বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন মালয়েশিয়া

BMET Registration Malaysia: আপনি কি আমাদের বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কাজের ভিসায় যেতে চান? – তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে। তাহলে আপনি বিএমইটি থেকে প্রদত্ত সকল সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

আর বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কিভাবে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করবেন। কিভাবে আপনি অনলাইন থেকে আপনার বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন মালয়েশিয়া চেক করবেন। এই যাবতীয় বিষয় গুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করবেন?

সত্যি বলতে আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা যে, কিভাবে আমরা বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করবো। আর আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে বলবো, আপনি বিভিন্ন উপায়ে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

যেমন, আপনি আপনার নিজস্ব জেলার মধ্যে থাকা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও) অথবা নির্ধারিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যাবেন। তারপর সেখানে আপনি নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। আর যখন আপনি সরাসরি তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন করবেন। তখন আপনার নিবন্ধন ফি হিসেবে মোট ২০০ টাকা দিতে হবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে আপনার মোবাইলে ”আমি প্রবাসী” – অ্যাপস টি ডাউনলোড করে নিতে হবে। আর সেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

কিন্তুু যখন আপনি অনলাইন থেকে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করবেন। তখন আপনাকে ১০০ টাকা বেশি নিবন্ধন ফি দিতে হবে। সেক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধন করার জন্য আপনাকে মোট ৩০০ টাকা দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে?

মালয়েশিয়া বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করতে কি কি লাগবে?

যখন আপনি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করবেন। তখন আপনার কাছে বেশ কিছু ডকুমেন্টস থাকতে হবে। এর পাশাপাশি আপনার নিকট সেই যোগ্যতা গুলো থাকতে হবে। যে যোগ্যতা গুলো বিএমইটি কর্তৃপক্ষ থেকে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।

আর বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়া প্রত্যাশি প্রার্থীদের জন্য যেসব ডকুমেন্টস ও যোগ্যতা নির্ধারন করা হয়েছে। সেগুলো নিচের তালিকায় উল্লেখ করা হলো। যেমন,

  1. আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স সর্বনিন্ম ১৮ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৫ বছর হতে হবে।
  2. নিজের একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  3. একটি সচল মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে।
  4. আবেদনকারী ব্যক্তির পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকতে হবে।
  5. একটি ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট থাকতে হবে।
  6. কাজের সনদ থাকতে হবে।

তো যদি আপনার নিকট উপরোক্ত ডকুমেন্টস ও যোগ্যতা গুলো থাকে। তাহলে আপনি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। আর আবেদন করার প্রক্রিয়া টি নিচে দেখিয়ে দেওয়া হলো।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়ায় বিদেশি কালো তালিকা চেক

মালয়েশিয়া বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করার উপায়

যদি আপনি সরাসরি উপস্থিত থেকে রেজিষ্ট্রেশন করতে চান। তাহলে আপনাকে কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও) অথবা নির্ধারিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে হবে। আর সেখানে গিয়ে আপনি মাত্র ২০০ টাকা নিবন্ধন ফি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

কিন্তুু আপনি যদি অনলাইন থেকে আপনার রেজিষ্ট্রেশন এর কাজ করতে চান। তাহলে আপনাকে নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করতে হবে। যেমন,

  1. সবার প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে।
  2. তারপর আপনাকে ”Ami Probashi” লিখে সার্চ করতে হবে।
  3. এরপর সবার প্রথমে যে অ্যাপটি আসবে, আপনাকে সেই অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে।
  4. আর যখন আপনি উক্ত অ্যাপসে প্রবেশ করবেন, তখন আপনার সামনে বিভিন্ন অপশন আসবে।
  5. তো এবার আপনাকে “রেজিষ্ট্রেশন” নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  6. তারপর আপনাকে যেসব তথ্য দেওয়ার দরকার হবে, সেই তথ্য গুলো সঠিক ভাবে দিতে হবে।

আর যখন আপনি আমি প্রবাসী অ্যাপস থেকে নিবন্ধন করবেন। তখন আপনাকে নিবন্ধন ফি হিসেবে মোট ৩০০ টাকা দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কাজের ভিসায় যাবেন। তারা আসলে কিভাবে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করবেন। আজকের আলোচনায় সেই নিয়ম গুলো শেয়ার করা হয়েছে। তবে এরপরও যদি আপনার মনে কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে আপনার প্রশ্নটি নিচে কমেন্ট করবেন।

আর এতক্ষন ধরে আমার লেখা আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *