালক হিসেবে কাজ করবেন তারা 25,000 টাকা থেকে 30,000 টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। তবে এখানে শুধুমাত্র ওমানের মিনিমাম ড্রাইভিং ভিসার বেতন ধরা হয়েছে। কেননা, যখন আপনার অভিজ্ঞতা হবে তখন আপনি এর থেকেও অনেক বেশি টাকা বেতন পাবেন।
ড্রাইভিং ভিসায় ওমান যেতে কি কি লাগবে?
আপনি যখন ওমান ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর দরকার হবে। যেগুলো নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো। যেমন,
- পাসপোর্ট
- ভিসা
- ভিসার আবেদনপত্র
- পাসপোর্ট সাইজের সাম্প্রতিক ছবি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট (IDP)
- স্পনসরশিপ (কোম্পানি, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান)
- স্পনসরের NOC
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
উপরের তালিকায় যেসব ডকুমেন্টস এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো ওমান ড্রাইভিং ভিসা আবেদন করার সময় দরকার হবে। তবে আপনাকে যে কোম্পানি থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা আরো অন্যান্য ডকুমেন্টস চাইতে পারে।
ড্রাইভিং ভিসায় ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়?
আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ খরচ করার দরকার হয়। সেজন্য যারা ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে ওমান যেতে চান তাদেরও কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। যার কারণে আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, ড্রাইভিং ভিসায় ওমান যেতে কত টাকা খরচ হবে।
তো বর্তমান সময়ে যারা বাংলাদেশ থেকে ড্রাইভিং ভিসায় ওমান যেতে চান তাদের প্রায় ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। আবার আপনি যখন কোনো বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ড্রাইভিং ভিসায় ওমান যাবেন, তখন আপনার খরচ আরো বেশি হবে।
ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
বর্তমান সময়ে ওমানে চাহিদা সম্পন্ন কাজের দিক থেকে নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন) শিল্পে সবচেয়ে বেশি চাহিদা দেখা যায়। এছাড়াও ওমানে জেনারেল লেবার থেকে শুরু করে টেকনিশিয়ান লেভেলের বিভিন্ন কাজের জন্য দক্ষ কর্মীদের প্রয়োজন হয়। আর সেই কাজ গুলো নিচের তালিকায় উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- নির্মাণ সাইটে সহায়ক কাজ, যেমন মালামাল বহন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ইত্যাদি।
- বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামত।
- পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামত।
- নির্মাণ সাইটে শ্রমিকদের তদারকি এবং কাজের দিকনির্দেশক।
- বিভিন্ন প্রকৌশল ক্ষেত্রে, যেমন সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ইত্যাদি।
উপরের তালিকায় আপনি বেশ কিছু কাজের নাম দেখতে পাচ্ছেন। বর্তমান সময়ে ওমানে এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞ শ্রমিকদের পর্যাপ্ত চাহিদা আছে। সেক্ষেত্রে যদি আপনার এই ধরনের কাজে দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনার ওমান কাজের ভিসা পেতে সুবিধা হবে।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
আমাদের বাংলাদেশ থেকে ড্রাইভিং ভিসায় ওমান যাওয়া বেশ বুদ্ধিমানের কাজ। তবে তার জন্য আপনার নিকট সকল ডকুমেন্টস থাকতে হবে। এছাড়াও আপনি বাংলাদেশ থেকে ওমানে গিয়ে গাড়ি চালাবেন তাই আপনার নিকট আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট থাকতে হবে।
তবে কিভাবে আপনি ওমান ড্রাইভিং ভিসার আবেদন করবেন সেটি জানতে চাইলে নিচে কমেন্ট করবেন। আপনার কমেন্ট পাওয়া মাত্রই আমরা উক্ত বিষয়টি নিয়ে নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করবো। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।