হলমার্ক সোনা চেনার উপায়

Hallmark is the way to recognize gold: আমরা যারা নতুন মানুষ হিসেবে সোনা কিনতে যাই। তারা অধিকাংশ হলমার্ক সোনা চিনতে পারিনা। তো আপনি চাইলে বেশ কিছু পদ্ধতি ফলেঅ করে হলমার্ক সোনা চিনতে পারবেন। যদিওবা হলমার্ক সোনার চিহ্ন দেখলেই খুব সহজে চেনা যায়। তবে এই বাইরে আরো যে সকল হলমার্ক সোনা চেনার উপায় আছে। এবার আমি আপনাকে সেই উপায় গুলো ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিবো।

সোনার হলমার্ক বলতে কি বোঝায়?

সবার শুরুতে আমাদের হলমার্ক সোনা বলতে কি বোঝায় তা জেনে নিতে হবে। কেননা, সোনার হলমার্ক হলো এমন একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই করা হয়ে থাকে। তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, সোনার হলমার্কি আসলে কে করে।

তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে শুনুন, সোনার হলমার্ক মূলত ভারত সরকার হলমার্কিং প্রকল্প সংস্থা হিসাবে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) থেকে নির্ধারন করা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বর্তমান দাম কত? | ২২ ক্যারেট স্বর্ণ চেনার উপায়

হলমার্ক সোনা চেনার উপায় গুলো কি কি?

আলোচনার শুরুতে আমি আপনাকে বলেছি যে, এমন অনেক উপায় আছে। যে উপায় গুলো ফলো করার মাধ্যমে হলমার্ক সোনা চেনা যায়। আর এবার আমি আপনাকে সেই উপায় গুলো সম্পর্কে বলবো। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজের বাড়িতে বসে সোনার হলমার্ক যাচাই করে নিতে পারবেন। যেমন,

সোনার মধ্যে হলমার্ক চিহ্ন দেখে নিন

যখন আপনি কোথাও থেকে সোনা কিনবেন। তখন যদি আপনি খাঁটি সোনা কিনতে চান। তাহলে সবার আগে সেই সোনার মধ্যে থাকা হলমার্ক চিহ্ন দেখবেন। কেননা, যখন সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই করা হয়। তখন যদি সেই সোনা বিশুদ্ধ হয়, তাহলে উক্ত সোনার উপর হলমার্ক চিহ্ন প্রদান করা হয়। অর্থ্যাৎ, হলমার্ক চিহ্ন থাকলে সেই সোনাতে আর কোনো ধরনের ভেজাল থাকার সম্ভাবনা থাকেনা।

আর হলমার্ক চিহ্ন গুলো মূলত বিভিন্ন ক্যারেট এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। যেমন, ১৮ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট, ২৪ ক্যারেট ইত্যাদি। তো এই নম্বর যতো বেশি হবে, আপনাকে বুঝতে হবে উক্ত সোনা ততো বেশি খাঁটি। আর এটি হলো হলমার্ক সোনা চেনার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ উপায়।

নাইট্রিক এসিড এর ব্যবহার করুন

আপনি যদি নিজের ঘরে বসে খুব সহজেই হলমার্ক সোনা যাচাই করতে চান। তাহলে আপনার জন্য আরো একটি পদ্ধতি হবে নাইট্রিক এসিড এর ব্যবহার করা। কেননা, আপনার জেনে রাখতে হবে যে, নাইট্রিক এসিড সোনার সাথে কোনো ধরনের বিক্রিয়া করেনা। কিন্তুু সোনা বাদে অন্যান্য ধাতুর সাথে নাইট্রিক এসিড বিক্রিয়া করতে সক্ষম।

তো যদি আপনি আপনার সোনার উপর সামান্য কিছু নাইট্রিক এসিড ছিটিয়ে দেন। তাহলে কিন্তুু আপনার সোনার কোনো রং এর কোনো রকম পরিবর্তন হবেনা। কিন্তুু যদি দেখেন যে নাইট্রিক এসিড ছিটানোর পর আপনার সোনার রং এর পরিবর্তন ঘটছে। তাহলে আপনাকে বুঝবে হবে, উক্ত সোনা আসল নয়।

কেননা, আপনার সোনার মধ্যে যদি অন্য কোনো ধাতুর মিশ্রন থাকে। তাহলে নাইট্রিক এসিড ছিটানোর পর উক্ত সোনার রং অনেকটা বদলে যাবে। কেননা, আমরা সকলেই জানি, নাইট্রিক এসিড অন্যান্য ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে।

আরো পড়ুনঃ ইতালির ভিসার জন্য আবেদন

জল দিয়ে সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করুন

আপনি চাইলে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই শুধুমাত্র জল দিয়ে হলমার্ক সোনা যাচাই করতে পারবেন। তবে তার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে একটি বড় পাত্রের মধ্যে কয়েক গ্লাস জল নিতে হবে। তারপর আপনার সোনার তৈরি গয়না গুলো উক্ত জলের মধ্যে দিন।

এখন যদি আপনি দেখেন যে, জলের মধ্যে আপনার গয়না গুলো ভেসে থাকছে। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, সেই গয়না গুলো নকল সোনা দিয়ে তৈরি করা। তবে যদি সেই গয়না গুলো জলের মধ্যে দেয়ার সাথে সাথে ডুবে যায়। তাহলে বুঝে নিবেন, সেগুলো আসল সোনার তৈরি গয়না।

হলমার্ক সোনা চেনার উপায় নিয়ে আমাদের কিছুকথা

আপনারা যারা হলমার্ক সোনা চিনতে পারেন না। তাদের জন্য আজকে হলমার্ক সোনা চেনার উপায় গুলো কে উল্লেখ করা হয়েছে। তো আপনি উপরে উল্লেখিত এই উপায় গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই হলমার্ক সোনা চিনতে পারবেন।

আর যদি আপনি এমন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *