স্বকীয় মান কাকে বলে?
আজকের আলোচনা থেকে আমরা স্বকীয় মান কি সে সম্পর্কে জানবো। কারন, বিভিন্ন সময় আমাদের স্বকীয় মান কাকে বলে সেটি জানার প্রয়োজন হয়। তাই সবার প্রথমে স্বকীয় মান এর সংঙ্গা জেনে নিন।
তো স্বকীয় মান কাকে বলে, যদি আমি এই বিষয়টি কে খুব সহজ ভাবে বলি। তাহলে বলবো, যখন কোন একটি স্বার্থক অঙ্ক কে আলাদা আলাদা ভাবে লেখা হবে। এবং সেই আলাদা ভাবে লেখা অঙ্ক যে নির্দিষ্ট সংখ্যা কে নির্দেশ করবে। সেই অঙ্ক কে বলা হবে, স্বকীয় মান।
স্বকীয় মান কি?
দেখুন, সবার প্রথমে আমি আপনাকে একটি অঙ্ক দিবো। আর সেই অঙ্কটি হলো, ২২২. তো এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, উক্ত অংক এর মধ্যে মোট ০৩ টি ২ রয়েছে। তো উক্ত অঙ্কের মধ্যে তিনটি ২ এর স্বকীয় মান হবে, ২.
এর মূল কারণ হলো, যখন আমরা কোন স্বার্থক অঙ্ককে আলাদা করে লেখার পর যে সংখ্যা পাবো। তাকে বলা হবে, স্বকীয় মান। আশা করি, আপনি স্বকীয় মান কাকে বলে, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য টি জানতে পেরছেন। চলুন, এবার অন্যান্য বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক।
অংক ও সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য কি?
যখন হঠাৎ করে এই প্রশ্ন করা হয়। তখন আমরা বেশ অবাক হয়ে যাই। কারন, অধিকাংশ সময় আমরা অংক ও সংখ্যা কে একই মনে করলেও। আদতে এই দুটো কখনই এক বিষয় নয়। তাই চলুন, এবার অংক ও সংখ্যার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে। সে সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি জেনে নেওয়া যাক।
অংক কাকে বলে? – যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, অংক কাকে বলে। তাহলে আপনাকে সেই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হবে, গণিত প্রকাশ করার জন্য যে সকল সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। সেই সাংকেতিক চিহ্ন গুলো কে বলা হয়, অংক। যেমন, আমরা ০ থেকে ৯ পর্যন্ত যে সকল সাংকেতিক চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি। সেই সকল চিহ্নকে বলা হয়, অংক।
সংখ্যা কাকে বলে? – কিন্তুু কখনও যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, সংখ্যা কাকে বলে। তাহলে আপনাকে উত্তর দিতে হবে, যখন নির্দিষ্ট কিছু অংক একে অপরের পাশে বসে তখন সেখান থেকে সংখ্যা তৈরি হয়। অর্থ্যাৎ, ০ থেকে ৯ এই অংক গুলো যখন একে অপরের পাশে থাকবে। তখন তাকে বলা হবে, সংখ্যা।
অংক কত প্রকার ও কি কি?
আমাদের একটা বিষয় সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। সেটি হলো, অংক মূলত ০২ প্রকারের হয়ে থাকে। তার মধ্যে প্রথমটি হলো, স্বার্থক অংক। অর্থাৎ, ১ থেকে ৯ পর্যন্ত অংক কে বলা হয়, স্বার্থক অংক। এবং দ্বিতীয় প্রকারের অংকের নাম হলো, সহকারী অংক। অর্থ্যাৎ, শুধুমাত্র ০ (শুন্য) কে বলা হয়, সহকারী অংক।
০ (শুন্য) কে সাহায্যকারী অংক বলা হয় কেন?
অংকের মধ্যে থাকা প্রকারভেদ গুলোর মধ্যে ০ কে সাহায্যকারী অংক হিসেবে ধরা হয়। এর প্রধান কারণ হলো, শুন্য এর নিজস্ব কোন মান নেই। যার কারণে, এই ০ কে বলা হয়, সহকারী অংক।
আর এই শুন্য ৪৭৫ থেকে ৫০০ খ্রিঃ এর মধ্যে সর্বপ্রথম শুন্য এর ধারনা এসেছিলো। আর যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম এই ধারনা দিয়েছিলো। সেই ব্যক্তি ভারতীয় উপমহাদেশ এর একজন নাগরিক ছিলেন। যার নাম হলো, আর্যভট্ট।
অঙ্ক নাকি অংক কোনটি সঠিক?
আজকের এই আর্টিকলে এর মধ্যেও আমি অঙ্ক এবং অংক এই দুটো শব্দের ব্যবহার করেছি। কিন্তুু আপনি কি জানেন, অংক নাকি অঙ্ক কোনটি সঠিক? – যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে শুনন…. সঠিক উত্তর হবে, অঙ্ক। তবে আমরা যে অংক শব্দের ব্যবহার করি। তা আসলে মনগড়া একটি শব্দ মাত্র।
পরিশেষে কিছুকথা
শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন অজানা বিষয় জানিয়ে দেওয়ার জন্য শুরু হয়েছে আমাদের পথচলা। আর এই পথচলা ততোদিন অব্যহত থাকবে। যতোদিন আপনার মতো জ্ঞানপিপাসু মানুষেরা অনলাইনে ভিড় করবে। তাই আমাদের সাথে থাকুন, নতুন কিছু জানার জন্য। ধন্যবাদ।