পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন যে, পাসপোর্ট করতে আর পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হবে না। এই নতুন সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে এবং সাধারণ জনগণের জন্য পাসপোর্ট পাওয়ার পথ সুগম করবে।
পাসপোর্ট পেতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বিলুপ্তির কারণ
পুলিশ ভেরিফিকেশন দীর্ঘদিন ধরে একটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল। এতে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির শিকার হতে হয়েছে সাধারণ জনগণকে। নতুন এই নীতির ফলে:
- সময়ের অপচয় কমবে
- প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ হবে
- দুর্নীতির সুযোগ কমে যাবে
- জনগণের ভোগান্তি হ্রাস পাবে
- নতুন পদ্ধতিতে কীভাবে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে?
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন না থাকায় আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং নাগরিকরা সহজেই তাদের পাসপোর্ট হাতে পাবেন।
আরো পড়ুনঃ ভিসা ছাড়াই যে ৩৯ দেশে ভ্রমণ করতে পারবে বাংলাদেশিরা
এই পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব
পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া বিলুপ্ত হওয়ায় দেশে পাসপোর্ট ইস্যু করা দ্রুততর হবে। পাশাপাশি:
- বিদেশ গমনকারীদের জন্য সুবিধা বাড়বে
- প্রশাসনিক ব্যয় কমবে
- অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে
- অপ্রয়োজনীয় দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমে যাবে
নাগরিকদের করণীয়
নতুন নিয়ম কার্যকর হলে নাগরিকদের জন্য কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি:
- জাতীয় পরিচয়পত্র আপডেট ও সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা
- পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম যথাযথভাবে পূরণ করা
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগে থেকে প্রস্তুত রাখা
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ
যদিও এই পরিবর্তন একটি বড় ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
- নাগরিকদের তথ্য যাচাইয়ের বিকল্প পদ্ধতি কী হবে?
- নকল পরিচয়পত্র বা ভুয়া তথ্য দেওয়ার ঝুঁকি কীভাবে প্রতিরোধ করা হবে?
আরো পড়ুনঃ সরকারি ভাবে নিউজিল্যান্ডে শ্রমিক নিয়োগ
শেষ কথা
পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন না লাগার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সাধারণ জনগণের জন্য স্বস্তিদায়ক। এটি প্রশাসনিক সংস্কারের একটি বড় উদাহরণ, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। তবে, এর কার্যকারিতা নির্ভর করবে সরকারের যথাযথ বাস্তবায়ন ও নজরদারির ওপর।