বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
Eligibility for admission in private medical colleges: আমাদের সবার জেনে রাখা ভালো যে, সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে গেলে যে পরিমান যোগ্যতা দরকা হয়। তার ঠিক এই পরিমান যোগ্যতা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ গুলোতে প্রয়োজন হয়।
যদিওবা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ গুলো তাদের নিজস্ব যোগ্যতা নির্ধারন করে দিতে পারে। তবে অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে যে যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। সে গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৮.০০ বা তার বেশি
- জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ বা তার বেশি
- এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে
তো স্বাভাবিক ভাবে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে গেলে যেসব যোগ্যতা লাগে। সে গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাইভেট মেডিকেলে পড়তে কত টাকা খরচ হয়?
আমরা সকলেই জানি যে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করলে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। আর সে কারণে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চায় যে, প্রাইভেট মেডিকেল পড়তে কত টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়ে।
তো আপনি যদি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন। তাহলে আপনার ২০ থেকে ৩০ লক্ষ বা তারও বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন হবে।
কেননা, বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এর খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই আপনি যে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা করতে চান। আপনাকে সেই কলেজ থেকে উক্ত বিষয়ে যাবতীয় তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সরকারি ডেন্টাল কলেজে পড়ার খরচ
মেডিকেলে কোন কোর্স ভালো?
একটা বিষয় আমরা সবাই জানি। সেটি হলো, মেডিকেল কলেজ গুলোতে বিভিন্ন ধরনের কোর্স আছে। আর সে কারণে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চায় যে, মেডিকেলে কোন কোর্স ভালো।
তো যারা আসলে এই বিষয়ে জানতে চান। তাদের বলে রাখি যে, মেডিকেলের সব কোর্সেই ভালো। তবে আপনি আসলে কোন কোর্সে পড়তে চান। সেটা আপনাকে নিজে থেকে নির্ধারন করে নিতে হবে।
এর কারণ হলো, মেডিকেল এর বিভিন্ন কোর্স থেকে মেডিকেল এর বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়া যায়। যেমন,
- মেডিসিনঃ মেডিসিন হল চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি শাখা। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো রোগের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা হয়।
- সার্জারিঃ এটি হলো, চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষ একটি শাখা। যে শাখায় অস্ত্রোপচারে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।
- প্যাথলজিঃ প্যাথলজি হল চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম একটি শাখা। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট রোগের কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
- ফার্মাকোলজিঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই শাখায় ওষুধের প্রভাব এবং ব্যবহার সম্পর্কে অবিজ্ঞ হওয়া যায়।
- রেডিওলজিঃ এই শাখায় অন্তর্দৃষ্টির জন্য বিকিরণ ব্যবহারে অভিজ্ঞ হওয়া যায়।
তো এখন আপনাকে নির্ধারন করতে হবে যে, আপনি আসলে মেডিকেলের কোন কোর্স করতে চান। কেননা, বর্তমান সময়ে মেডিকেলের সব কোর্স ভালো।
আরো পড়ুনঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ
মেডিকেল পাস করার পর কি কি কাজ করা যায়?
মনে করুন, আপনি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর সফলভাবে আপনার কোর্স শেষ করলেন। তো সেই সময় আপনি মানব সেবার নিয়োজিত বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন।
আর বর্তমান সময়ে একজন মেডিকেল কোর্স সম্পন্ন করা ব্যক্তি যেসব কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবে। সেই কাজের তালিকা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- সাধারণ ডাক্তারঃ আপনি সাধারন ভাবে বিভিন্ন রোগীদের রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ করতে পারবেন।
- বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ নির্দিষ্ট কোনো রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতে পারবেন। যেমন, চর্ম বিশেষজ্ঞ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি।
- গবেষক ডাক্তারঃ নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির আবিস্কার ও রোগ নির্ণয় করার পদ্ধতি নিয়ে গবেষনা করতে পারবেন।
- শিক্ষক ডাক্তারঃ বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল কলেজ গুলোতে শিক্ষকতার কাজ করতে পারবেন।
তো বর্তমান সময়ে আপনি মেডিকলে কোর্স শেষ করার পর যেসব কাজ করতে পারবেন। সেই কাজের তালিকা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ কত?
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ গুলো নিজস্ব যোগ্যতা নির্ধারন করার ক্ষমতা আছে। তাই ভিন্ন ভিন্ন কলেজ এর ক্ষেত্রে ভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। আর আজকের আর্টিকেলে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তো আশা করি, আজকের লেখা আর্টিকেল টি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। আর এমন অজানা তথ্য গুলো সহজ ভাষায় জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।