ইউরোপ ভিসা আবেদন ২০২৪

আপনার সামনে ইউরোপের দরজা খোলা। ঐতিহাসিক শহর, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সবকিছু আপনাকে ডাকছে। কিন্তু আপনার ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণের পথে একটা বড় বাধা সেটা হলো,  ভিসা। তবে ভয় পাবেন না! কারণ আজকে আমি আপনাকে ইউরোপ ভিসা আবেদনের জটিল প্রক্রিয়াটি কে সহজ করে ফুটিয়ে তুলবো।

আর আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে নিচের আলোচনায় চোখ রাখুন। আশা করি আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। 

কোন কোন ভিসায় ইউরোপ যাওয়া যায়?

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইউরোপের প্রায় সব দেশে প্রবেশের জন্য ভিসা প্রয়োজন হয়। তবে আপনি আসলে কোন উদ্দেশ্যে ইউরোপ যেতে চান তার উপর নির্ভর করে ভিসা আবেদন করতে হবে। কেননা, বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিসায় ইউরোপ যেতে পারবেন। যে ভিসার ধরন গুলো নিচে শেয়ার করা হলো।

বিভিন্ন ধরণের ইউরোপ ভিসা

  1. শেনজেন ভিসা: এই ভিসায় 90 দিনের মধ্যে 26 টি শেনজেন দেশে ভ্রমণ করা যাবে।
  2. ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: এই ভিসায় আপনি একটি নির্দিষ্ট দেশে দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকা ও কাজ করার অনুমতি পাবেন।
  3. ট্রানজিট ভিসা: এই ভিসায় আপনাকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য একটি ইউরোপীয় বিমানবন্দরে বিমান পরিবর্তন করার অনুমতি পাবেন।
  4. শিক্ষা ভিসা: এই ভিসায় আপনি ইউরোপে পড়াশোনার জন্য থাকার অনুমতি পাবেন।
  5. ভ্রমন ভিসা: এই ভিসায় আপনি ইউরোপের নির্দিষ্ট দেশে নির্দিষ্ট সময় ভ্রমন করার অনুমতি পাবেন।

উপরের তালিকায় আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিসার প্রকারভেদ দেখতে পাচ্ছেন। তো এগুলো ছাড়াও ইউরোপ এর ভিন্ন ভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের ভিসার ধরন আছে। 

ইউরোপ ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি দরকার হয়?

কোনো একটি দেশে বৈধভাবে প্রবেশ করার জন্য ভিসার দরকার হয়। আর যখন আপনি ভিসা আবেদন করবেন তখন আপনার নিকট প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দরকার হবে। আপনার ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করবে যে আপনার আসলে কোন কোন ডকুমেন্টস এর দরকার হবে।

তবে ভিসা আবেদন করতে অধিকাংশ সময় যে ডকুমেন্টস এর দরকার হয় সেগুলো নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো। যেমন, 

  1. বৈধ পাসপোর্ট
  2. ভিসা আবেদন ফর্ম
  3. ছবি (পাসপোর্ট/স্ট্যাম্প)
  4. আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ
  5. থাকার ব্যবস্থার প্রমাণ
  6. ভ্রমণ পরিকল্পনা
  7. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  8. মেডিকেল রিপোর্ট

কিন্তুু প্রাথমিক ভাবে এই ডকুমেন্টস গুলোর প্রয়োজন হলেও ভিসার ধরন অনুযায়ী আরো অন্যান্য কাগজ পত্রের দরকার হয়। যেমন আপনি যদি পড়াশোনা করার জন্য ইউরোপ যেতে চান তাহলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, ভাষাগত যোগ্যতা প্রমাণ ইত্যাদি প্রয়োজন হবে। 

কিভাবে ইউরোপ ভিসা আবেদন করবেন? 

যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে চান তাদের অবশ্যই ভিসা আবেদন করতে হবে। কিন্তুু আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা যে, কিভাবে ইউরোপ ভিসা আবেদন করবো। তো আপনি বর্তমানে মোট দুইটি পদ্ধতির মাধ্যমে ইউরোপ ভিসা আবেদন করতে পারবেন। যেমন, 

  1. দুতাবাস থেকে ভিসা আবেদন
  2. অনলাইন থেকে ভিসা আবেদন

বর্তমান সময় হলো ডিজিটাল যুগ তাই এখন আপনি ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া অনলাইন থেকে করতে পারবেন। তবে সব দেশ এখনও অনলাইনে ভিসা আবেদন করার সুযোগ প্রদান করেনি। তাই যেসব দেশের ভিসা আবেদন অনলাইনে করা সম্ভব হবেনা সেই দেশ গুলোর দুতাবাস থেকে ভিসা আবেদন করতে হবে। 

সেক্ষেত্রে আপনি আসলে ইউরোপের যে দেশে যেতে চান সেই দেশের দুতাবাসে যেতে হবে। তারপর তাদের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে ভিসা আবেদন করতে হবে। আর এই যাবতীয় কাজ গুলো আপনি নিজেও করতে পারবেন অথবা আপনার বিশ্বস্ত কোনো এজেন্সির সহায়তা নিতে পারবেন।

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

প্রিয় পাঠক, ইউরোপ ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আজকে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। আর আপনারা যারা ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাদের জন্য এই লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তো যদি আপনি ইউরোপ ভিসা আবেদন সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান তাহলে নিচে কমেন্ট করবেন। আর এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *